সুসংবাদ

সুসংবাদ

কুরআনের আলো সেপ্টেম্বর ২০২০

জ্বর হলে কারই-বা ভালো লাগে। তখন তো সবকিছু স্বাদহীন। নীরস। তাহমীদেরও কয়েকদিন ধরে জ্বর। ভীষণ জ্বর! বারবার সে ভাবে, আহা! জ্বর না হয়ে যদি অন্য কিছু হতো! আচ্ছা, কবরে যদি শুধু একটু জ্বর থাকে- তা-ও তো সহ্য করা যাবে না! তাহলে কিভাবে মানুষ কবরের ভয়ানক আজাব ভোগ করবে! কিভাবে সে বসবাস করবে জাহান্নামের লেলিহান আগুনে! এসব ভাবতে ভাবতে সে আরও অস্থির হয়ে ওঠে। একা একা কথা বলে। কাঁদে।
সেদিন মাগরিবের পর, মা মাথায় পানি ঢালছেন। হাতের আঙুল দিয়ে চোখ দুটোতে আদর করছেন। আর বলছেন, এই তো বাবা! ভালো হয়ে যাবি তুই! মায়ের দোয়া আল্লাহ ফেরত দেন না। পরম মমতায় কবুল করে নেন। নাজিল করেন রহমত।
তাহমীদ কিছুটা শান্ত হয়। মায়ের কথায় মন ভরে ওঠে যেন। এমন সময় হঠাৎ করেই নানাভাই এসে উপস্থিত হন। তাহমীদকে দেখতে এসেছেন। নানাকে দেখে তাহমীদ আবার কেঁদে ওঠে। নানাভাই তার পাশে বসেন। কপালে হাত রেখে দোয়া পড়েন। এরপর বললেন, তোমার জন্য সুসংবাদ!
সুসংবাদ? কী সেই সুসংবাদ- জানতে চায় তাহমীদ। এমনকি তার মা-ও!
নানাভাই বললেন, একবার মহানবী (সা) একজন রোগী দেখতে গেলেন। যার ছিল জ্বর। মহানবী (সা) তাকে বললেন, “সুসংবাদ গ্রহণ করো। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, দুনিয়াতে আমি মুমিন বান্দার ওপর আমার আগুন প্রবল করি এ কারণেই, যেন তা আখিরাতের আগুনের বিনিময় হয়ে যায়।” (আহমদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি)। এখানে জ্বরকেই আগুন বলা হয়েছে। এ আগুন জাহান্নামের আগুনকে নিভিয়ে দেয়!
তাহমীদ চিৎকার করে বলে উঠল- সুবহানাল্লাহ! আরও বলল, নানাভাই আমার আর কোনো দুঃখ নেই। জ্বর যতই প্রবল হোক! নানাভাই তাহমীদের কপালে চুমু এঁকে দিলেন। ভালোবাসায় ভরিয়ে দিলেন তার সারা বুক!

- বিলাল হোসাইন নূরী
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ