রক্তের রং লাল

রক্তের রং লাল

গল্প আহমদ মতিউর রহমান জানুয়ারি ২০২৪

গাজার খান ইউনুসে সেদিন সকালটা শুরু হয়েছিল আর সব দিনের মতোই। চমৎকার রোদ উঠেছিল। বড় বড় খেজুর গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে ঝিরি ঝিরি বাতাস বইছিল। ঝাঁকড়া চুলের সাত বছরের শিশু ইউসুফ মুসা সে দিন বাড়িতেই ছিল। মা রাওয়ানের কাছে তার যত আবদার। বাবা একটি হাসপাতালের ডাক্তার। তাকে হাসপাতালেই বেশি সময় দিতে হয়। মানুষের সেবায়। দখলদার ইসরাইলিরা মানুষ নয়, জন্তুর মতো। যখন তখন হানা দেয় ফিলিস্তিনিদের শিবিরে, বাড়ি-ঘরে। বোমা মারে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। আহত-নিহত হয় বহু লোক। প্রায় প্রতিদিন। মার খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছে গাজাবাসী। এতটুকু গাজা ভূখণ্ড। গাদাগাদি করে ২৩ লাখ লোক বাস করে। ওপারে ইসরাইলে তাদের বাড়িঘরে রাজত্ব করছে সেটলার ইহুদিরা। যেন তাদের ঘরবাড়ি। পাশের আরব সাগর দিয়ে পানি নীরবে বয়ে যাচ্ছে। এসব খবর নেওয়ার সময় কোথায় তার?

৭-১০-২০২৩। এ দিনটা এলো হঠাৎ করে গাজাবাসীর জন্য একটা বিজয় বার্তা নিয়ে। আর তা হলো ইসরাইলের ভেতরে ঢুকে আক্রমণ চালায় হামাস। হামাসের হামলায় হতভম্ব হয়ে যায় ইসরাইল। এরপরে কী হতে পারে? এই ভাবনা ভাবার সময় ছিল না কারো। গাজা উপত্যকা থেকে নিক্ষেপ করা রকেট ইসরাইলের বিভিন্ন শহরে আঘাত হানলে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। হাসাসের যোদ্ধারা কয়েকটি সীমান্ত চেকপোস্ট ভেদ করে ঢুকে গিয়েছিল অনেকখানি। তার পর আক্রমণ চালিয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যে সাড়ে সাত হাজার রকেট নিক্ষেপ করেছে। হতভম্ব হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না ইহুদিদের। 

আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে ইসরাইলের ওপর আকস্মিক আক্রমণ চালিয়েছিল মিসর ও সিরিয়া। যা ইওম কিপুর যুদ্ধ নামে পরিচিতি পায়। এবারে একই উপায়ে ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ শুরু করে। এবারও ইহুদিদের ছুটির সময়ে এই অপ্রত্যাশিত হামলার ঘটনা ঘটে। এই হামলায় খান ইউনুসের বাসিন্দারাও আনন্দে উদ্বেলিত ছিল। ভাবটা এমন, তোমরা প্রতিদিন আমাদের মারো। এখন বোঝো মার খেতে কেমন লাগে। 

কিছুদিন ধরেই গাজা উপত্যকায় উত্তেজনা ঘনীভূত হচ্ছিল। তবে হামাস অথবা ইসরাইল কেউই সেই উত্তেজনা আর বাড়াতে চায়নি।  হামাস একটি গোছানো আর সমন্বিত অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করেছিল। পত্রিকা পড়ে জানতে পেরেছে মুসার ভাই হামজাহ। হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ নাকি বলেছেন, ৭ অক্টোবর সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্টর্ম’ শুরু হয়েছে। শুনে খুব ভালো লেগেছে হামজার।  

পত্রিকাটিতে লেখা হয়েছে, ইসরাইলের জরুরী বিভাগ বলছে, ফিলিস্তিনিদের দিক থেকে আকস্মিক এবং নজিরবিহীন হামলায় অন্তত ২৫০ জন ইসরাইলি নিহত হয়েছে। এছাড়া কমপক্ষে আরো প্রায় এক হাজার ৫৯০ জন আহত হয়েছে বলে জানাচ্ছে দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ ‘যুদ্ধের মধ্যে রয়েছে’। ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের দিক থেকে আকস্মিক আক্রমণ শুরুর পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এ বক্তব্য দিয়েছেন।

এ পর্যন্ত পড়ে থামল হামজাহ। পরের অবস্থা সে নিজেই দেখেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করতে দেরি করেনি ইসরাইল। এসব খবরে খান ইউনুস বেশ গরম। এদিকে হাসপাতালে কাজ বেড়ে গেছে ইউসুফের বাবার। বাবা বাড়ি আসতে পারবেন না জেনে মন খারাপ হলো হামজাহর। দুই ছেলেকে নিয়ে মা সবকিছু সামাল দিচ্ছিলেন। 


খান ইউনুসের রুক্ষ গাছগুলোর সবুজ ও ফিকে সবুজ পাতার দুলুনি বন্ধ হয়ে গেল। ইউসুফ মুসার বড় ভাই হামজাহ কোথা থেকে বাসায় হাজির। 

: মা খবর শুনেছো? 

: কী বাবা? জানতে চান মা রাওয়ান। 

: আমাদের বাহিনী বড় গেইন করেছে। 

: আমি বাজারে গিয়ে শুনে এসেছি বাপ। আর ভাবছি কি পাগলামি না করবে ইহুদি হার্মাদগুলো। নির্ঘাত পাল্টা হামলা করে সব ধূলিসাৎ করে দেবে। 

: আর কি, শুনি হামজাহ? 

: অনেক ইহুদি খতম হয়েছে। আর ওদের মনে ভয় ঢুকেছে। 

: আর? 

: ২৫০ জনকে ধরে এনেছে হামাস। 

: তাই? এখন কী হবে? ওরা তো হামলা করবে। 

: সবাই বলছিল, করুক। যা করার করুক। আমরা তো মরছি প্রতিদিন। এখন না হয় বেশি মরবো। 

: বাব্বাহ। আমার বাবু কথা শিখেছে বটে। মা অবাক হন। বলেন-

: যা গোসল সেরে আয়। খাবার সময় হলো। দেখতো মুসা কোথায়?

: দেখছি আম্মি। বলে বের হয়ে যায় হামজাহ।

১০ অক্টোবর।

১৫ অক্টোবর।

২০ অক্টোবর।

২৫ অক্টোবর। দিনগুলো পার হতে থাকে। আর বারুদ, কামানের আর মেশিন গানের গোলা, লাশের গন্ধে ভারি হয়ে ওঠে খান ইউনুস শহরের আকাশ বাতাস। 

ইসরাইলি বিমান ও মর্টার হানা বেড়েই চলেছে আর সাধারণ ফিলিস্তিনি মারা যাচ্ছে। পাগলের মতো বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। কোনো নিয়মকানুন মানছে না। হাসপাতালে মারছে, রেড ক্রিসেন্ট সেন্টারে বোমা ফেলছে। কোনো  বাধারই তোয়াক্কা করছে না।

খান ইউনুস ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজা ভূখণ্ডের একটি শহর, যা খান ইউনুস গভর্নমেন্টের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। ফিলিস্তিন কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো অনুযায়ী খান ইউনুসের জনসংখ্যা ২০১২ সালের করা হিসাব মতে ছিল ৩ লাখ ৫০ হাজার। গত ১০ বছরে আরো কিছু বেড়েছে। খান ইউনুস পূর্ব ভূমধ্যসাগর থেকে ৪ কিলোমিটার (২.৫ মাইল) পূর্বে অবস্থিত। এখানে গ্রীষ্মকালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শীতকালে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ২৬০ মিলিমিটার (১০.২ ইঞ্চি)। খান ইউনুসে ফিলিস্তিন আইনসভার ৫টি আসন রয়েছে, ২০০৬ সালে ফিলিস্তিন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউনুস আল আসতালসহ হামাসের তিনজন এবং মোহাম্মদ দাহলানসহ ফাতাহর দুইজন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমানে এটি গাজার হামাস প্রশাসন কর্তৃক শাসিত হচ্ছে। এরপর আর ভোট হয়নি। ১৪শ শতাব্দীর পূর্বে খান ইউনুস একটি গ্রাম ছিল, যা সালকাহ নামে পরিচিত ছিল। ১৩৮৭-৮৮ সালের দিকে আমির ইউনুস আল নুরুজি কর্তৃক পথিক, ক্যারাভানস রক্ষার্থে খানের (ক্যারাভানসরাই) গোড়াপত্তন হয়। এই খান বা ক্যারাভানসরাই ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা শহরের নাম হয় খান ইউনুস। এই এলাকাটি এখন অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্রের নিত্যকার হামলাস্থল। এখানে কিছু স্কুল কলেজ ও একটি বিশ^বিদ্যালয় আছে। রাওয়ান সেই ভার্সিটিতেই লেখাপড়া করেছেন। বড় হলে তার ছেলেদের একজনকে সেখানে পড়াবেন আশা আছে তার। আরেকজন পিতার মতো ডাক্তার হবে। ছেলে দু’টি নিয়ে ভাবনার অন্ত নেই রাওয়ানের। 

৩০ অক্টোবর ২০২৩। ইউসুফের মা যখন রাতের খাবার তৈরি করছিলেন তখন তাদের আশপাশের এলাকা প্রচণ্ড গোলাগুলির মধ্যে পড়ে।

: মা, আমরা রাতের খাবার খেতে চাই। বলল ইউসুফ মুসা ও তার ভাই হামজাহ। 

: হ্যাঁ বাবা দিচ্ছি। তোমাদের পছন্দ মতোই ডিশ রেঁধেছি আব্বু। 

: তুমি আমার ভালো আম্মু। বলে মুসা। পাশে গম্ভীর হয়ে বসে আছে হামজাহ। তার মুখে হাসি নেই। মা সেটা লক্ষ করেন। 

: কী বাবা কিছু বলছো না। বাবার জন্য মন খারাপ? তোমাদের আব্বুর সাথে কথা হয়েছে। তিনি হাসপাতালে আছেন। কাজে আছেন। অনেক আহত রোগী। সবাই বোমায় আহত। 

: জানি মম। বলে হামজাহ। কথা আপাতত শেষ হয়। 

এটা যে তাদের মা রাওয়ানের কাছে শেষ আবদার হবে তা বুঝতে পারেননি রাওয়ান। ইসরাইলি রকেট তাদের বাড়িতে আঘাত করার আগে তিনি তার ছেলেদের আবদার রক্ষা করতে ছুটে যান পার্শ্ববর্তী শপে। পছন্দ মতো খাবার আনেন। 

মুসার খালা রাঘাদ সালেহ থাকেন মিসরে। কিছুদিন হলো বেড়াতে এসেছেন বোনের বাসায়। 

মুসার বাবা গাজা উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনুস শহরের নাসের হাসপাতালের একজন ডাক্তার এবং তিনি ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর আর বাড়ি ফেরেননি। শত শত আহত মানুষ আসায় তিনি হাসপাতালে থেকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছিলেন।  মিসেস রাওয়ান তার দুই ছেলেকে নিয়ে খান ইউনুসের বাড়িতে থাকছিলেন। ইউসুফ মুসার বাবা সময়ে সময়ে ফোন করে তাদের খোঁজখবর নেন। আহতদের চিকিৎসায় তার মানবিক দায়িত্ব তাকে গাজার এই বিপর্যয়পূর্ণ সময়ে পরিবার থেকে দূরে রাখে। 

৩০ অক্টোবর মিসেস রাওয়ান রাতের খাবার তৈরি করছিলেন। তখন তাদের আশপাশের এলাকা প্রচণ্ড গোলায় প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। গোলা এসে পড়তে থাকে আশপাশে।  ইসরাইলি মিসাইল তাদের ভবনের চার তলা ও তিন তলায় আঘাত হানে। এক পর্যায়ে ছাদ ভেঙে নিচে পড়ে। ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্রটি চতুর্থ তলায় আঘাত হানে  যেখানে পরিবারটি বাস করতো। তাদের বাড়ির ছাদ ইউসুফ মুসার ওপর ভেঙে পড়ে। এ পরিস্থিতিতে ইউসুফের মা রাওয়ান কান্নায় ভেঙে পড়েন। হু হু করে ওঠে তার মন। কী হয়ে গেল? ঘটনার পর কান্না করতে করতেই তিনি তার ছেলেদের সন্ধান করেছিলেন। একজনকে খুঁজে পেয়েছিলেন, কিন্তু ছোট ইউসুফ মুসাকে খুঁজে পাননি। একজন ফিলিস্তিনি মহিলার একটি ভিডিও অসংখ্য নিউজ চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচার হচ্ছিল। তিনিই ইউসুফের মা রাওয়ান। 

সিভিল ডিফেন্স দল আসার পর তারা ইউসুফের মা ও ভাইকে খুঁজে পেয়েছিল। তারা অক্লান্ত খোঁজাখুঁজি করেও ইউসুফকে পাননি। ইউসুফের মা চিৎকার করে বিভিন্ন হাসপাতালের সকলকে তার ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করছিলেন- 

: তার চুল কোঁকড়া ও মিষ্টি চেহারার। আপনারা দেখেছেন শিশুটিকে? 

কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কেউ কোনো  উত্তর দেয়নি। তিনি ইউসুফকে খুঁজে পাননি। ইউসুফের মা ও বাবা দু’জনে হাসপাতালের মেঝেতে পড়ে থাকা অনেক আহতদের মধ্যে তাদের ছেলেকে খুঁজছিলেন। অবশেষে সিভিল ডিফেন্স দল তাকে ধ্বংসস্তূপের নিচে খুঁজে পায়। কিন্তু তার দেহ ছিল নিথর ও থেঁতলে যাওয়া। রক্তের রং লাল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপের নিচে থাকতে থাকতে কালচে হয়ে গেছে। ইউসুফের বাবা অশ্রুসজল চোখে তার ছেলের লাশ শনাক্ত করেন। মা তখন লুটিয়ে পড়েছেন ছেলের লাশের ওপর। তার জামায় লেগেছে পুত্রের লাল লাল রক্ত। 

ইউসুফকে খুঁজে পাওয়ার পর ইউসুফের মা তাকে দেখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা তাকে বাধা দেয়। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে তার শরীর বিকৃত হওয়ায় তারা চেয়েছিলেন যে মা তার ছেলের মিষ্টি চেহারাটাই মনে রাখুক, সবসময় তার মনে থাকুক ইউসুফ মিষ্টি কোঁকড়ানো চুলের একটি ছেলে। ইউসুফের বড় ভাই হামজাহ তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। বলল-

: আমি ইউসুফকে দেখতে চাই। আমার ভাইকে দেখতে চাই। 

তাকেও দেখতে দেওয়া হয়নি বিকৃত হওয়া ছোট ভাইয়ের লাশ। 

ইউসুফ মুসা ছবি আঁকতে পছন্দ করতো, সবসময় তার আঁকা ছবি তার নানি ও খালাকে পাঠাত। সে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু এখন শাহাদাত অর্জন করেছে। আর তার মা রাওয়ান একজন শহীদের গর্বিত মা হওয়ার সম্মান অর্জন করেছেন।


ইউসুফের বাবা এখনও ডিউটিতে আছেন, আহতদের নাসের হাসপাতালে চিকিৎসা করছেন। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমি আমার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আমার দায়িত্ব এখন আমার সন্তানের জন্য শোক প্রকাশ করা নয় বরং আহতদের চিকিৎসা দেওয়া। 

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে সেই দিন পর্যন্ত প্রায় চার হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। প্রায় এক হাজার শিশু ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ছিল। খান ইউনুসের খেজুর গাছগুলোর কাছে সে খবর পৌঁছেনি। তারা বাতাসের হালকা হালকা ঝাপ্টায় দোল খেয়ে যাচ্ছিল।

ইসরাইলি বিমান হামলায় ইউসুফ মুসা নামে একটি শিশুর করুণ মৃত্যুর ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে একটি পত্রিকার অনলাইন এডিশনে। রিপোর্টার লিখেছেন অনেক কিছু। এগুলো পড়ার সময় কোথায়? সবাই বোমা আর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে প্রাণ বাঁচাতে ব্যস্ত।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ