আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ

আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ

কুরআনের আলো জানুয়ারি ২০২০

একটি গানই বারবার শুনছে আহমাদ। পুরনো গান, কিন্তু ভাবনাটা যেন সব সময়ের জন্যই নতুন। চিরসবুজ। বাবাও এসে দেখলেন, অবিরাম বেজে চলেছে- ‘তোমার সৃষ্টি যদি হয় এত সুন্দর, না জানি তাহলে তুমি কত সুন্দর’! এ গান বাবারও অনেক পছন্দের। বাবাকে কাছে পেয়ে আহমাদ বলল, আচ্ছা বাবা! আল্লাহকে কখনো দেখা যাবে? বাবা মুখে হাসির রেখা টেনে বললেনÑ অবশ্যই! তবে পৃথিবীতে নয়, জান্নাতে। মুসা (আ) একবার আল্লাহকে দেখতে চেয়েছিলেন। তখন আল্লাহ পাহাড়ের ওপর তাঁর সামান্য জ্যোতি প্রকাশ করলেন। এ জ্যোতি পাহাড়কে চূর্ণ-বিচূর্ণ করল। আর মূসা (আ) তো জ্ঞানই হারিয়ে ফেললেন! তবে, আখিরাতের কথা ভিন্ন। ভিন্ন আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের কথা। ‘সেদিন কোনো কোনো মুখমণ্ডল উজ্জ্বল হবে। তারা তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকবে।’ (সূরা কিয়ামাহ : ২২-২৩)। বাবা বললেন, মজার বিষয় হচ্ছে- জান্নাতের নিয়ামত পেয়ে মানুষ আল্লাহকে দেখার কথা ভুলেই যাবে। আল্লাহ নিজ থেকে এসে দেখা দেবেন। আল্লাহ জান্নাতে এসে বলবেন- তোমরা কি চাও, আমি আরও নিয়ামত বাড়িয়ে দিই? জান্নাতিরা বলবে- আপনি কি আমাদের চেহারা উজ্জ্বল করে দেননি? আমাদের জান্নাতে প্রবেশ করাননি? জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেননি? এরপর আল্লাহ আবরণ তুলে নেবেন। তাদের প্রতিপালকের দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিক পছন্দনীয় আর কিছুই তাদের দেয়া হয়নি। (মুসলিম)। আহমাদ বলল, সুবহানাল্লাহ। এরপর সে বলল, আচ্ছা বাবা! শুনেছি, আল্লাহ নিরাকার। তাহলে তাকে কিভাবে দেখা যাবে? বাবা বললেন, উত্তর তো তুমিই দিয়ে দিয়েছো। আল্লাহর আকৃতি আছে, তবে আমাদের মতো নয়। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, ‘তাঁর মতো কিছুই নেই।’ (সূরা : শূরা ১১)। আহমাদ বলল, বাবা! আমি জান্নাতে যেতে চাই। আমার প্রভুকে দেখতে চাই। বাবা বললেন, সে চাওয়া তো সবারই হওয়া উচিত। তবে, যে চোখ দিয়ে আল্লাহকে দেখতে চাও- সে চোখ দিয়ে নিষিদ্ধ কিছুই দেখবে না। কথাটা ভালোভাবে মনে রেখো। আহমাদ ‘ইনশাআল্লাহ’ বলল, খুব দৃঢ়ভাবেই। - বিলাল হোসাইন নূরী

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ