হাসির বাকসো

হাসির বাকসো

হাসির বাকসো অক্টোবর ২০১৬

পটলা : জানিস কদু, আমার কাকু খালি সবসময় সস্তা জিনিস খোঁজে। সেদিন দশ টাকা বাঁচাতে গিয়ে এক বস্তা পচা আলু কিনে এনেছিল।
কদু : আরে ধুর! আমার কাকু কী করেছে জানিস? চুল কাটাতে ৫ টাকা কম লাগবে বলে ঢাকা থেকে শেরপুরে চলে এসেছে। তারপর গ্রামের এক বুড়ো নাপিতের কাছে গিয়ে চুল কাটিয়ে পরেই বাড়ি ফিরেছে।
ফজলে রাব্বী দ্বীন
চকপাঠক, শেরপুর সদর

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম বন্ধু : মনে কর, তুই হাঁটতে হাঁটতে গভীর জঙ্গলে চলে গেছিস। হঠাৎ তোর সামনে একটি হিং বাঘ এসে দাঁড়ালো তখনই তুই কী করবি?
২য় বন্ধু : আমার আর কিছুই করার থাকবে নারে দোস্ত, যা করার ঐ হিং বাঘটাই করবে।
সংগ্রহে : মু: আবু নাঈম
নূরুল আলা নূর কামিল মাদ্রাসা, পঞ্চগড়

মা-ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
মা : তুমি বেশি বেশি করে আখ খাও।
ছেলে : কেন?
মা : বেশি বেশি করে আখ খেলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয় তাই!
ছেলে : তাহলে বুড়ো দাদুকে খেতে দিলে কেমন হয়?
মা : তোমার বুড়ো দাদার দাঁত নেই! মাড়ি কিভাবে শক্ত হবে?
ছেলে : তাহলে দাদু ছোটবেলায় আখ খায়নি কেন?
মো: মোরশেদ আলম
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

দুই বন্ধুর মধ্যে কথা হচ্ছে-
১ম বন্ধু : আজকে দুপুরে কী খেয়েছিস?
২য় বন্ধু : এই কয়েক শ’ ডিম খেয়ে ফেললাম আরকি,
১ম বন্ধু : (মাথায় হাত দিয়ে) তোর মাথা নষ্ট? এতো ডিম এক সাথে খেতে পারলি!
২য় বন্ধু : কি আর করি বল, মা বললেন সব ডিম খেতে।
১ম বন্ধু : আর তুই সব খেয়ে ফেললি?
২য় বন্ধু : হ্যাঁ এটা কোনো ব্যাপার হলো।
১ম বন্ধু : ব্যাপার হলো মানে?
২য় বন্ধু : এতো মাছের ডিম।
মো: আব্দুল্লাহ
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম

তিন পাগলের কথোপকথন-
১ম পাগল : এই ঢাকা শহর আমার।
২য় পাগল : এই বাংলাদেশ আমার।
৩য় পাগল : এই, আমি কী তোদের কাছে এসব বেচে দিয়েছি?
আসিফুর রশিদ (তন্ময়)
ধুঞ্চি, রাজবাড়ী

মালিক ও কর্মচারীর মধ্যে কথোপকথন-
মালিক : তোরা তিন বেলা খাস, তাই কাজ কম হয়। আজ থেকে তিন বেলার খাবার একসাথে খাবি।
কর্মচারী : ঠিক আছে স্যার।
মালিক : বয়, সকালের টা খাওয়া শেষ। দুপুরের টা খাওয়া শেষ। রাতের টা খাওয়া শেষ। এখন কাজে যা।
কর্মচারী : কী কন রাতে খাবার পর কেউ কাজ করে?

মালিক ও শ্রমিকের মধ্যে কথোপকথনÑ
মালিক : তুমি আজ কাজে ফাঁকি দিলে কেন?
শ্রমিক : ভুল হয়ে গেছে মাফ করে দিন।
মালিক : মাফ করতে পারি। তবে তোমাকে নয়।
শ্রমিক : তবে কাকে স্যার?
মালিক : তোমার এ মাসের বেতনটাকে।
সাইফুল্লাহ মনসুর ইসহাক
বড়লেখা, মৌলভীবাজার

এক ভদ্রলোক গাড়িতে উঠবেন, তিনি পেছন থেকে গাড়িকে ডাকছেন
- এই যে গাড়ি থামো, গাড়ির হেলপার।
শুনতে পেয়ে গাড়িটা স্লো করল, হঠাৎ করে হেলপার দেখছে, লোকটা আস্তে আস্তে আসছে, এ দেখে গাড়ির ড্রাইভার গাড়ি থামালো।
হেলপার : ওই মিয়া, আপনি জোরে, আসতে আসতে থামলেন কেন?
ভদ্রলোক : আপনারাই তো বলেছেন।
হেলপার : অবাক, ওই মিয়া আমরা বলেছি মানে?
ভদ্রলোক : ভাই আমি এই মাত্র আপনাদের গাড়ির পিছনটাতে দেখলাম, আস্তে চলুন, এই কারণে আমি আস্তে আসছি।
মো: মাহামুদুল্লাহ আল হাদি
হাড়িভাসা, পঞ্চগড়

প্রায় এক মাস ক্লিনিকে থাকার পর রোগী পুরোপুরি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। পরিচিত ডাক্তার তাকে উৎফুল্লভাবে বিদায় দিতে গিয়ে বললেন
- আমি বলিনি আপনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে একেবারে খালি পায়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন।
রোগী : (বিমর্ষ হয়ে) হ্যাঁ, সত্যি তাই হয়েছে ডাক্তার সাহেব। ক্লিনিকের বিল পরিশোধ করতে গিয়ে নিজের প্রিয় গাড়িসহ পায়ের জুতো পর্যন্ত বিক্রি করতে হয়েছে।
মো: তালহা জুবায়েদ
লালমোহন, ভোলা

মা ও ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
মা : ইতিহাস পরীক্ষায় নম্বর কত পেয়েছিস বাবা?
ছেলে : পাইনি মা!
মা : কেনরে বাবা কী হয়েছে?
ছেলে : কি করবো মা, আমার জন্মের কত বছর আগের ঘটনা লিখতে বলেছে? তখন তো আমার জন্মই হয়নি, লিখবো কী করে মা? তাইতো ইতিহাস পরীক্ষায় জিরো পেয়েছি।
মোরশেদ আলম
সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ