হাসির বাকসো

হাসির বাকসো

হাসির বাকসো মে ২০১৬

মাতাল এবং ভদ্রলোকের মধ্যে কথা হচ্ছে-
মাতাল : এই রাস্তা আমার, পৃথিবী আমার সব কিছু আমার।
ভদ্রলোক : আরে বেটা, রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে চিৎকার করছিস কেন? ট্রাকে চাপা পড়বি।
মাতাল : আরে মিয়া একটু আগে মাথার ওপর দিয়ে হেলিকপ্টার গেল তাতে কিছু হলো না, আর এ তো সামান্য একটা ট্রাক!

মদন আর মহেশের মধ্যে কথোপকথন-
মহেশ : কিরে মদন এই শীতের মধ্যে খাল দিয়ে কোথায় যাচ্ছিস?
মদন : কেন, স্কুলে যাচ্ছি।
মহেশ : তো রাস্তা দিয়ে না গিয়ে খাল দিয়ে কেন?
মদন : আরে বোকা আমাদের স্যার পড়িয়েছেন, স্থলপথের চেয়ে জলপথ যাতায়াতের সহজ মাধ্যম, তাই...
সংগ্রহে : জাবেদ ইমন
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর

ক্লাসে স্যার অলিদকে বললেন,
অলিদ! বলতো, তুই মোটরসাইকেল চালাতে চালাতে কোন নির্জন এলাকায় হঠাৎ তেল শেষ হয়ে গেলে কী করবি?
অলিদ : কেন স্যার, এটাতো খুব সহজ।
স্যার : কি রকম?
অলিদ : মোবাইল থেকে গ্রামীণ সিম খুলে চাকায় সেট করে বলবো, চলো বহুদূর।
সংগ্রহ : হাফেজ মো: রায়হান আলী
চাঁপাইনবাবগঞ্জ

পুলিশ ও নূরুর মধ্যে কথোপকথন-
নূরু : হ্যালো, এটা কি থানা?
পুলিশ : হ্যাঁ, আমি এসআই রায়হান বলছি।
নূরু : স্যার, এখানে মানুষ কাটাকাটি হচ্ছে।
পুলিশ : তুমি সত্যি কথা বলছো তো?
নূরু : হ্যাঁ, স্যার।
পুলিশ : ঠিকানা দাও, আমি আমার ফোর্স নিয়ে আসছি।
নূরু : জামালনগর জেনারেল হাসপাতাল, অপারেশন থিয়েটার।
সংগ্রহ : নুরে রায়হান
রামগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর

এক পুলিশ অফিসারকে দেখা গেল সাদা রঙ দিয়ে নিজের হাত রাঙাচ্ছেন। এক কৌতূহলী পথচারী বলল, কী পুলিশ ভাই হাত রঙ করছেন যে! পুলিশ বলল, দেখছেন না বিক্ষুব্ধ জনতা মিছিল করছে পুলিশের কালো হাত ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও।
সংগ্রহে : মাসুম বিল্লাহ
বানারীপাড়া, বরিশাল

মা ও ছেলের মধ্যে কথা হচ্ছে-
মা : কী রে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাত খাচ্ছিস কেন?
মিন্টু : এখন থেকে এভাবেই খাবো।
মা : কেন রে?
মিন্টু : আর কত অপমান সহ্য করব? বাবা রোজই বলেন, এত বড় ছেলে, এখনো বসে বসে খাস।
সংগ্রহ : তোফিজুল ইসলাম
বোদা, পঞ্চগড়
একদিন আবুল বাসে করে তার নানুর বাড়ি যাচ্ছিল! জানালার পাশে বসাতে বাইরের বাতাস গায়ে লেগে সে ঘুমিয়ে গেল! কিছুক্ষণ পর কনডাক্টর ভাড়া নিতে এলেন।
কনডাক্টর : এই যে ভাই কোথা থেকে উঠলেন, ভাড়া দেন।
আবুল : এই তো ঘুম থেকে!

গাড়ি অ্যাক্সিডেন্টের পর বাবা তার ছেলেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলেন। হাসপাতালের ডাক্তার ছেলের বাবাকে বললেন স্যরি, আপনার ছেলে মারা গেছে। এ কথা শুনে ছেলে বললো, না বাবা আমি মরিনি। বাবা বললেন, চুপ কর বেয়াদব, তুই ডাক্তারের থেকে বেশি জানিস নাকি?
সংগ্রহে : মুসলিম উদ্দিন রানা
কোম্পানীগঞ্জ, নোয়াখালী

রোগী : ডাক্তার সাহেব এই চশমা পরলে কি আমি অ ই ঈ উ পড়তে পারবো?
ডাক্তার : হ্যাঁ, অবশ্যই পারবেন।
রোগী : দেন তাহলে চশমা, দেখি এইবার কে আমারে মূর্খ বলে।

শিক্ষক : এই ছেলে কখন থেকে ঘুমাচ্ছো?
ছাত্র : স্যার, সুলতানি আমল থেকে?
শিক্ষক : আমার সাথে বেয়াদবি!
ছাত্র : না স্যার! আপনি যখন সুলতানি আমল পড়াচ্ছিলেন তখন থেকেই...
সংগ্রহে : তারিকুজ্জামান তারিক
শ্রীপুর, হরিণাকুন্ডু, ঝিনাইদহ

দাঁতের ডাক্তারের কাছে বল্টু এসে বলল-
বল্টু : ডাক্তার সাহেব, আপনি দাঁত তুলতে পারেন?
ডাক্তার : হ্যাঁ, পারি ।
বল্টু : তাহলে যে আমার সঙ্গে আমাদের বাড়িতে যেতে হবে। আমার দাদির দাঁত তুলতে হবে।
ডাক্তার : তা যাওয়া যাবে। ফি কিন্তু ডাবল দিতে হবে?
বল্টু : সেটা সমস্যা না, চলেন আমার সাথে।
(ডাক্তার বল্টুর বাড়ি গেলেন এবং সেখানে গিয়ে বল্টুর দাদীকে বললেন)
ডাক্তার : দেখি, আপনার কোন দাঁত তুলতে হবে?
দাদী : আমার সঙ্গে একটু কষ্ট করে পুকুর পাড়ে চলেন।
(পুকুর পাড়ে গিয়ে দাদী বললেন)
দাদী : আজ গোসল করতে গিয়ে আমার একটা দাঁত পুকুরে পড়ে গেছে, আপনি কষ্ট করে তুলে দেন।
ডাক্তার তো অবাক!
সংগ্রহে : শহিদুজ্জামান
কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ

ক্লাস নাইনের দুই বন্ধুর কথোপকথন :
১ম বন্ধু : জানিস, আজ আমার পুরো সিলেবাস শেষ।
২য় বন্ধু : বলিস কি! গতকাল সিলেবাস দিলো। আর আজ তোর পুরো সিলেবাস শেষ।
১ম বন্ধু : না মানে পুরো সিলেবাস পড়ে শেষ করেছি। কিন্তু বই একবারও ধরিনি।
সংগ্রহে : জাবেদ ইকবাল
কমলনগর, লক্ষ্মীপুর


শিক্ষক ও ছাত্রের মধ্যে কথা হচ্ছে-
শিক্ষক : এই ফাহিম তুমি ব্যাক্টেরিয়ার চিত্র এঁকেছ?
ফাহিম : হ্যাঁ স্যার, এঁকেছি।
স্যার : কই তোমার খাতা তো খালি।
ফাহিম : স্যার, ব্যাক্টেরিয়া তো খালি চোখে দেখা যায় না।
সংগ্রহে : সাইদুল ইসলাম
কক্সবাজার সরকারি উচ্চবিদ্যালয়
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ