ঈদের দিনে আনন্দের সীমা

ঈদের দিনে আনন্দের সীমা

কুরআনের আলো আগস্ট ২০১১

“হযরত আয়েশা (রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একবার) আবু বকর এলেন। তখন আনসারদের দুটি মেয়ে আমার নিকট (বসে) বুআস যুদ্ধের দিনে (নিজেদের প্রশংসা ও অপরের নিন্দা করে) আনসাররা পরস্পর যা বলেছিল, সে সম্পর্কে গীত গাচ্ছিল। তিনি বলেন, তারা (পেশাগত) গায়িকা ছিলনা। আবু বকর বললেন, রাসূল (সাঃ) এর গৃহে শয়তানী বাদ্যযন্ত্র! এটা (ঘটেছিল) ঈদের দিন। রাসূল (সা) বললেন, হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতির জন্যই ঈদ রয়েছে, আর এ হচ্ছে আমাদের ঈদ। (সহীহ বুখারী)
সুপ্রিয় বন্ধুরা,
প্রতি বছরের ন্যায় আবারও আমাদের মাঝে ঈদ এলো। দুটি ঈদের মধ্যে একটি হলো ঈদুল ফিতর অন্যটি  ঈদুল আযহা।
তবে ঈদুল ফিতর মুসলমানদের সর্ব বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। এই ঈদের দিন উৎযাপনে হাদীসের কতেক রীতি নীতি রয়েছে। যে যার খেয়াল খুশিমত আনন্দ করলেই চলবে না। আনন্দ করা যাবে, তবে তার একটি সীমা রয়েছে। প্রত্যেক জাতির জন্যেই ঈদ রয়েছে। আবার প্রত্যেক জাতির জন্যেই ধর্মীয় বিধান রয়েছে। ঈদের দিনের আনন্দের সীমা কতটুকু তা আলোচ্য হাদীসে আমরা দেখতে পাই। এখানে গানের পেশায় নিয়জিত কোন গায়িকা বা শিল্পী গান গায়নি। যারা গান গেয়েছে তারা ঈদের দিনের আনন্দের মধ্যে থেকেই গান গেয়েছে। এটা ছিল কেবল আনন্দেরই বহি:প্রকাশ। আর তারা গান গেয়েছে যুদ্ধের প্রশংসায়। এটা ইসলামের পরিপন্থী নয়।
সুতরাং আলোচ্য হাদীস থেকে উপলব্ধি করা যায় এখানে রাসূল (স) আবু বকরের কথার বিরোধীতা করেন নি। বরং তার ধারণা যে সঠিক ছিল না, তা স্পষ্ট করেছেন। ঈদের দিনে আনন্দের সুযোগ রয়েছে। তা যদি ইসলামের কোন ঘটনাকেন্দ্রীক কিংবা কোন উপল্েয হয় তবে তা শরীয়তে জায়েয আছে। আমরা ইসলামের গন্ডির বাইরে গিয়ে আনন্দ করাটা আমাদের জন্য শোভা পায়না। তাই আমাদের উচিৎ ইসলামের নিয়মের মধ্যে থেকেই ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা।
প্রিয় বন্ধুরা,
এসো আমরা ঈদের দিনে ততটুকু আনন্দ করি যতটুকু ইসলাম আমাদেরকে করার সুযোগ দিয়েছে।

গ্রন্থনায়:
আবদুল কুদ্দুস মাখন
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ