কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ড

কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ড

ফিচার আগস্ট ২০১৪

krishnnoপ্রাচীন সভ্যতা আর ইতিহাস-ঐতিহ্যের দেশ চীন। এ দেশে রয়েছে অবারিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর অনেক দর্শনীয় স্থান । দেশটির য়ুনান প্রদেশের প্রাচীন নগরী লিজিয়াংয়ের কাছে সুন্দর একটি উদ্যান আছে। নগরীর উত্তরে এলিফ্যান্ট পাহাড়ের পাদদেশে এ উদ্যানের অবস্থান। উদ্যানের নাম জেড ¯িপ্রং। চীনা ভাষায় একে বলে হেইলংতান। এখানকার কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ড (ব্ল্যাক ড্রাগন পুল) বিখ্যাত। আর এ কুণ্ডের নাম অনুসারেই উদ্যানটি কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ড নামে সুপরিচিত। প্রায় ৪০ হেক্টর জায়গাজুড়ে রয়েছে কুণ্ডটি। সাধারণত কুণ্ড বলতে বোঝায় প্রাকৃতিক হ্রদ। এ হ্রদে ঝরনাধারাও এসে নামতে পারে। কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ড যেন এক পাখির রাজ্য। কত জানা-অজানা পাখি এখানে! আর দৃষ্টি আকর্ষক গাছপালা তো রয়েছেই। উদ্যানের ভূদৃশ্যে কুণ্ডকে ঘিরে আছে প্রাচীন কয়েকটি স্থাপনা। এগুলোর মধ্যে লংশেন মন্দির, দেয়ু প্যাভিলিয়ন, সুওকুই সেতু ও হানয়ু মঞ্চ বিখ্যাত। উদ্যানে এসে রঙিন শান বাঁধানো পথ বরাবর এগিয়ে গেলেই পৌঁছা যাবে পান্না রঙের পানির ওপর একটি পাথরের সেতুতে। এটিই সুওকুই সেতু। এখান থেকে উত্তরে তাকালে অনুকূল আবহাওয়ার দিনে জেড ড্রাগন স্নো মাউন্টেন (জেড ড্রাগন বরফ পাহাড়) দেখা যায়। এ পাহাড়ের সাদা বরফ আর সাদাটে মেঘ উদ্যানের সম্পদ। দেয়ু প্যাভিলিয়নের অবস্থান কুণ্ডের মাঝে। একই অক্ষ বরাবর রয়েছে হানয়ু মঞ্চ। সদর দরজায় (গেইট) খোদিত আছে বিখ্যাত চীনা কবি গুও মোরুওয়ের দু’টি শ্লোক। লংশেন মন্দির যেন উদ্যানের কেন্দ্র-মাধুরী। এতে রয়েছে একটি সদর দরজা-ঘর, যার রয়েছে দু’টি বিশেষ অংশ। মন্দিরে আরো রয়েছে একটি বড় হল। লংশেন অর্থ চীনা ভাষায় ড্রাগন দেবতা। আর চীনা পুরাণে একে উল্লেখ করা হয়েছে বৃষ্টির দেবতা হিসেবে। কিং রাজবংশের সময়ে সম্রাট কিয়ানলংয়ের শাসনামলে ১৭৩৭ সালে এ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়। মন্দিরের নাম লংশেন অনুমোদন পায় কিং রাজবংশের কয়েকজন সম্রাটের মাধ্যমে। এ নামকরণ কৃষ্ণ ড্রাগন কুণ্ডের মর্যাদাও দেয় বাড়িয়ে। মার্চ মাসে স্থানীয়রা উপাসনার জন্য মন্দিরে একত্রিত হয়। ধারণা করা হয়, এখানকার ঝরনার পানির রোগ নিরাময় ক্ষমতা আছে, বিশেষ করে পেটের অসুখ আর জটিল রোগের।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ