দেশে দেশে বিচিত্র নববর্ষ উৎসব

দেশে দেশে বিচিত্র নববর্ষ উৎসব

ফিচার এপ্রিল ২০১৫

 হুসনে মোবারক#

পৃথিবীর প্রত্যেকটি দেশ তাদের নিজেদের মতো করে নববর্ষ পালন করে থাকে। যে যেভাবেই পালন করুক না কেন, নানান উৎসবের মধ্য দিয়েই যে নববর্ষের প্রথম দিনটি পালিত হয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। চলো দেখি, কোন দেশে কিভাবে পালিত হয় নববর্ষ উৎসব। পশ্চিমা দেশগুলোতে জানুয়ারির ১ তারিখে পালন করা হয় নববর্ষ। এ জন্য আগের দিন রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ পার্টির ব্যবস্থা হয়ে থাকে। মানুষ জমায়েত হয় শহরের বড় ঘড়ির সামনে। এ দেশগুলোর গির্জা ও জাহাজের ঘণ্টাধ্বনির মাধ্যমে নববর্ষকে স্বাগত জানায়। গির্জায় গির্জায় ঝুলানো হয় যিশুর জন্মবৃত্তান্ত। একে অন্যের সঙ্গে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে। প্রায় সব শ্রেণী ও বয়সী মানুষ নববর্ষ উদযাপনে অংশগ্রহণ করে থাকে। আতশবাজির আলোয় রাতের আকাশ ছেয়ে যায়। রাতভর চলে নাচ-গান। চীন : চীনারা তাদের নিজস্ব বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে থাকে। নববর্ষ পালনের উৎসব চলে এক মাস ধরে। ফেব্রুয়ারিতে চীনের চান্দ্র নববর্ষ। এই উৎসবকে বলা হয় ‘চুন জি’, ইংরেজিতে ‘স্প্রিং ফেস্টিভ্যাল’ বা স্প্রিং ফেস্ট। বেইজিংয়ের হোইহাই হ্রদে মন্দিরের মেলায় ভিড় জমান উৎসাহীরা। চীনের প্রাচীরের একটি অংশে এই দিন বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পর্যটকদের জন্য থাকে বিশেষ প্যাকেজ। প্রতি বছর চীনের নববর্ষে থাকে বিশেষ থিম। গত বছর ছিল সাপ। এ বছর ড্রাগন। লাল পোশাক, লাল সন্ধ্যাবাতিতে সেজে ওঠে চীনের জনজীবন। ‘ওয়েইলু’ নামক বিশেষ ভোজনের আয়োজন করা হয় এ-দিন। পক্ষব্যাপী আলাদা আলাদা অনুষ্ঠানের মধ্যে সপ্তম দিনটি পালিত হয় ‘শস্য দিবস’ নামে। জাপান : আগে চীন এবং জাপানে একই দিন নববর্ষ উৎযাপন হতো। এখন জাপানিরা ইংরেজি নববর্ষ বা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে নববর্ষ পালন করে ১ জানুয়ারি। জাপানে নববর্ষ উদযাপন করা হয় ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুসারে। শুভদিন হিসেবে অন্তত সূর্যাস্ত পর্যন্ত নববর্ষে হাস্যমুখর থাকে জাপানিরা। লোকাচার অনুযায়ী মন্দভাগ্য এড়াতে অনেকে বাড়ির সামনে টাঙিয়ে রাখে বিশেষভাবে তৈরি রশি। খারাপ আত্মাকে দূরে রাখার জন্য এ সময় বাড়ির বাইরে দড়ি দিয়ে খড়ের টুকরো ঝুলিয়ে দেয়া হয়। এটাকে তারা সুখ এবং সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে দেখে। প্রার্থনা, ঘন্টা বাজানো ও টস করার মধ্য দিয়ে উৎসব পালন করেন জাপানিরা। আর্জেন্টিনা : আর্জেন্টিনায় নববর্ষের আগের দিন রাত্রে পরিবারের সব সদস্য একসঙ্গে খাবার টেবিলে বসে খাওয়া দাওয়া করেন। নববর্ষের প্রথম দিন নদী বা পুকুরে সাঁতার কেটে তারা নববর্ষ উদযাপন করেন। ব্রাজিল : ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরো সমুদ্রসৈকতে নববর্ষের সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি হয়। এর অন্যতম আকর্ষণ চোখ ধাঁধানো পোশাক পরিধান করা। সমুদ্রে সাতটি ডুব দিলে এবং সাতটি ফুল ছুড়ে দিলে বছরটি খুব ভালো কাটবে বলে তারা মনে করেন। স্পেন : স্পেনে রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সবাই ১২টা করে আঙুর খেয়ে নিউ ইয়ারকে স্বাগত জানায়। কারণ তারা মনে করে এই আঙুর তাদের সৌভাগ্যের প্রতীক। নিউজিল্যান্ড : খ্রিস্টীয় নববর্ষ প্রথম উদযাপন শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড দ্বীপে। আতশবাজি উৎসবে মেতে ওঠেন নিউজিল্যান্ডবাসী। অস্ট্রেলিয়া : অকল্যান্ড দ্বীপের পর শুরু হয় সিডনিতে নববর্ষ উদযাপন। এ উপলক্ষে প্রায় ৮০ হাজার আতশবাজি ফোটানো হয় সিডনিতে যা ১৫ লাখ লোক উপভোগ করে। এরপর সিডনির অপেরা হাউজে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিটে আতশবাজির মধ্য দিয়ে নতুন বছর বরণ করে নেয় অস্ট্রেলীয়রা। পাশাপাশি সিডনির হার্বার ব্রিজেও আয়োজন করা হয় আতশবাজি উৎসবের। থাইল্যান্ড : থাইল্যান্ডে নববর্ষের নাম ‘সংক্রান’। এই উৎসব এপ্রিলের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ পর্যন্ত বৌদ্ধ নববর্ষ উৎসব হিসেবে উদযাপিত হয়। তারা রাস্তায় পানির পিচকারি বা বালতিতে বরফ নিয়ে সেই পানি দিয়ে ভিজিয়ে দেয়। ভিয়েতনাম : ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটিতে নববর্ষ উদযাপিত হয় ৩১ ডিসেম্বর। তাদের অনুষ্ঠানে রাস্তাঘাটকে পুষ্প ও আলোকসজ্জিত করা হয়। ভিয়েতনামে নববর্ষকে সংক্ষেপে ‘টেট’ শব্দে অভিহিত করা হয়। ভিয়েতনামিদের বিশ্বাস, ঈশ্বর ঘরে ঘরে বাস করেন। নববর্ষে বেড়াতে যান স্বর্গে। সেখানে বসে মর্ত্যরে লোক কী করছে, তা খতিয়ে দেখেন। বলা হয়, কার্প মাছের পিঠে চড়ে ঈশ্বর ভ্রমণেও বের হন। এ বিশ্বাসে অনেকে নদী বা পুকুরে কার্প মাছ ছাড়েন। মিসর : বর্তমানকালে মিসরে নববর্ষে চাঁদ দেখে নববর্ষ ঘোষণা করেন দেশের ধর্মনেতা বা প্রধান মুফতি। বিশেষ ধরনের খাবারসহ ভোজ উৎসব এবং নতুন কাপড় পরার নিয়ম সেখানে। তারপর ঈদের মতো পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময়। ইরান : ইরানে প্রাচীনকাল থেকেই নববর্ষে নওরোজ উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এ দিন কৃষকেরা ক্ষেতে বপন করেন বিভিন্ন শস্যের বীজ, ঘরদোর সাজান, নতুন পোশাক পরেন। ‘হাফত-সিন’ নামে বিশেষ খাবার এ দিনের সর্বজনীন খাবার, যা সাত রকমের উপকরণে তৈরি করা হয়। কোরিয়া : কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুর সময় কেউ ঘুমায় না। এ সময় ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রু সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে টিভিতে ৩৩ বার ঘন্টা বাজানো হয়। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এটি করা হয়। কোরিয়াতে প্রায় সবাই সূর্যোদয় দেখে। সূর্যের আলো ছড়িয়ে পড়ার সময় একজন আরেকজনকে শুভেচ্ছা জানায়। মেক্সিকো : মেক্সিকোতে ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে ১২ বার ঘণ্টা বাজানো হয়। এ সময় প্রতি ঘণ্টাধ্বনির সঙ্গে একটি করে আঙ্গুর খাওয়া হয়। তারা বিশ্বাস করে, এ সময় যা কামনা করা হয়, তাই পূরণ হয়। যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্যে নতুন বছরে মধ্যরাতের পর যে পুরুষ প্রথম বাড়িতে পা দেয়, বলা হয় সে বাড়িতে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। এ সময় পুরুষরা নিজেদের বাড়িতে টাকা, রুটি, কয়লা এবং অন্যান্য সামগ্রী উপহার হিসেবে নিয়ে আসে, যাতে করে সারা বছর পরিবারের সদস্যদের এসব জিনিসের কমতি না হয়। মধ্যরাতের পর বাড়িতে পা দেয়া প্রথম মানুষটি অবশ্যই সোনালি বা লাল চুলওয়ালা এবং মহিলা হতে পারবে না। বলা হয়, এতে করে বাড়িতে দুর্ভাগ্য আসে। লন্ডনে নববর্ষের আগ মুহূর্তে ট্রাফালগার স্কোয়ার এবং পিকাডেলি সার্কাসে বিশাল পরিসরে মানুষ সমবেত হয়। মধ্যরাতে বিগবেনের ধ্বনি শুনে এরা একত্রে নববর্ষকে বরণ করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র : যুক্তরাষ্ট্রের নববর্ষ উদযাপনের কেন্দ্রবিন্দু হয় টাইমস স্কোয়ার। এখানে নতুন বছর শুরু হওয়ার ১০ সেকেন্ড আগে এক বিশালাকার ক্রিস্টাল বল নেমে নতুন বর্ষের আগমনের কাউন্টডাউন শুরু করে। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় নিউ-ইয়ার পার্টি যাতে প্রায় ৩০ লাখ লোক অংশগ্রহণ করে। ফ্রান্স : ফ্রান্সে নববর্ষের দিনটিকে জউর দে এটরের্নস বলে ডাকা হয়। এখানে নববর্ষ উদযাপন শুরু হয় ১ জানুয়ারি, যখন একজন অন্য জনকে ‘বন্নে আনেস’ বলে অভিবাদন জানায়। এখানে নববর্ষ উদযাপন ছয় দিন ধরে চলে। এ সময় আইফেল টাওয়ারের পাশে আতশবাজি ফাটিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। ফরাসিরা থার্টি ফার্স্ট নাইটকে লা সেইন্ট-সিলভেস্ট্রে বলে ডাকে। এ দিন এক বিশেষ ভোজের আয়োজন করা হয়, যার নাম লে রেভেলিয়ন ডি সেইন্ট সিলভেস্ট্রে। তখন ভালো ভালো খাবার যেমনÑ প্যানকেক আর হাঁস রান্না হয়। এ ছাড়াও এ দিন প্যালে ডে রইস নামে এক ধরনের কেক বানানো হয়। হাঙ্গেরি : হাঙ্গেরিতে নববর্ষের দিন কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। এই কুশপুত্তলিকাকে ‘জ্যাক স্ট্র’ বলা হয়। আগের বছরে ঘটে যাওয়া সব দুর্ঘটনা এবং খারাপ কাজের প্রতীক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই কুশপুত্তলিকা পুড়িয়ে দুর্ভাগ্যকে ছুড়ে ফেলা হয়। বছরের শেষ দিন হাঙ্গেরিবাসী হাঁস, মুরগি বা কোন ধরনের পাখির মাংস খান না? তাদের মতে, এ দিন উড়তে পারে, এমন পাখির মাংস খেলে নতুন বছরে জীবন থেকে সকল সৌভাগ্য উড়ে যাবে! জার্মানি : এখানে মানুষ ঠান্ডা পানির মধ্যে তরল সিসার টুকরা ঠেলে দেয়। সিসার টুকরা যে রকম আকার বানায় তা দেখে ভবিষ্যৎ নির্ণয় করা হয়। নববর্ষের আগে খাওয়া খাবারের কিছু অংশ মধ্যরাতের জন্য রেখে দেয়া হয়, যাতে করে নতুন বছর ঘরে পর্যাপ্ত খাবার থাকে। অস্ট্রিয়া : অস্ট্রিয়ায় নববর্ষ উদযাপনের বিশেষ খাদ্য শূকরের রোস্ট। এটিকে তারা ‘সিলভেস্টেরাবেন্ড’ বলে থাকে। অস্ট্রিয়ায় শূকরকে উন্নতি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সে জন্যই নতুন বছর উন্নতি ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবেÑ এই বিশ্বাসে নববর্ষে শূকরের রোস্ট খায় অস্ট্রিয়ার লোকজন। ডেনমার্ক ও নরওয়ে : ডেনমার্ক ও নরওয়েতে নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ‘ক্রানসেকাগে’ নামক এক ধরনের মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার রীতি আছে। এটি মূলত কেক। অনেক চ্যাপ্টা কেক একটার ওপর একটা বসিয়ে এটি তৈরি করা হয়। কেক সাজাতে ক্রিম ও অন্যান্য জিনিস ছাড়াও ছোট ছোট পতাকাও ব্যবহার করা হয়। ইতালি : ইতালিতে নববর্ষে বিশেষ ধরনের সসেজ এবং মসুর ডাল খাওয়া হয়। এটিকে তারা ‘কোটেচিনো ই লেনটিচ্চি’ বলে। নেদারল্যান্ডস : নেদারল্যান্ডসে মিষ্টি দিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়া হয়। এই রীতিকে সে দেশের লোকজন ‘ওউড এন নিউ’ বা ‘পুরনো ও নতুন’ নামে অভিহিত করে। নববর্ষে ‘ওলিওবোলেন’ নামক এক ধরনের মিষ্টি খাবার তৈরি করা হয়। এটি ডোনাটের মতো ফ্রাই করা প্যাস্ট্রি, যার ভেতরে কিশমিশ, আপেল ইত্যাদি ভরা থাকে। উপরে চিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে খাবারটি পরিবেশন করা হয়। সুইডেন : সুইডেনে নববর্ষে রাইস পুডিং  তৈরি করা হয়। এর ভেতরে একটি কাঠবাদাম লুকানো থাকে। সুইডিশরা বিশ্বাস করে, খাওয়ার সময় যে কাঠবাদামটি পাবে, সে নতুন বছরে সৌভাগ্যের মুখ দেখবে। বুলগেরিয়া : বুলগেরিয়ার বর্ষবরণ রীতি অন্য ধরনের। আমাদের দেশে হাঁচি নিয়ে নানা সংস্কার আছে? কথার মাঝে হাঁচি পড়লে সেটা সত্যি হাঁচি? কথাটা সত্যি? আবার কোথাও বেরনোর সময় হাঁচি পড়ল, তো সেটা অমঙ্গলসূচক? কিন্তু বুলগেরিয়াবাসীর কাছে বর্ষ বরণের দিন হাঁচি ফেলাটা বেশ মঙ্গলের? বর্ষবরণের দিন তাদের বাড়িতে আসা কোন অতিথি যদি হাঁচি ফেলেন, তাহলে বাড়ির কর্তা তাকে নিজের খামারে নিয়ে যান? এরপর হাঁচি ফেলা ব্যক্তির প্রথম নজর খামারে যে পশুটির ওপর পড়বে, সে পশুটিকে গৃহকর্তা এ ব্যক্তিকে উপহার দেন? ভাগ্য সঙ্গ দিলে অনেক অতিথি ঘোড়াও উপহার হিসেবে পেয়ে থাকেন? বুলগেরিয়ানদের ধারণা, হাঁচি ফেলা অতিথি নববর্ষে পুরো পরিবারের জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবেন? মাদাগাস্কার : আফ্রিকার মাদাগাস্কারে নতুন বছর শুরুর সাত দিন আগে থেকে মাংস খাওয়া বন্ধ? বছরে প্রথম দিন বাড়িতে মুরগির মাংস রান্না হবে? প্রথমে তা খেতে দেয়া হবে বাবা-মাকে? বাবা-মাকে খেতে দেয়া হয় মুরগির লেজের দিকের অংশটা? আর ভাইবোনদের দেয়া হয় মুরগির পা? বাংলাদেশে বর্ষবরণ : গ্রামীণ গম্ভীরা, যাত্রা, জারি, লোকগীতি ছাড়াও রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলসঙ্গীত ও দেশাত্মবোধক গান এখন বাংলা নববর্ষ উৎসবের মূল উপাদান। এভাবেই নববর্ষ উৎসব এখন ধর্ম-বর্ণ- গোত্রনির্বিশেষে এক বর্ণিল, সর্বজনীন জাতীয় উৎসব ও বাঙালির মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ব্যাপ্তি বিশাল। গ্রামে গঞ্জে, হাট-বাজার, ঢাকার রমনা বটমূল, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, পুরান ঢাকাসহ সারা দেশের গ্রাম-শহরে আবালবৃদ্ধবনিতা এই দিন সকাল থেকে মেতে ওঠে নাচ-গান, কবিতা, নাটক ও হালখাতা উৎসবে। নতুন সাজে, পোশাকে উৎসবে মেতে ওঠে সবাই। মোগল সম্রাট আকবরের সময় ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ মার্চ বা ১১ মার্চ থেকে বাংলা সাল গণনা শুরু হয়। আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে। ১৯৬৭ সালের আগে ঘটা করে পহেলা  বৈশাখ পালনের রীতি তেমন একটা জনপ্রিয়তা পায়নি।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ