নাফ নদীর ওপারে

নাফ নদীর ওপারে

কুরআনের আলো নভেম্বর ২০১৭

আমার ছিল বাগানবিলাস,
নয়নতারা ফুল-
আমার খুকুর কানে ছিল
ঝুমকোজবা দুল।
এখন দেখি মিথ্যে সবই,
সবই ছিল ভুল!
হ্যাঁ! এগুলো একজন রোহিঙ্গা বাবার মনের কথা। মানুষের মনের কথাই তো কবিরা বলতে চান। ছন্দে ছন্দে। শব্দের কারুকাজে। সেই শব্দরা কখনো কোমল হয়। কখনো বিদ্রোহী। কখনো আবেগঘন। বেশ কিছুদিন ধরেই জাদীদ কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছে না। সে যা বলতে চায়, তা বোঝানোর মতো কোনো শব্দই তার জানা নেই। কিছু লিখতে পারছে না সে। লিখতে গেলেই তার চোখে ভাসে এমন দৃশ্য, যা বিশ্বাস করার মতো নয়। তারপরও তা সত্য। নির্মম সত্য। এমন দৃশ্য পৃথিবী আর কখনো দেখেনি!
জাদীদের কবি-মন কেবলই উতলা হয়ে উঠছে। পৃথিবীর সব হাহাকার বাসা বেঁধেছে তার বুকে। তাই একজন রোহিঙ্গা বাবার সব হারানোর কষ্টকে ধারণ করতে চেয়েছে কবিতায়। অতি সাধারণভাবে। সাধারণ কথামালায়। এরপর সে লিখেছে-
আমার ভাঙা ঘরে নামতো রাঙা চাঁদ-
সে চাঁদ খুকু ধরবে বলে
রাখতো পেতে হাত।
সে চাঁদ এখন কোথায় থাকে
কার চোখে সে স্বপ্ন আঁকে
মায়াবী তুলতুল-
কোথায় আমার সোনার খুকু
কোথায় কানের দুল?
জাদীদ ভাবছে, এখন প্রয়োজন একজন কাণ্ডারির। যে ফিরিয়ে আনবে নাফ নদীর ওপারের মানুষগুলোর সাজানো অতীত। কারণ, অসহায় রোহিঙ্গা নর-নারী ও শিশুরা তো এখন সেই প্রার্থনাই করছে, “হে আমাদের প্রতিপালক! এই জালিম জনপদ থেকে আমাদের বের করে নাও। তোমার পক্ষ থেকে আমাদের একজন অভিভাবক বানাও! তোমার পক্ষ থেকে আমাদের একজন সাহায্যকারী বানাও।” (সূরা নিসা : ৭৫)
বিলাল হোসাইন নূরী
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ