রিজিকের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর হাতে

রিজিকের হ্রাস-বৃদ্ধি আল্লাহর হাতে

কুরআনের আলো এপ্রিল ২০১১

“আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা হ্রাস করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহতায়ালা সর্ববিষয়ে সম্যক অবহিত।”             (সূরা আনকাবুত : আয়াত ৬২)

সুপ্রিয় বন্ধুরা,

পৃথিবীতে এমন কোন প্রাণী নেই যার রিজিকের ব্যবস্থা আল্লাহতায়ালা করেননি। পৃথিবীর বুকে বিচরণশীল এমনকি সমুদ্রের তলদেশের প্রাণিকুলের রিজিকের ব্যবস্থাও তিনি করে রেখেছেন। এই ঘোষণার মাধ্যমে এ কথা স্পষ্ট যে, আল্লাহতায়ালা মানুষের রিজিকের ব্যবস্থা অনেক আগেই করে রেখেছেন। কারণ মানুষ হচ্ছে সৃষ্টির সেরা জীব। তাই পৃথিবীতে মানুষের জন্মের আগেই তিনি রিজিকের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। মানুষের ভাল-মন্দ চিন্তা করে আল্লাহ তাঁর বান্দাদের রিজিকের হ্রাস-বৃদ্ধি করেন। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক বাড়িয়ে দেন। আর যাকে ইচ্ছা রিজিক কমিয়ে দেন। এটা তার ইচ্ছাধীন। এখানে কারো সুপারিশের কোন হাত নেই। যারা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারবে, তাদেরকে তিনিই রিজিক বাড়িয়ে দেবেন। আর যারা তাঁর অসন্তুষ্টি লাভ করবে তাদের রিজিক কমিয়ে দেবেন।

আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে যারা জীবন নির্বাহ করবে তিনি নিশ্চয়ই তাদেরকে রিজিক দান করবেন। যেমন তিনি রিজিক দেন পক্ষীকুলকে। যারা সকালবেলা ক্ষুধার্ত পেটে বের হয় আর সন্ধ্যাবেলা ভরাপেটে পরিতৃপ্ত হয়ে ফিরে আসে। পৃথিবীতে এমন হাজারো জীব-জন্তু আছে যারা খাদ্য সঞ্চয় করার কোন ব্যবস্থা করে না। কিন্তু আল্লাহতায়ালা নিজ কৃপায় প্রত্যহ তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ করেন। মানুষ তার ব্যতিক্রম। যারা নিজেদের খাদ্য সঞ্চয় করে আগামী দিনের জন্য। আগামী দিন সে খাবে এ জন্য তার মাঝে পেরেশানি কাজ করে। কিন্তু একটি পাখি সে দিনের খাদ্য দিনেই সংগ্রহ করে। আগামী দিন কী খাবে এ জন্য তার মাঝে কোন চিন্তা কাজ করে না। আল্লাহতায়ালা তাকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন পৃথিবীতে স্বাধীনভাবে বিচরণ করার জন্য। এটা একদিনের ব্যাপার নয় বরং তাদের আজীবনের কর্মধারা। মানুষও যদি নিজের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে এবং তাঁর গোলামি করে তবে আল্লাহ অবশ্যই তার রিজিকের ব্যবস্থা করবেন। এমনকি বহুগুণে তার রিজিক বৃদ্ধি করে দেবেন। এ জন্য আল্লাহকে ‘রাজ্জাক’বা রিজিকদাতা হিসেবে স্বীকার করতে হবে এবং নিজেকে সঁপে দিতে হবে তাঁর দরবারে।

প্রিয় বন্ধুরা,

এসো আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর ভরসা করে চলি যাতে তিনি আমাদের রিজিক বাড়িয়ে দেন।

গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ