সৎকর্ম অসৎকর্মগুলোকে দূরীভূত করে

সৎকর্ম অসৎকর্মগুলোকে দূরীভূত করে

কুরআনের আলো এপ্রিল ২০১১

“আর যারা স্বীয় পালনকর্তার সন্তুষ্টির জন্য ধৈর্য্যধারণ করে, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে আর আমি তাদেরকে যা দিয়েছি তা থেকে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে এবং যারা মন্দের বিপরীতে ভালো কাজ করে, তাদের জন্য রয়েছে পরকালের গৃহ।”          (সূরা রা’দ, আয়াত : ২২)

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

পৃথিবীতে মানুষ যেসব কাজ করে থাকে তার কিছু অংশ নিজ হাতের কামাই করা আর কিছু অংশ তার ভাগ্যের। এ হিসেবে মানুষের কৃতকর্মকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। একটি সৎকর্ম অপরটি অসৎকর্ম। কাজ সৎ বা অসৎ যাই হোক না কেন আল্লাহর দরবারে তার জবাবদিহি করতে হবে। এ জবাবদিহিতার জায়গা একটাই - তা হলো কিয়ামতের ময়দান। যেখানে মানুষের প্রতিটি কৃতকর্মের জন্য হিসেব দিতে হবে। কাজ ইচ্ছাই হোক আর অনিচ্ছায় হোক সবকিছুরই হিসেবের একটি খাতা আছে। যে খাতায় মানুষের সকল কৃতকর্ম লিপিবদ্ধ হয়। কোনটি সৎ আর কোনটি অসৎ তা বাহ্যিকভাবে অদৃশ্যমান। অদৃশ্য বা অজানা কাজের হিসেবের ব্যাপারে ইসলাম কিছুটা ছাড় দিয়েছে। না জেনে কোন অসৎ কাজ করে থাকলে তার হিসেব নেয়া হবে না। কিন্তু কোনটি ভালো আর কোনটি মন্দ তা জানার পর ইচ্ছাকৃতভাবে মন্দ কাজটি করলে তার হিসেব নেয়া হবে কঠিনভাবে।

আল্লাহতায়ালা মহাগ্রন্থ আল কুরআনে তাঁর বান্দাদের এ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন, তিনি ঘোষণা করেছেন- ‘সেদিন প্রত্যেকেই যা কিছু সে ভালো কাজ করেছে; চোখের সামনে তা দেখতে পাবে এবং যা কিছু মন্দ কাজ করেছে তাও। সুতরাং তোমরা সাবধান হও।’ কুরআনের এ বাণী থেকে বোঝা যায় আমরা যে কাজই করি না কেন তা কিন্তু আল্লাহ তায়ালার ধরাছোঁয়ার বাইরে নয়। সব কিছু তাঁর নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। তাই অসৎ বা মন্দ কাজের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। মন্দ কাজের বিপরীত সৎ কাজের প্রতি মনোযোগী হওয়া দরকার। বেশি বেশি সৎ কাজ করলে তা অসৎ কাজগুলোকে দূর করে  দেবে। শুধু তাই নয়, মন্দ কাজ পরিহার করে যারা সৎ কাজের প্রতি মনোনিবেশ করবে আল্লাহতায়ালা তাদের জন্য পরকালে সুন্দর গৃহ নির্মাণ করে রেখেছেন। সেই গৃহের অধিকারী হতে হলে অধিক পরিমাণে সৎ কাজ করতে হবে। মহান আল্লাহতায়ালা যেসব কাজে সন্তুষ্ট হন সেসব কাজ যেমন- নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত, আল্লাহর পথে ব্যয়, পরের হক আদায় ইত্যাদি সবই সৎ কাজ হিসেবে গণ্য। তাই এ কাজগুলো অধিক পরিমাণে করতে হবে। আর কখনো যদি মন্দ কাজ হয়ে যায় তাহলে অনুশোচনার মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে যাতে ভালো কাজের দ্বারা সেগুলো আচ্ছাদিত হয়ে যায়।

প্রিয় বন্ধুরা,

এসো আমরা বেশি বেশি সৎ কাজ করি এবং অসৎ কর্ম থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি।

গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ