ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ক্যালকুলেশন

ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ক্যালকুলেশন

ফিচার জানুয়ারি ২০১৩

মো: বিল্লাল হোসেন..

প্রতি বছর নতুন নতুন ক্যালেন্ডারে চোখ জুড়ালেও এই ক্যালেন্ডারে রয়েছে অনেক অভিনব মজার মজার ক্যালকুলেশন! সাধারণত যা আমরা খেয়াল করিনা। কিন্তু এগুলো জানা অনেক সময় আমাদের জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। যেমন- তোমাদের কারোর নিজের বা কোনো আপনজনের জন্ম তারিখ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার তারিখ, বনভোজনের তারিখ, মৃত্যু তারিখ অথবা বিশেষ কোনো দিনের তারিখ খেয়াল আছে কিন্তু ঐ তারিখে কী বার ছিল তা মনে করতে পারছ না আবার আজকের এই তারিখে যে বার ঠিক কত বছর আগে এই তারিখে এই বার ছিল? একটি বছর কী বারে শুরু হয় ও কী বারে শেষ হয়? বছরের প্রতিটি মাস কী বারে শুরু হয় ও কী বারে শেষ হয়? অধিবর্ষ হলে বছর ও মাসগুলোতে কী কী পরিবর্তন হয়? বিশেষ করে আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে অনেকে জন্মতারিখ বলতে পারলেও জন্ম তারিখে কী বার ছিল তা বলতে পারে না। এছাড়া আজ থেকে ১০, ১০০, ২০০, ৫০০, ১০০০, ২০০০ বছর বা তারও আগে কোনো বছরে কোনো নির্দিষ্ট তারিখে কী বার ছিল তার কোনো ক্যালকুলেশন আমরা জানি না বললেই চলে। এ রকম অনেক জানা- অজানা বিষয়ের ক্যালকুলেশন জানতে হলে নিচের লেখাটি অত্যন্ত মনযোগ সহকারে পড়তে হবে, বুঝতে হবে ও চর্চা করতে হবে। তাহলে চলো এবার শুরু করা যাক। তোমাদের জানা আছে যে, ইংরেজি সালের ১২ মাসের মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে যায়। তবে এ মাসটি অধিবর্ষ (যে সালকে ৪ দিয়ে ভাগ করা যায় সে সালটি অধিবর্ষ হয়) হলে ২৯ দিনে যায়। আর এপ্রিল, জুন, সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর এই চারটি মাস প্রত্যেকটি ৩০ দিনে যায়। এছাড়া অবশিষ্ট ৭টি মাস প্রত্যেকটি ৩১ দিনে যায়। কিন্তু এটা কি জানা আছে যে, ২০১১ সালটি কী বারে শুরু হয়েছিল? হ্যাঁ এ সালটি শনিবারে শুরু হয়েছিল। এর অর্থ ২০১১ সালের জানুয়ারি মাস শনিবারে শুরু হয়েছিল। আবার দেখ, ২০১১ সালের জুন মাস বুধবারে শুরু হয়েছিল। এ মাসটি কী বারে শেষ হয়েছিল তা কি জান? হ্যাঁ, বৃহস্পতিবারে শেষ হয়েছিল। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্য করেছ যে, জানুয়ারি মাস শনিবারে শুরু হয়ে ঠিক তার দুই দিন পর সোমবারে শেষ হয়েছে। এটাও ঠিক জানুয়ারি মাস ৩১ দিনে যায়। অন্য দিকে জুন মাস বুধবারে শুরু হয়ে তার একদিন পর বৃহস্পতিবারে শেষ হয়েছে। তবে জুন মাস ৩০ দিনে যায়। তাহলে এ নিয়মটি খেয়াল রাখবে যে, “বছরের যে মাসগুলো ৩১ দিনে যায় সে মাসগুলো সপ্তাহের যে বারে শুরু হয় ঠিক তার ২ দিন পরের বারে শেষ হয়। আর যে মাসগুলো ৩০ দিনে যায় সে মাসগুলো সপ্তাহের যে বারে শুরু হয় তার পরের দিনের বারে শেষ হয়। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাস সপ্তাহের যে বারে শুরু হয় তার আগের দিনের বারে শেষ হয়। তবে অধিবর্ষ হলে যে বারে শুরু হয় ঐ একই বারে শেষ হয়।” ২০১২ সাল কী বারে শুরু হয়েছিল? এটা তো সহজে বলতে পারলে যে, রবিবারে। এবার বলতো এ বছরটি কী বারে শেষ হয়েছে? আবারও ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টানো লাগলো, তাই না? এবার ২০১১ সালের দিকে লক্ষ্য কর- এ সালটি শুরু হয়েছিল শনিবারে আবার শেষও হয়েছিল শনিবারে। আবার ২০১০ সালের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবে এ সালটি শুক্রবারে শুরু হয়ে শেষও হয়েছিল শুক্রবারে। তাহলে এটা জেনে রাখ যে, “ইংরেজি বছর যে বারে শুরু হয় ঐ একই বারে শেষ হয়। তবে সালটি অধিবর্ষ হলে যে বারে শুরু হয় ঠিক তার একদিন পরের বারে শেষ হয়।” ২০০৬ সাল কী বারে শুরু হয়েছিল বলতে পরবে? এইতো পেরে গেছো- রবিবারে। এবার লক্ষ্য কর ২০০৬ সালটি ২০১২ সালের ৬ বছর আগে ছিল। আর ২০১২ সালটি অধিবর্ষ অর্থাৎ অধিবর্ষ সাল যে বারে শুরু হয় তার ৬ বছর আগের সালটি ও ঐ একই বারে শুরু হয়। শুধু তাই নয়, তার আরো ১১ বছর আগের সালও একই বারে শুরু হয়। তার আরো ৬ বছর আগের ও আরো ৫ বছর আগের সালগুলোও একই বারে শুরু হয়। যেমন ২০১২ অধিবর্ষ সাল রবিবারে শুরু হয়েছিল এর ৬ বছর আগে ২০০৬ সাল এবং তার ১১ বছর আগের ১৯৯৫ সাল, তার আরো ৬ বছর আগের ১৯৮৯ সাল এবং তার  আরো ৫ বছর আগের ১৯৮৪ সালও রবিবারে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ “যে কোনো অধিবর্ষের সাল থেকে প্রথমে ৬ বছর তার থেকে আরো ১১ বছর আবার ৬ বছর এবং সর্বশেষ ৫ বছর বিয়োগ করলে অধিবর্ষের বছরে শুরু হওয়া বারের সালটিই পাওয়া যায়।” অধিবর্ষের সাল থেকে বিগত দিনের ক্যালকুলেশন জানা গেল (তবে আগামী দিনের ক্যালকুলেশনও জানা যায়), এবার জানতে হবে অধিবর্ষের পরের বছর থেকে কিভাবে একই বছরে শুরু হওয়া বছরের ক্যালকুলেশন করতে হয়। ২০০৯ এমনই একটি সাল যা অধিবর্ষ ২০০৮ সালের পরের বছর। এই সালটি শুরু হয়েছিল বৃহস্পতিবারে। এর ৫ বছর আগের ২০০৪ সালটিও বৃহস্পতিবারে শুরু হয়েছিল। ২০০৪ সালের ৬ বছর আগের ১৯৯৮ সাল আরো ১১ বছর আগের ১৯৮৭ সাল এবং তার আরও ৬ বছর আগের ১৯৮১ সালও বৃহস্পতিবারে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ “যে কোনো অধিবর্ষের পরের বছর থেকে প্রথমে ৫ বছর তার থেকে আরও ৬ বছর তার থেকে আরও ১১ বছর এবং সর্বশেষ আবার আরও ৬ বছর বিয়োগ করলে অধিবর্ষের পরের বছরে শুরু হওয়া বারের বছরটিই পাওয়া যায়।” এবার অধিবর্ষের আগের বছরের ক্যালকুলেশন জানা যাক। ২০১১ এমনই একটি সাল। আর আগেই বলেছি এ সাল শুরু হয়েছিল শনিবারে। এর ৬ বছর আগের ২০০৫ সাল আরও ৫ বছর আগের ২০০০ সাল তার আরো ৬ বছর আগের ১৯৯৪ সাল এবং আরো ১১ বছর আগের ১৯৮৩ সালও শনিবারে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ “যে কোনো অধিবর্ষের আগের বছর থেকে প্রথমে ৬ বছর তার থেকে আরো ৫ বছর তার থেকে আবার ৬ বছর এবং সর্বশেষ আরো ১১ বছর বিয়োগ করলে অধিবর্ষের আগের বছরে শুরু হওয়া বারের বছরটিই পাওয়া যায়।” শুধু এক অধিবর্ষ থেকে অন্য অধিবর্ষের মধ্যে যে চার বছরের ব্যবধান সেগুলোর ক্যালকুলেশন জানতে পারলেই যে কোনো বছর শুরুর বার ও যে কোনো তারিখের বার সহজেই বের করা যায়। এ পর্যন্ত অধিবর্ষ, অধিবর্ষেরর পরের বছর ও অধিবর্ষের আগের বছর থেকে ক্যালকুলেশন জানা গেল। এখন অবশিষ্ট আছে আর একটি বছর যা অধিবর্ষ বছর থেকে ২ বছর আগের বা পরের বছর হিসেবে গণ্য করা যায়। এমনই একটি সাল ২০১০ যা ২০১২ সালের ২ বছর আগে ও ২০০৮ সালের ২ বছর পরের বছর। এ সালটি শুরু হয়েছিল শুক্রবারে। এই বছরের ১১ বছর আগের ১৯৯৯ সাল তার ৬ বছর আগের ১৯৯৩ সাল আরো ৫ বছর আগের ১৯৮৮ সাল এবং আারো ৬ বছর আগের ১৯৮২ সালটিও শুক্রবারে শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ “অধিবর্ষ বছরের ২ বছর আগের বা পরের বছর থেকে প্রথমে ১১ বছর তার থেকে আরো ৬ বছর তার থেকে আরো ৫ বছর এবং সর্বশেষ আবার ৬ বছর বিয়োগ করলে ঐ একই বারে শুরু হওয়া বছর পাওয়া যায়।” উপরের নিয়মগুলো পর্যালোচনা করলে আরো সহজ ও সংক্ষিপ্ত কিছু সমীকরণ পাওয়া যায়। নিচে সমীকরণগুলো দেওয়া হলো। কোনো নির্দিষ্ট বছর থেকে যে নিয়মে অন্য বছরগুলো বিয়োগ করলে ঐ একই বারে শুরু হওয়া বছরগুলো পাওয়া যায় তা হলোÑ ক.    নির্দিষ্ট বছরটি অধিবর্ষ হলে = নির্দিষ্ট বছর - ৬ বছর - ১১ বছর - ৬ বছর - ৫ বছর খ.    নির্দিষ্ট বছরটি অধিবর্ষের পরের বছর হলে = নির্দিষ্ট বছর - ৫ বছর - ৬ বছর - ১১ বছর - ৬ বছর গ.    নির্দিষ্ট বছরটি অধিবর্ষের আগের বছর হলে = নির্দিষ্ট বছর - ৬ বছর - ৫ বছর - ৬ বছর - ১১ বছর ঘ.    নির্দিষ্ট বছরটি অধিবর্ষের ২ বছর আগের বা পরের বছর হলে = নির্দিষ্ট বছর - ১১ বছর - ৬ বছর - ৫ বছর - ৬ বছর এখানে একটি মজার বিষয় লক্ষ্য করেছ যে, সংখ্যাগুলোর মধ্যে ৬ সংখ্যাটি কখনও পরপর বসেনি। আবার দুটি ৬ এর একপাশে ১১ সংখ্যাটি অবস্থান নিলে অন্যপাশে ৫ সংখ্যাটি অবস্থান নিয়েছে। এটি উপর থেকে নিচ অথবা পাশাপাশি উভয়দিকে প্রযোজ্য। আরো মজার ব্যাপার দেখ, প্রথম সমীকরণের শেষ সংখ্যা ৫ স্থান পরিবর্তন করে ২ নং সমীকরণের প্রথমে বসেছে তারপর অন্য সংখ্যাগুলো ধারাবাহিকভাবে বসেছে। তেমনি ২ নং সমীকরণের শেষ সংখ্যা ৬ স্থান পরিবর্তন করে ৩ নং সমীকরণের প্রথমে বসেছে এবং ৩ নং সমীকরণের শেষ সংখ্যা ১১ স্থান পরিবর্তন করে ৪ নং সমীকরণের প্রথমে বসেছে। আবার ৪ নং সমীকরণের শেষ সংখ্যা ৬ স্থান পরিবর্তন করে ১ নং সমীকরণে রূপ নিয়েছে। তাহলে সমীকরণগুলো সহজে ক্যালকুলেশন করার উপায় জানলে তো! এতক্ষণ কোনো নির্দিষ্ট বছর কী বারে শুরু হয়েছিল তা বের করার নিয়ম জানা গেল। এবার জানা যাবে কোনো বছর শুরু হওয়ার কতদিন পর কী মাস শুরু হয়। আর এ নিয়মটি জানতে পারলে যে কোনো সালের শুরুর বারের সূত্র ধরে ঐ বছরের যে কোনো মাসের ক্যালকুলেশন স্পষ্ট হয়ে যাবে। তখন যে কোনো তারিখে কী বার ছিল বা হবে তা জানা যাবে। সাধারণত যে কোনো বছর যে বারে শুরু হয় সে বার থেকে- ষ    জানুয়ারি ও অক্টোবর মাস         একইবারে শুরু হয়। ষ    মে মাস ১ দিন পর (বা ৬ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    আগস্ট মাস ২ দিন পর (বা ৫ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    ফেব্রুয়ারি, মার্চ ও নভেম্বর ৩ দিন পর (বা ৪ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    জুন মাস ৪ দিন পর (বা ৩ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    সেপ্টেম্বর ও ডিসেম্বর মাস ৫ দিন পর (বা ২ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    এপ্রিল ও জুলাই মাস ৬ দিন পর (বা ১ দিন আগে) শুরু হয়। কিন্তু সালটি অধিবর্ষ হলে সাধারণ বছর থেকে মার্চ টু ডিসেম্বর পর্যন্ত একদিন পরে শুরু হয়। তখন ফিগারটি দাঁড়ায়- ষ    জানুয়ারি, এপ্রিল ও জুলাই মাস একই দিনে শুরু হয়। ষ    অক্টোবর মাস ১ দিন পর (বা ৬ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    মে মাস ২ দিন পর (বা ৫ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    ফেব্রুয়ারি ও আগস্ট মাস ৩ দিন পর (বা ৪ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    মার্চ ও নভেম্বর মাস ৪ দিন পর (বা ৩দিন আগে) শুরু হয়। ষ    জুন মাস ৫ দিন পর (বা ২ দিন আগে) শুরু হয়। ষ    ডিসেম্বর ও সেপ্টেম্বর মাস ৬ দিন পর (বা ১ দিন আগে) শুরু হয়। এতক্ষণে তো অনেক জানা হয়েছে। কতটুকু জানা হয়েছে তা এখন যাচাই করার পালা। ধর, তোমার একমাত্র আদরের ফুটফুটে মায়াময়ী ভাগ্নীর নাম মেহেরিনের জন্ম তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১০। এখন তোমাকে বের করতে হবে সে কী বারে জন্মগ্রহণ করেছিল? ভাবছো, কীভাবে শুরু করবে? প্রথমে বের কর ২০১০ সাল কী বারে শুরু হয়েছিল। এ সালটি শুক্রবারে শুরু হয়েছিল। আর সাধারণ বছর হিসেবে নভেম্বর মাস বছর শুরু হওয়া শুক্রবার থেকে ৩ দিন পর শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ২০১০ সালের নভেম্বর মাস সোমবারে শুরু হয়েছিল। এবার প্রথম দিন +৭+৭+৭+৭=২৯ তারিখ যা সোমবার ছিল। কিন্তু আমাদের দরকার ২৮ তারিখ যা একদিন আগে অর্থাৎ রবিবার ছিল। অতএব মেহেরিন রবিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল। এখন ২০১২, ২০১৩, ২০১১ ও ২০১০ সালগুলোর মধ্যে অধিবর্ষের ২ বছর আগের ২০১০ সাল থেকে ২৮ বছর আগে ছিল ১৯৮২ সাল। যার অর্থ ১৯৮২ সালটি ও ২০১০ সালের মত শুক্রবারে শুরু হয়েছিল। আর সাধারণ বছর হিসেবে মার্চ মাস বছর শুরু হওয়া শুক্রবার থেকে ৩দিন পর শুরু হয়েছিল। অর্থাৎ ১৯৮২ সালের মার্চ মাস সোমবারে শুরু হয়েছিল। এখন প্রথম দিন +৭ = ৮ তারিখ সোমবার। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন আরও ৩দিন পরের বার যা বৃহস্পতিবার ছিল। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ঐ তারিখের বার বের করতে লক্ষ্য কর, বর্তমান সময় থেকে ১৯৭১ সালের পার্থক্য ২৮ বছরের বেশি। সেজন্য ২০১২, ২০১৩, ২০১১ ও ২০১০ এর যে কোনো সাল থেকে ২৮ বছর বিয়োগ করে সমীকরণের সূত্র অনুযায়ী বিগত বছরগুলো বিয়োগ করতে থাকলে ১৯৭১ সালের সাথে মিলে যাবে অথবা কাছাকাছি যে কোনো সালের সাথে মিলে যাবে। এক্ষেত্রে অধিবর্ষের ২ বছর আগের অর্থাৎ ২০১০ সাল থেকে ২৮ বছর বিয়োগ করলে ১৯৮২ সাল পাওয়া যায়। এরপর ঐ সালের সমীকরনের সূত্রানুাযায়ী আরো ১১ বছর বাদ দিলে ১৯৭১ সাল পাওয়া যায় যা শুক্রবারে শুরু হয়েছিল। (উল্লেখ্য অধিবর্ষ অথবা অধিবর্ষের পরের বছর অথবা অধিবর্ষের আগের বছর অথবা অধিবর্ষের ২ বছর আগের বা পরের বছর থেকে ২৮ বছর বিয়োগ করে সমীকরণের সূত্রানুযায়ী অন্য বছরগুলো বিয়োগ করলেও ঐ একই ক্যালকুলেশন হবে।) আর সাধারণ বছর হিসেবে মার্চ মাস বছর শুরুর দিন থেকে তিন দিন পর অর্থাৎ সোমবারে শুরু হয়েছিল। এখন, প্রথম দিন +৭ +৭ +৭ = ২২ তাং যা সোমবার ছিল। কিন্তু আমাদের প্রয়োজন আরও ৪ দিন পরের ২৬ তারিখ যা শুক্রবার ছিল। অতএব, “আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুক্রবারে শুরু হয়েছিল।” বর্তমান ক্যালেন্ডারের যে ক্যালকুলেশন করা হয় সেটি হাজার হাজার বছর পূর্বে ০১/০১/০১ (০১ সালের পহেলা জানুয়ারি) তারিখে কী বার ছিল তা বের করার চিন্তা কখনও করেছ? তাহলে এভাবে শুরু কর- ২০১২ সাল থেকে ২৮ বছর বার বার বিয়োগ করতে থাকলে শেষের দিকে... ৮০, ৫২, ২৪ ও -৪ সাল পাওয়া যাবে। এখানে সমীকরণের অধিবর্ষ সালের সূত্র ধরে ২৪ সাল থেকে ৬ বছর ১১ বছর ও আবার ৬ বছর বাদ দিলে ০১ সাল পাওয়া যাবে। (এছাড়া -৪ সালের সাথে সমীকরণটি উল্টিয়ে ৫ বছর যোগ করলেও ০১ সাল পাওয়া যাবে।) আর ২০১২ সালের মত ০১ সালটিও একই বারে শুরু হয়েছিল। অতএব বলা যায় ০১/০১/০১ তারিখে.... বার ছিল (শূন্যস্থানটি পাঠকদের পূরণ করার জন্য রেখে দেয়া হলো)। সবশেষে নতুন বছরের শুরুতে সবাই এসো সঙ্কল্প করি- আজ থেকে প্রতিদিন আগের চেয়ে কমপক্ষে একটি ভালো কাজ করবো। যেমন, কারো সাথে হাসিমুখে কথা বলা, সালাম দেয়া, প্রতিদিনের পাঠ প্রতিদিন শেষ করা, পিতা-মাতা, শিক্ষক ও আপনজনদের কথা মেনে চলা, বড়দের শ্রদ্ধা করা, ছোটদের স্নেহ করা, সত্য কথা বলা, “মিথ্যাই সকল পাপের মূল” জেনে মিথ্যা পরিত্যাগ করা। সৎ চিন্তা ও সৎ কাজ করা, অন্যের মঙ্গল কামনা করা, নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চলা, ভদ্রতা বজায় রাখা এবং সর্বাবস্থায় মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্মরণ করা।

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ