পোশাক

পোশাক

কুরআনের আলো নভেম্বর ২০১৯

আনাস সেই ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছে, দাদাভাই সবসময় সাদা পোশাক পরেন। ধবধবে সাদা। যেন সাদা কাশফুল। সাদা পোশাকে তাকে ফেরেশতার মতো মনে হয় তার। ভাবে, বড় হয়ে সে নিজেও এমন পোশাক পরবে। আজ বলেই ফেলল, দাদাভাই! তুমি শুধু সাদা পোশাকই পরো কেন? দাদা বললেন, মহানবী (সা) এর প্রিয় রং ছিল সাদা। তিনি বলেছেন, সাদা রঙের কাপড় উত্তম। তাই আমি সাদা কাপড় পরি। লাল, সবুজ ও কালো রঙের কাপড় পরাতেও কোনো দোষ নেই। তবে মহানবী (সা) হলুদ রঙের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। আচ্ছা, পোশাকের কথাই যেহেতু তুলেছো, তাহলে এ বিষয়ে আল্লাহ কী বলেছেন শোনো- ‘হে বনি আদম! তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকা ও বেশভূষার জন্য আমি পোশাক দিয়েছি। আর, তাকওয়ার পোশাক- এটাই সবচেয়ে উত্তম।’ (সূরা আ‘রাফ : ২৬) আনাস বলল, দাদাভাই! এখানে তাকওয়ার পোশাক বলতে কী বোঝানো হয়েছে? দাদা বললেন, বাইরের পোশাকের পাশাপাশি তাকওয়াও একটি পোশাক। এ পোশাক না থাকলে মানুষের সৌন্দর্য পরিপূর্ণ হয় না। ইবনে আব্বাস (রা) বলেছেন, এর অর্থ সৎকর্ম। কাতাদা (রহ) বলেছেন, এর অর্থ ঈমান। তা ছাড়া এর অর্থ এ-ও হতে পারে, পোশাকের মধ্যেও যেন আল্লাহভীতি ফুটে ওঠে। যেমন, পোশাক হবে শালীন। মার্জিত। অপচয়হীন। অহঙ্কারমুক্ত। মহিলাদের পোশাক পুরুষের মতো, পুরুষের পোশাক মহিলাদের মতো হবে না। পুরুষরা রেশমি কাপড় পরবে না। পোশাক এমন হবে না, যা অন্য ধর্মের পরিচয় বহন করে। দাদা বললেন, আরেকটা বিষয় খুব ভালোভাবে খেয়াল করো। মহানবী (সা) বলেছেন, ইজার তথা পরিধেয় কাপড়ের যে অংশ পায়ের গোড়ালির নিচে থাকবে, সে অংশ জাহান্নামে যাবে। (বুখারি)। এমনকি, যে ব্যক্তি গোড়ালির নিচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার দিকে তাকাবেন না, তাকে পবিত্র করবেন না এবং তার জন্য থাকবে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (মুসলিম)। আনাস বলল, জি দাদাভাই। এ বিষয়ে অনেককেই অসতর্ক থাকতে দেখা যায়। আজ থেকে আমিও সচেতন হবো। সচেতন করবো বন্ধুদেরও। দাদা মুচকি হাসলেন। বললেন- কী, পোশাক নিয়ে আর কোনো কিছু জানার আছে? আনাস বলল, আপাতত নেই। তবে, এমন দাদা যদি সবার ঘরেই থাকতো, কতই না ভালো হতো!

বিলাল হোসাইন নূরী

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ