পেহেলগাম পাহাড় নদী আর বরফের অপূর্ব মেলবন্ধন

পেহেলগাম পাহাড় নদী আর বরফের অপূর্ব মেলবন্ধন

ভ্রমণ সীমান্ত আকরাম ফেব্রুয়ারি ২০২৪

নিস্তব্ধ পাহাড়ি রাস্তায় শাঁ শাঁ করে গাড়ি চলছে তার লক্ষ্যপানে। রাস্তাগুলো খুবই বিপজ্জনক। কোথাও সমতলে, কোথাও পাহাড়ের বুক চিরে আবার কোথাও নদীর পাড় ঘেঁষে বয়ে চলেছে। কোথাও কোথাও দেখা মিলবে পাহাড়ের ভেতর দিয়ে বিশাল আকারের কয়েকটি টানেল। মাঝপথে আমাদের মাঝে মতের দ্বন্দ্ব দেখা দিলো। কেউ বলছে প্রথমে শ্রীনগর আবার কেউ কেউ বলছে পেহেলগাম। যদিও গাড়ি রিজার্ভ করার সময় গন্তব্য পেহেলগাম ঠিক ছিল, কিন্তু মাঝপথে এসে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব শুরু হলো। আমি আগে থেকেই একটা ট্যুরপ্ল্যান সংগ্রহ করে সাথে নিয়েছিলাম। সেই অনুযায়ী প্রস্তাব করলাম শুরুতেই পেহেলগাম গেলে কী কী সুবিধা। সবাই আমার মতের প্রাধান্য দেওয়ায় সিদ্ধান্তে উপনীত হলো প্রথম গন্তব্য পেহেলগাম। গাড়িতে আমাদের ১০ জনের টিম ছিলাম।

আমরা কুমিল্লা থেকে ঈদুল ফিতরের পরদিন রওয়ানা হই। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আগরতলা বিমানবন্দরে পৌঁছি। সেখান থেকে বিকেলে ইন্ডিগো এয়ারে দিল্লি পৌঁছি। দিল্লি এয়ারপোর্ট থেকে মেট্্েরাতে করে আসি নয়াদিল্লি রেলওয়ে স্টেশন। ভারতের সবচেয়ে বড়ো স্টেশন। এতে ২৫ টির অধিক প্লাটফর্ম রয়েছে। ‘জম্মু তাওয়াই’ রাত ০৯:৩০ টায় হাওড়া থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। ১০ ঘণ্টার এ যাত্রাপথে কোথাও জনমানবশূন্য প্রান্তর, কোথাও বিস্তীর্ণ বনভূমি, কোথাও আবার শহুরে মানুষগুলোর সড়কপথে অবিরাম ছুটে চলা। ভারতের রেলব্যবস্থার প্রশংসা না করলেই নয়, প্রতিটি কামরা আর ওয়াশরুম অসম্ভব পরিষ্কার, সেই সঙ্গে স্টাফদের আচরণ খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণ। ট্রেনে খাবারে বাঙালিয়ানা স্বাদ না থাকলেও খাবারের বৈচিত্র্যের অপ্রতুলতা ছিল না।

আমরা ট্রেনে ওঠার পর আরো ৪ বাংলাদেশি পর্যটক আমাদের ভ্রমণসঙ্গী হিসেবে যুক্ত হলো। ১০ জনের টিম হওয়াতে সবকিছুতে জনপ্রতি ব্যয়ভার অনেকটা কমে গেল। পরদিন সকাল ১১ টায় পৌঁছলাম জুম্মুতে। স্টেশনে নেমে ফ্রেশ হয়ে সকালের নাস্তা সেরে অটোতে করে চলে এলাম পাশের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। ১০ সিটের একটা ট্যাক্সি রিজার্ভ করা হলো। ভাড়া নির্ধারণ হলো ১০,৫০০ টাকা। ১২.৩০ মিনিটে আমাদের যাত্রা শুরু হলো জুম্মু থেকে পেহেলগামের উদ্দেশ্যে। জুম্মু থেকে পেহেলগামের দূরত্ব ২৩৩ কিলোমিটার। ট্যাক্সিতে ৭-৮ ঘণ্টা সময় লাগে। আমাদের প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। রাস্তায় পাহাড়ধসের কারণে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এমনটা প্রায় সময় ঘটে থাকে। এসব দুর্ঘটনার সাথে সাথে সড়ক বিভাগের প্রস্তুতি থাকে সাথে সাথে তা সমাধানের। আমাদের ট্যাক্সির ড্রাইভারের নাম ছিল মালিক। অনেক আন্তরিক ও ভালো মানুষ। ভ্রমণের অনেক বিষয় তার কাছ থেকে জানলাম। যাত্রাপথে দুপুর ও রাতের খাবার তিনি আমাদের সুবিধা মতো সময়ে পরিচিত হোটেলে ব্যবস্থা করেছিলেন। গাড়ি যত সামনে এগোচ্ছে শীত ততটা ঘনীভূত হচ্ছে।

কাশ্মিরের মূল শহর শ্রীনগর থেকে ৯৮ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত অনন্তনাগ জেলার একটি পৌরসভা পেহেলগাম। অনন্তনাগ থেকে বাকি অংশটা এগোলে রাস্তার দু’পাশে পড়বে আপেলের বাগান। জুলাই থেকে অক্টোবর, এই সময়ের মধ্যে গেলে গাছে আপেল দেখা যায়। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য নির্মল প্রকৃতির সঙ্গে মিশে গিয়ে সময় কাটানোর একটা দারুণ গন্তব্য। অগণিত প্রকৃতিপ্রেমিক এই নৈসর্গিক সুন্দরের কাছে গিয়ে দিনের পর দিন অবস্থান করেন। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে তীব্র তুষারপাত হয়। তখন পর্যটকের সংখ্যা কমে আসে। এটি সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় রূপ নেয় মার্চ থেকে মে মাসে। হিমালয়ের মাঝারি (পিরপাঞ্জাল) পর্বতমালার একটি ভ্যালির নাম লিডর ভ্যালি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২১৩০ মিটার উঁচুতে অবস্থিত, সবুজ পাহাড় আর অগণিত পাথর বিছানো আঁকাবাঁকা ওই ভ্যালির বুক চিরে বয়ে চলা লিডার নদীর হৃদয়কাড়া সৌন্দর্য পর্যটকের মূল আকর্ষণ। ছবির মতো সুন্দর একটি জায়গা। কল্পনার ছবি যেন বাস্তবে রূপ নিল। পাহাড়, গাছ, নদী আর বরফের এক অপূর্ব মেলবন্ধন। আমি পাহাড়ভক্ত একজন মানুষ, পাহাড়ের দিকে চেয়ে থাকি অপার দৃষ্টিতে। কিন্তু পেহেলগামের একেকটি পাহাড় একেকটি মায়া। পাহাড়ঘেরা রাস্তায় প্রতিটি বাঁকে চোখে পড়ে সারিবদ্ধ পাহাড় আর তার চূড়ায় বরফের আবরণ। মনে হবে যেন সৃষ্টিকর্তা বরফের আবরণ দিয়ে নববধূর মতো পাহাড়গুলোকে সাজিয়ে রেখেছেন তাঁর দুনিয়াতে।

দু’দিনের টানা জার্নি শেষে রাত ১২.৩০ মিনিটে আমরা আমাদের গন্তব্য কাশ্মিরের অনন্তবাগ জেলার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের হাতছানি পেহেলগামে পৌঁছলাম। সুনসান নীরবতা, নিস্তব্ধ পেহেলগাম। জনমানবশূন্য রাতের দৃশ্যপট। গাড়ি থেকে নেমেই বাপ্পি ভাই আর ফাহিম চলে গেল হোটেল বুকিং দিতে। চতুর্দিকে হোটেল, রিসোর্ট ও কটেজে ভরপুর থাকার পরও আগে থেকে বুকিং না দেওয়াই খুব বেগ পেতে হলো। কয়েকটা হোটেল ঘুরে অবশেষে মোগল দরবার নামে একটা কটেজের দুটো রুম বুকিং দিয়ে রাত্রি যাপনের জন্য আশ্রয় নিলাম। পরদিন সকালে পুরোদিনের জন্য একটা ট্যাক্সি ভাড়া করে বেরিয়ে পড়লাম ভ্রমণের নেশায়।

পেহেলগাম থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরত্বে আমাদের প্রথম গন্তব্য চন্দনওয়ারি, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দুই হাজার ৮৯৫ মিটার উঁচু, এককথায় আশ্চর্যজনক সৌন্দর্য। এ বিশেষণ ব্যবহারের কারণ, শুভ্র বরফ আপনাকে আকর্ষণ করবে। কিন্তু বরফপৃষ্ঠ এতই পিচ্ছিল যে আপনি হোঁচট খেতে বাধ্য। স্থানীয় ব্যক্তিদের প্ররোচনায় ১০০ রুপিতে গামবুট ভাড়া করেও হোঁচট খাওয়া থেকে রক্ষা পাইনি। কিন্তু স্থানীয় ব্যক্তিরা এই পিচ্ছিল পথে হেঁটে চলেন অনায়াসে। এখানে নেমেই সবাই ছবি আর ভিডিয়ো করা নিয়ে মহাব্যস্ত। ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চন্দনওয়ারিতে দেখা মিলবে আধো বরফ আচ্ছাদিত পাহাড় আর পাইনগাছের সমান্তরাল সমবায়, যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ‘শেষনাগ’ লেক। এখানে পাথরের গায়ে আছড়ে পড়া পানির শব্দ এত মোহ, মনে হবে যেন এক অদৃশ্য সঙ্গীত সুরকার প্রতিনিয়ত সুর তুলছেন তাঁর অদৃশ্য তানপুরায়। জ্যাকেট, শালসহ শীতের সব আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র পাওয়া যায় এখানে অবস্থিত দোকানগুলোতে। স্থানীয় পোশাকে ছবি তোলার ব্যবস্থাও আছে এখানে।

চন্দনওয়ারি থেকে ফেরার পথে রাস্তার পাশেই অবস্থিত দ্বিতীয় গন্তব্য ‘বেতাব ভ্যালি’। ১৯৮৩ সালে বলিউডে মুক্তিপ্রাপ্ত জনপ্রিয় মুভি ‘বেতাব’-এর নামানুসারে নাম রাখা হয় ‘বেতাব ভ্যালি’। আয়তনে চন্দনওয়ারির চেয়ে বড়ো, মনে হবে এক বিশাল সবুজ গালিচা। বিশাল পাহাড়ের মধ্যে সমতল জায়গায় ঠাঁই করে নিয়েছে পাইনবন। চন্দনওয়ারি থেকে এই পথে তীর্থযাত্রীরা অমরনাথ মন্দিরে যাত্রা করেন। ওপরের যেই চূড়াগুলোতে এখনো কিছুটা বরফ রয়ে গেছে, সেখান থেকেই এখনো বরফ গলে বেতাব ভ্যালির ভেতর দিয়ে এ স্রোতধারা ছুটে চলছে পাশ দিয়ে বয়ে চলা লিডার নদীর দিকে। পুরো নদীটি পাথর দ্বারা বেষ্টিত। স্বচ্ছ জলরাশি পাথরের গা বেয়ে ছুটে চলার দৃশ্যাবলি যে কারোর নজর কাড়বে। পেহেলগামের ‘আইকনিক ট্যুরিস্ট স্পট’ হলো এই লিডার নদী। সমস্ত কোলাহল থেকে দূরে শান্ত নির্জন জায়গায় বসে দু’দণ্ড সময় কাটাতে চাইলে লিডার নদীর চারপাশের প্রকৃতি আপনার জন্য মনোমুগ্ধকর হবে। এপ্রিল থেকে এখানে মাছ ধরার অর্থাৎ ফিশিং সিজন শুরু হয়। চলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

বেতাব ভ্যালির চারপাশের পাহাড়, নদী, উপত্যকা আর অপার নিস্তব্ধতা-প্রকৃতিপ্রেমীদের কাছে এ যেন স্বর্গের পরশ। গাড়ি থেকে নেমেই আমি আর বাপ্পি ভাই ৩০ রুপি দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করলাম। অন্যান্যরা সামনে দিয়ে বয়ে চলা লিডার নদীতে ছবি তোলা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। কিছুক্ষণ ঘুরে ছবি তুলতেই আমাদের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে এলো।

বেতাব ভ্যালি থেকে বের হয়ে পেহেলগামের দিকে কিছুক্ষণ এগোলে হাতের বামে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন পুশওয়ান পার্ক। পুশওয়ান পার্ক হলো পেহেলগাম মেট্রোপলিশের একটি বিখ্যাত পার্ক। পার্কে প্রবেশে শুরুতেই একটি ছোট্ট মসজিদের দেখা মিলবে, পাশেই দুটি গাছে আল্লাহ ও মুহাম্মদ (সা)-এর নাম খোদাই করার নান্দনিক দৃশ্যপট। বিস্তীর্ণ সবুজের সমারোহ আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা পুশওয়ান পার্ক পেহেলগামের বিভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের আবহ বহন করে। পুশওয়ান পার্কের গাছগুলো ছিল আকর্ষণীয়, বাহারি ফুলের সৌরভ আর বাতাসের মিষ্টি গন্ধে মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গেলাম। বাগানটি সবুজ ঘাসে পরিপূর্ণ, মনে হবে সবুজ গালিচা বিছানো পথে হাঁটছি। পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হলাম। সফরের সময় একটি মৃদু আবহাওয়া এবং শীতল বৃষ্টির অনুভূতি আমাদেরকে শান্ত করে দিলো। খানিকটা সময় আমরা এখানে অবস্থান করে পরবর্তী গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম।

পেহেলগামে আমাদের শেষ গন্তব্য ছিল বাইসারন ভ্যালি। পেহেলগাম থেকে যেদিকে চন্দনওয়ারি, বেতাব ভ্যালি তার উল্টো দিকে ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাইনারান ভ্যালি। বাইসারন উপত্যকা একটি শীর্ষ দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিখ্যাত, যাকে তার মনোরম সৌন্দর্যের কারণে ‘মিনি সুইজারল্যান্ড’ বলা হয়। এটি একটি পাহাড়ের চূড়ার সবুজ তৃণভূমি, যা ঘন পাইনবন এবং তুষারাবৃত পর্বত দ্বারা বেষ্টিত। ঘোড়ায় চড়েও যাওয়া যাবে, যার জন্য গুনতে হবে স্থানভেদে ৮০০-১ হাজার ২০০ রুপি। প্রথমে ভাড়াটা একটু বেশি মনে হলেও পাহাড়ি উঁচু-নিচু রাস্তায় দেড় থেকে দুই ঘণ্টার ‘হর্সরাইড’ মনে রাখার মতো দুর্দান্ত স্মৃতি।

কিছু বিখ্যাত পর্যটন পয়েন্ট, যা আপনি বাইসারানের পথে দেখতে পারেন তা হলো কানিমার্গ, পেহেলগাম ওল্ড ভিলেজ, কাশ্মির ভ্যালি পয়েন্ট, ডাবিয়ান ও ডিওন ভ্যালি পয়েন্ট। আপনি এখান থেকে পেহেলগাম শহর ও লিডার ভ্যালির মনোরম দর্শনীয় স্থানগুলো উপভোগ করতে পারেন। জম্মু ও কাশ্মিরের এই বিখ্যাত অফবিট পর্যটন স্থানটি যারা প্রকৃতির সান্নিধ্যে শান্ত সময় কাটাতে চান, তাদের জন্য দুর্দান্ত। এটি তুলিয়ান লেকে যাওয়া ট্রেকারদের জন্য একটি ক্যাম্প সাইট হিসেবেও কাজ করে।

পাশের ঘন পাইনবনে টুকরা টুকরা আঁধার জমাট বাঁধে, একপশলা কুয়াশা এসে স্নান করিয়ে দেয় পাইনগাছের প্রতিটি পাতাকে। সারা দিনের ধুলা আর জীর্ণতাকে নিশ্চিহ্ন করে দেয় এখানকার জলীয় বাষ্পেভরা হিমেল হাওয়া। সারা রাত ধরে চলে এই নিবিড় কর্মযজ্ঞ, সারিয়ে তোলে প্রকৃতির ক্ষত। আর তাই তো ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই পেহেলগাম হয়ে ওঠে অপরূপা রূপ বৈচিত্র্যে ভরা প্রকৃতির রানি। বাইসারন ভ্যালি থেকে পেহেলগামে ফেরার পথে ভেসে আসছিল মাগরিবের আজান, এ আজানের ধ্বনিতে যেন আল্লাহর নির্মোহ আহ্বান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৪৩৮ মিটার উচ্চতায় এই আজান শুনে মনে হবে, সৃষ্টিকর্তা আর আপনার মাঝে অন্য কেউ নেই। পেহেলগামে সন্ধ্যা নামে একটু দেরিতে, আজানের পরও সূর্য তার স্বমহিমায় উজ্জ্বল।

সময়ের অভাবে পেহেলগামের আরো দুটি দর্শনীয় স্থান অরু ভ্যালি ও গলফ ক্লাব-এ যাওয়া হলো না। দু’দিনের সময় নিয়ে গেলে পেগেলগামের সবগুলো দর্শনীয় স্থান রিলাক্সে ঘুরে দেখা যাবে। আমাদের একদিনের সফর তাও আবার সারাদিন বৃষ্টি থাকায় দর্শনীয় স্থানগুলো আমরা সময় নিয়ে ভালোভাবে উপভোগ করতে পারিনি। একটা আক্ষেপ থেকে গেল। সন্ধ্যার পর নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের মায়া ত্যাগ করে শ্রীনগরের উদ্দেশ্যে আমাদের পরবর্তী যাত্রা শুরু হলো।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ