প্রাণীর জন্য প্রেম
কুরআনের আলো মে ২০১৮
আজ তালহার বুকটা যেন নদী হয়ে গেল। আনন্দের নদী! এ নদীতে এত ঢেউ কেন আজ? ঢেউয়ে ঢেউয়ে বেজে উঠছে ভালোবাসার গান। বিজয়ের সুর। কারণ? কারণ, ছোটমামা এসেছেন। বহুদিন পর। এসেছেন গল্পের ঝুড়ি নিয়ে। স্বপ্নের ডানা নিয়ে। আর সে ডানায় ভেসে ভেসে তালহা পার হয়ে যায় সাত-আকাশ! সিদরাতুল মুনতাহা! এমনকি কখনো কখনো চলে যায় জান্নাতেও। ফেরদাউসের ফুলবাগানে! অদ্ভুত! -তাই না? অনেক গল্প হলো। এবার ঘুমোতে যাওয়ার পালা। কিন্তু সমস্যা হলো ঘরে প্রচুর মশা। তালহা বলল, মামা! নো টেনশন। এক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে যাবে। সব। এই বলেই সে বের করলো তার অস্ত্র! ইলেকট্রিক র্যাকেট! মামা বললেন, রাখো, রাখো। এবার তাহলে নতুন গল্প শোনো। রাসূল (সা) একবার সাহাবীদের সাথে সফরে ছিলেন। একদিন তিনি পিঁপড়েদের একটি আবাসস্থল দেখতে পেলেন। আগুনে পোড়া। বললেন, এটা কে পুড়িয়েছে? সাহাবীরা বলল, আমরা। রাসূল (সা) কষ্ট পেলেন। বললেন, আগুনের প্রভু ছাড়া আর কারও উচিত নয় আগুন দিয়ে শাস্তি দেয়া। (আবু দাউদ) মামা জানতে চাইলেন, এবার বলো তো র্যাকেট দিয়ে মশা মারা উচিত হবে কি? তালহা কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলল, না! অবশ্যই না! এভাবে তো কখনোই ভাবেনি সে। আর মামাই বা কিভাবে সবকিছুতেই এমন গল্প নিয়ে আসেন! আশ্চর্য! মামা আরও বললেন, শোনো! পশু-পাখিসহ প্রাণিকুলের সকল সৃষ্টির প্রতি রাসূল (সা) অনেক দয়ালু ছিলেন। যেসব প্রাণী মানুষের ক্ষতি করে, সেগুলো মারার অনুমতি রয়েছে। যেমন- সাপ-বিচ্ছু। বিষাক্ত পোকা-মাকড় ইত্যাদি। মশা মারতেও কোনো দোষ নেই। তবে, আগুন দিয়ে কোনো কিছুই হত্যা করা যাবে না। কারণ, এতে তারা বেশি কষ্ট পায়। প্রাণীদের প্রতি মহানবীর ভালোবাসার আরও গল্প আছে। চমৎকার। তালহা বলল, মামা- বল না। মামা বললেন, সে অন্য একদিন। এখন মশারি টানাও। ঘুুমোতে হবে। বিলাল হোসাইন নূরী
আরও পড়ুন...