ঈদের খবর  -বিলাল হোসাইন নূরী

ঈদের খবর -বিলাল হোসাইন নূরী

কুরআনের আলো জুন ২০১৮

ঈদের খবর ছড়িয়ে পড়েছে চারদিকে। আকাশে-বাতাসে। ফুলের বনে। পাখির ডানায়। এমনকি আহসানদের পদ্মদীঘির পানিতেও। দীঘির পানি যেন আনন্দে দুলছে। দুলবে না কেন? তার বুকেও তো চাঁদের ছায়া পড়েছে আজ। ঈদের চাঁদ! যে চাঁদে ভালোবাসা আছে। স্বপ্ন আছে। আছে নতুন জীবনের গল্প!

মাগরিবের সালাত আদায় করে বাসায় ফিরছিল আহসান। আর তার ভাবনাগুলো এভাবেই আলোড়িত করছিল তাকে।
একটু পরেই বাসায় ফিরলেন দাদাভাই। মলিন মুখ। কী যেন ভাবছেন আনমনে। তাহলে কি দাদীর কথা মনে পড়েছে তার? হয়তোবা। দাদাভাইয়ের পাশে গিয়ে বসল আহসান। নীরবে। এরপর বলেই ফেলল- কী হয়েছে দাদাভাই? আহসানের চোখে চোখ রেখে হেসে উঠলেন তিনি। বললেন, না- তেমন কিছুই হয়নি। রমাদান মাস চলে গেল তো। তাই একটু খারাপ লাগছিল! এমন পবিত্র দিন- এমন সুরভিত রাত জীবনে আর পাবো কি-না জানি না!
আহসান ভাবল, সত্যিই তো! সবার মনেই যদি এমন ভাবনা জাগত! তাহলে ঈদের আনন্দ হয়তো আরও মধুর হয়ে উঠত। এমন অনুভূতি যাদের আছে, ঈদের দিনের পুরস্কার মনে হয় তাদের জন্যই। তাদের জন্যই ক্ষমা। তাদের জন্যই আল্লাহর ভালোবাসা। রহমতের নদী। জান্নাতের শীতল শামিয়ানা!
দাদা বললেন, চলো! আজ রাতে আমরা অনেক ইবাদাত করব। দু’জনেই।- আজ রাতে? আজ তো খুশির রাত। আজ তো তারাবির সালাতও নেই।- বলল আহসান। দাদা বললেন- কাল ঈদ বলে খুশিতেই রাত কাটিয়ে দিতে হবে? মহানবী (সা) বলেছেন- “যে ব্যক্তি সওয়াবের আশায় ঈদের রাতে ইবাদাত করবে- তার হৃদয় তখনও মরবে না, যখন সবার হৃদয় মরে যাবে!” (বায়হাকি)। ঈদের প্রকৃত খুশি তো এখানেই!
মুমিনরা এমনই হয়! আহসান ভাবে- দাদাভাই না থাকলে এসব সে কার কাছে শিখত? কার কাছে পেত সে প্রকৃত ঈদের খবর!
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ