মায়ের পাশে

মায়ের পাশে

কুরআনের আলো বিলাল হোসাইন নূরী এপ্রিল ২০২৩

একদিন পরেই ঈদ। খুশির খবর। তবে মায়ের উপর ভীষণ কাজের চাপ। সবকিছু গোছগাছ করতে হবে। মেহমানদারির সকল আয়োজন শেষ করতে হবে। রায়হানা বলল, মা! তোমার কাজে সহযোগিতার জন্য আমি আছি না! মা হেসে বললেন, আচ্ছা! ঠিক আছে। 

সুযোগ পেলেই রায়হানা মায়ের পাশে দাঁড়ায়। 

আর মা-ও এ সুযোগটাকে কাজে লাগান।

কাজ করতে করতেই মা বললেন, একটা সূরা শোনাও তো মা। তোমার গলা যা মিষ্টি! তোমার তিলাওয়াত শুনলে আমি সকল কষ্ট ভুলে যাই!

সূরা লাহাব শোনাল রায়হানা।

মা বললেন, মাশাআল্লাহ! এরপর এ সূরার অর্থ বলে দিলেন- 

“আবু লাহাবের হাত দুটো ধ্বংস হোক, ধ্বংস হোক সে নিজেও। তার ধন-সম্পদ আর যা সে উপার্জন করেছে, তা তার কোনো কাজে আসল না। অচিরেই সে প্রবেশ করবে লেলিহান শিখাওয়ালা আগুনে। আর তার স্ত্রীও- যে লাকড়ি বহনকারিণী। তার গলায় রয়েছে পাকানো দড়ি।” 

রায়হানা বলল, মা! এই আবু লাহাব কে?

মা বললেন- নবীজির চাচা। তার আসল নাম আবদুল উয্যা। সে ছিল গৌরবর্ণের, এ কারণে তার নাম হয়ে যায় আবু লাহাব। লাহাব মানে আগুনের লেলিহান শিখা, যার রঙ গৌর। ইসলামের চরম দুশমন ছিল সে। নবীজিকে সে বলত মিথ্যাবাদী, ধর্মত্যাগী। মানুষকে বলে বেড়াত- ‘সে তোমাদের আলাদা করতে চায় লাত ও উযযা থেকে। সে নতুন কথা চালু করেছে। গোমরাহি নিয়ে এসেছে। তোমরা তার কথা শুনবে না। তার অনুসরণও করবে না।’

নবীজিকে অনেক কষ্ট দিয়েছিল সে। 

অনেক বেয়াদবি করেছিল তাঁর সাথে। 

বদর যুদ্ধে আবু লাহাবের অনেক সহযোগী নিহত হয়। এ পরাজয় সে মেনে নিতে পারেনি। এর সাত দিনের মাথায়ই সে মারা যায়।

আবু লাহাবের স্ত্রীর নাম ছিল আরওয়া।

নবীজির প্রতি কঠিন দুশমনি ছিল তারও। 

এ কারণেই, স্বামী-স্ত্রী দু’জনের প্রতিই আল্লাহ নাজিল করেছেন ভয়াবহ অভিশাপ!

রায়হানা বলল, মা! তোমার পাশে থাকলে আমি কাজও শিখি, কুরআনও শিখি। আলহামদুলিল্লাহ।

মা হেসে বললেন, চলো! এখনও অনেক কাজ বাকি

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ