জান্নাতবাসীদের খাবার-দাবার

জান্নাতবাসীদের খাবার-দাবার

হাদীসের আলো মে ২০১০

“হজরত যাবির (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন, অবশ্যই জান্নাতবাসীরা জান্নাতে খাদ্য ও পানীয় গ্রহণ করবে। কিন্তু তাদের থুথু ফেলার, পেশাব-পায়খানা করার, কিংবা নাক ঝাড়ার প্রয়োজন হবে না। সাহাবীরা প্রশ্ন করলেন, তাদের ভক্ষ্যবস্তুর (পেটে) কী দশা হবে? রাসূল (সা) বললেন, ঢেঁকুর ও পরিছন্নতার মাধ্যমে বের হবে। কিন্তু মেশকের সুগন্ধ বের হবে। আর জান্নাতবাসীদের অন্তরে আল্লাহর তাসবিহ ও তাহমিদ এমনভাবে বেঁধে দেয়া হবে যেমন শ্বাস-প্রশ্বাস (অর্থাৎ জান্নাতবাসীরা শ্বাস-প্রশ্বাসের ন্যায় সুবহানাল্লাহ আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করতে থাকবে)।” (সহীহ মুসলিম) সুপ্রিয় বন্ধুরা, তোমাদেরকে যদি প্রশ্ন করা হয় তোমরা কে কে জান্নাতে যেতে চাও? নিশ্চয়ই তোমরা একবাক্যে বলবে আমরা সবাই জান্নাতে যেতে চাই। শুধু জান্নাতে যাওয়া কেন? চিরকাল জান্নাতের অধিবাসী হতে চাই। বেহেশতে যেতে চায় না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একজন মানুষ যতই পাপ করুক না কেন সে জান্নাতে যেতে চায়। জান্নাতের নাজ-নিয়ামত ভোগ করতে চায়। যারা আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে এবং রাসূল (সা) এর নির্দেশিত পথে চলবে আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে জান্নাত দান করবেন। তাদেরকে তিনি এমন জান্নাত দান করবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝরনাধারা প্রবাহিত। যারা সাফল্য লাভ করবে তাদের জন্য এটা আল্লাহর ওয়াদা। মুত্তাকি লোকদের জন্য আল্লাহ তা’য়ালা জান্নাতের বর্ণনা এভাবে দিয়েছেন- ‘তাতে রয়েছে পানির ঝর্ণাসমূহ, চির সুস্বাদু দুধের প্রবাহ এবং পানকারীদের জন্য বিশেষ স্বাদযুক্ত পানীয়ের প্রবাহ এবং বিশুদ্ধ নহরসমূহ। ঝরনাধারা প্রবহমান হবে স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন মধুর।’ সেখানে তারা যা খেতে চাইবে তাই পাবে। পার্থিব জীবনে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার পর তা আবার শরীর থেকে বেরিয়ে না গেলে আমরা খাবার গ্রহণ করতে পারি না। এটি আমাদের নিয়মিত কাজের অংশ কিংবা অভ্যাসও বটে। কিন্তু যারা জান্নাতবাসী হবে তাদের এমন কোন প্রয়োজনীয়তা দেখা দেবে না। জান্নাতবাসীরা খাবার গ্রহণের পর যখন হজম হবে তখন ঢেঁকুরের মাধ্যমে তা নিঃশেষ হয়ে যাবে। পুনরায় তারা খেতে চাইবে, তাদেরকে খেতে দেয়া হবে। এভাবে দিনের পর দিন চলবে। কিন্তু কোন টয়লেট কিংবা প্রাকৃতিক কাজের প্রয়োজন হবে না। আলোচ্য হাদিস অনুযায়ী ঢেঁকুর ও পরিছন্নতার মাধ্যমে তা বের হয়ে যাবে। তাদের এ ঢেঁকুরের সাথে যে গন্ধ বের হবে তা মেশকের সুগন্ধযুক্ত হবে। আল্লাহ তা’য়ালা জন্নাতবাসীদের জন্য এমন ব্যবস্থা করে রেখেছেন যা দুনিয়ার কোন ব্যবস্থাপনার সাথে মিলবে না। এত সুন্দর নাজ নিয়ামত ভোগ করার আগ্রহ কার না জাগে? আমরা সবাই চাই এমন একটি সুন্দর জান্নাতের চিরস্থায়ী অধিবাসী হতে। প্রিয় বন্ধুরা, এসো আমরা আল্লাহ পাকের এমন প্রিয় বান্দা হই যাতে জান্নাতের অসংখ্য নিয়ামত ভোগ করতে পারি।

গ্রন্থনায় : আবদুল কুদ্দুস মাখন

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ