আমাদের নদ-নদীর রূপকথা    -ড. রফিক রইচ

আমাদের নদ-নদীর রূপকথা -ড. রফিক রইচ

ফিচার সেপ্টেম্বর ২০১৬

আমার পলিমাটির শিশু-কিশোর বন্ধুরা, তোমরা জান আমাদের দেশটা নদীমাতৃক দেশ। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অন্তর্গত। শত শত নদীর মাধ্যমে বয়ে আসা নরম পলিমাটি জমে জমে এ দেশটির অধিকাংশ এলাকা তৈরি হয়েছে। ছোট বড় মিলিয়ে অর্থাৎ শাখা-প্রশাখাসহ আটশটির মত নদ-নদী শরীর পানিতে ভরাট করে চব্বিশ হাজার একশত চল্লিশ কিলোমিটার জায়গা দখল করে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে বলে বলা হচ্ছে। এসব নদীর মধ্যে তোমরা অনেকেই জান যমুনা, মেঘনা, পদ্মা, কর্ণফুলী, গোমতি ও শীতলক্ষ্যা সবচেয়ে বড় নদী। তবে সবচেয়ে প্রশস্ত নদী যুমনা; খরস্রোতা নদী কর্ণফুলী; দীর্ঘতম নদী সুরমা আর দীর্ঘতম নদের নাম ব্রহ্মপুত্র।
ছোট বন্ধুরা, তোমরা নদ এবং নদীর পার্থক্য জান তো? হয়ত জান। তারপরও বলছি, যেসব নদী থেকে কোন শাখা নদীর সৃষ্টি হয় না এবং যে সকল জলস্রোতের নাম পুরুষবাচক তাদের নদ বলা হয়। অর্থাৎ নামের শেষে আকার বা ইকার থাকে না। যেমন ব্রহ্মপুত্র নদ, নীল নদ, কপোতাক্ষ নদ ইত্যাদি।
আর যেসব জলস্রোত কোন পর্বত হ্রদ বা প্রস্রবণ থেকে উৎপত্তি হয়ে বিভিন্ন জনপদের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে অন্য জলাশয়ে পতিত হয় এবং যে জলস্রোতের নাম স্ত্রীবাচক অর্থাৎ নামের শেষে ইকার বা আকার থাকে এমনকি শাখা-প্রশাখা থাকে তাকে নদী বলে। যেমন মেঘনা, যমুনা, কুশিয়ারা, কর্ণফুলী ইত্যাদি। শাখা নদী অন্য নদী থেকে উৎপন্ন হয়। যেমন বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী। আর যে সকল নদী অন্য নদীতে গিয়ে মিশে এবং প্রবাহ দান করে তাকে উপনদী বলে। যেমন আত্রাই নদী।
বন্ধুরা নদী সম্পর্কে তোমাদের আরো কিছু তথ্যের কথা বলে আমি মূল কথায় ফিরে আসবো। যে তথ্যগুলো তোমাদের জানা দরকার আর এ তথ্যগুলো জানা থাকলে এ লেখাটি তোমাদের কাছে বোধগম্য হবে সহজে। যেমন-
#    ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা নদীর সংখ্যা ৫৫টি
#    মিয়ানমার থেকে আসা নদী ৩টি
#    আন্তর্জাতিক নদী ১টি (পদ্মা)
#    বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়া নদী ১টি (কুলিখ নদী)
#    বাংলাদেশ থেকে ভারতে গিয়ে আবার বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে ১টি (আত্রাই)
#    বাংলাদেশ ও মিয়ামারকে বিভক্তকারী নদী ১টি (নাফ নদী)
#    বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী ১টি (হাড়িয়াভাঙ্গা নদী)
#    হালদা ও সাংগু নদী বাংলাদেশের জলসীমায় উৎপত্তি ও সমাপ্ত হয়েছে।
হ    প্রাকৃতিকভাবে মাছ বেশি ডিম ছাড়ে ও প্রজনন ঘটায় হালদা নদীতে।
হ    যমুনা নদীর সৃষ্টি হয় ১৭৮৭ সালের ভূমিক¤েপ।
এ তথ্যগুলো তোমরা জানতে পেরে আশা করি তোমাদের ভালো লাগছে। কিন্তু এখন নদীর যেসব বিষয় নিয়ে কথা বলবো, সেগুলো পড়লে তথ্যগুলো জানার কারণে তোমাদের খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু খারাপ লাগলে তো চলবে না। এগুলো থেকে উদ্ধারের পথ খুঁজতে হবে তোমাদের। আমাদের সকলের। আর তখন অনেক ভালো লাগা কাজ করবে শরীরের ভেতরে।
নদীর ঢেউয়ের মত উচ্ছল ছোট বন্ধুরা, একাদশ শতাব্দীতে এদেশে এই নদীগুলোর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজারের মত। আর তখন নদীগুলো ছিল যেমন প্রশস্ত ও গভীর তেমনি ছিল পানি, বিভিন্ন প্রজাতির শত শত মাছ ও অন্যান্য জলজ স¤পদে পরিপূর্ণ।
শুধু বোয়াল মাছ নয়; রুই, কাতল, মৃগেল, কালবাউশ, শোল, গজার, জিয়ল মাগুর, টেংরা, সরপুঁটি, পাবদা, গোলসা ইত্যাদি ২৬০ প্রজাতির মাছের রাজধানী ছিল এ দেশের একেকটি নদী। রঙিন পালতোলা নৌকার সারিগুলো দেখলে মন ভরে যেত। আর নৌকাগুলো বিভিন্ন মালামাল পার করতে ব্যবহার হতো। মানুষের যাতায়াতের মাধ্যমও ছিল এই নৌকাগুলো। বাংলাদেশের নদ-নদীকে ঘিরেই প্রতিটি শহর বন্দর, গঞ্জ, হাট বাজারসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বন্ধুরা বুঝতেই পারছো তাহলে নদীর গুরুত্ব কত। শুধু তাই নয়, এ দেশ কৃষিনির্ভর। কৃষির ওপর ভর করেই আমাদের পথচলা, এগিয়ে যাওয়া। সেই কৃষির তথা হাল চাষে এ নদীগুলো থেকে পানি সংগ্রহ করে ব্যবহার করে সোনার ফসল ঘরে তোলা হতো। ভূমধ্যস্থ পানির স্তর স্বাভাবিক রাখতে এ নদীগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। তা ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবনপ্রণালি এ নদীগুলোকে ঘিরেই সম্পন্ন হতো। পানসি নৌকা বাইচ থেকে শুরু করে নানা সাং¯কৃতিক কর্মকান্ডও এ নদীগুলোকে ঘিরেই। ভোরের লাল সূর্য যখন উঁকি দিতে শুরু করে আবার সন্ধ্যার গোধূলিলগ্নে যখন সূর্য ডুবতে থাকে তখন ভরাট নদীর দিকে তাকালে যে কারো মন ভরে যাবে। আবার পূর্ণিমা রাতে চাঁদের ঝলমলে আলোয় রূপালি নদীকে মনে হয় রূপের রানী।
এ দেশের এই সদা উপকারী নদীর সংখ্যা এখন আর আগের মতো নেই। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঠিক হিসাব মতে এদেশে নদীর সংখ্যা চারশত পাঁচটির (৪০৫) কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নদী ১০২টি, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের নদী ১১৫টি, উত্তর পূর্বাঞ্চলের নদী ৮৭টি, উত্তর কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী ৬১টি, পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলের নদী ১৬টি এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী ২৪টি।
বাংলাদেশ পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন নামক সংগঠন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, শীত ও গ্রীষ্মকালে পানি থাকে এমন নদীর সংখ্যা মাত্র ২৩০টি। সরকারি হিসাব হলো শুধু গ্রীষ্মকালে পানি থাকে এমন নদীর সংখ্যা মাত্র ৩২০টি। এই নদীগুলোর মধ্যেও ১৭টি নদী ইতোমধ্যেই মৃত্যুর শেষ সীমানায় পৌঁছেছে। তবে আরও খারাপ খবর হলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই আরো ২৫টি নদী আমাদের হারাতে হবে। কিছুদিন আগে একটি নদী গবেষকদল গবেষণা করে বলেছে, ষাটের দশকে সাড়ে সাত শ’ নদী ছিল এ দেশে। বর্তমান সময়ে নদীর সংখ্যা কমতে কমতে মাত্র ২৩০টিতে এসেছে। তাহলে গত পঞ্চাশ বছরে ধ্বংস হয়ে গেছে ৫২০টি প্রবহমান জীবন্ত নদী। পলিমাটির নিরীহ নদী। তাহলে বেঁচে থাকা নদীগুলো বর্তমান সময়ে বিপজ্জনক অবস্থার মধ্যে দিয়ে কোন রকমে বেঁচে আছে বললে ভুল হবে না হয়তো। এখন তোমাদের নিঃসন্দেহে প্রশ্ন জাগছে নদীগুলোর অবস্থা এমন কেন হলো? কেন নদীর সংখ্যা কমে আসছে? এভাবে কমতে থাকলে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে কী ফল হবে? হ্যাঁ ছোট বন্ধুরা, এ ধরনের যৌক্তিক প্রশ্ন আসারই কথা।
এ দেশের নদীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পেছনে প্রাকৃতিক কিছু কারণ থাকলেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের মত মানুষের কারণে।
মানুষই গলাটিপে এসব নিরীহ নদীগুলোকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলছে। মানুষ নিজেদের প্রয়োজন কানায় কানায় মেটাতে যেয়ে বা মেটাবার জন্য বা কখনো কখনো প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাহিদা মেটাবার জন্য অতিমাত্রায় শোষণ আহরণ করতে যেয়ে নদীগুলোর অবস্থা সাংঘাতিকভাবে খারাপ হচ্ছে। মানুষের আবাসভূমি করার জন্য, দোকানপাট করার জন্য, গুদামঘর করার জন্য, নদীর ভেতর প্রতিনিয়ত জায়গা দখল করে ভরাট করছে। স্থাপনা নির্মাণ করছে আবার চারিদিকে বাঁধ দিয়ে আবাদি জমিতে পরিণত করে ফসল আবাদ করছে। অথচ নদীর পাড় থেকে ১৫০ ফুট দূরত্বের ভেতরে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না মর্মে হাইকোর্টের রুল থাকলেও কেউ তা মানছে না। তোয়াক্কা করছে না। অন্য দিকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ ও খুলনা শহরসহ অন্যান্য শহরের কাছাকাছি নদীগুলোকে ভরাট করছে নানা রকম ময়লা আবর্জনায়। সদরঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গার তলা প্রায় ৩ মিটার পুরু হয়ে প্লাস্টিক, ধাতব মেটাল, কাচ, বিল্ডিংয়ের ভাঙা অংশে ভরাট হয়ে আছে। বিআইডব্লিউটি-এর হিসাব মতে শিল্প বর্জ্য, পলিথিন ও মানববর্জ্য জমা হয়ে বুড়িগঙ্গার তলদেশে ১০ থেকে ১২ ফুট স্তর পড়েছে। পলিথিন প্লাস্টিকসহ এসব আবর্জনার স্তূপ পাথরের মত শক্ত হয়ে গেছে যা এ দেশের কোনো মেশিনে ভেঙে উত্তোলন সম্ভব নয়। তা ছাড়া উজানের বৃষ্টি বা বন্যার পানিতে প্রতি বছর ১৪০০ মিলিয়ন টন পলি আসে। পলির একাংশ প্লাবন ভূমির ওপর পড়ে অন্য অংশটি সমুদ্রে চলে যায়। কিন্তু উজানে মানুষ কর্তৃক পানি সরিয়ে নেয়ায় বর্ষা শেষে হঠাৎ নদীর পানি কমে স্রোত হারিয়ে ফেলে। ফলে পলি সমুদ্রে যেতে না পেরেও নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা ৫৫টি নদীর মধ্যে ৫৪টি নদীতে ভারত বাঁধ দিয়ে নদীভরাটকে ত্বরানি¦ত করেছে। তিস্তা, মহানন্দা, ধরলা, দুধকুমার, গোমতি ইত্যাদি নদীতেও বাঁধ দেয়া হয়েছে। ফারাক্কা বাঁধের কথা তো তোমরা অনেকেই শুনেছে। এ বাঁধটি বাংলাদেশের পদ্মা নদী ও এর শাখা নদী যেমন কুমার, মাথাভাঙ্গা, ইছামতি, ভৈরব, গড়াই, আড়িয়াল খাঁ ও প্রশাখা নদী কপোতাঙ্গ, পশুর, মধুমতি ইত্যাদি নদীগুলোকে বলা যায় মেরেই ফেলেছে।
এ ছাড়া ষাটের দশকে দেয়া বেড়িবাঁধ স্বাভাবিক নদীপ্রবাহকে নষ্ট করে দিয়েছে। অন্য দিকে নিজেদের প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন নদীতে বাঁধ, স্লুইসগেট, রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণ করে নদীপ্রবাহ নষ্ট করায় ভরাট হয়ে নদীগুলো মরতে বসেছে। এতে করে মরুকরণ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
তোমরা কবি মোশাররফ হোসেন খানের দু-লাইন কবিতা শোন-
“চারিদিকে মরুময় কেবলই ভস্মের ক্ষরণ
থমকে দাঁড়িয়ে দেখ আমাদের নদীর মরণ।”
অন্য দিকে যমুনা সেতুতে ব্রিজ নির্মাণ এবং নদীশাসনের কারণে ভরাট হতে শুরু করেছে নদীটি বেশি মাত্রায়। এর ফলে নদীটির অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে গেছে।
এ দেশের নদীগুলোর মরে যাওয়ায় বা কমে যাওয়ার বা নিভু নিভু করে মরার মত বেঁচে থাকার যে কারণগুলো বড় তার অন্যতম একটি বড় কারণ হলো দূষণ, নদীর দূষণ। আমরা প্রথমেই জেনে নেই দূষণ কী?
মানুষের প্রতিনিয়ত সাংসারিক ব্যবসায়িক ও নানাবিধ কাজ কর্মের ফলে যে ক্ষতিকর পদার্থ সৃষ্টি হয় বা উৎপন্ন হয় এবং সেগুলো প্রকৃতিতে নির্গমন ও নিক্ষেপের ফলে স্বাভাবিক স্থিতিশীল পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বা খারাপ প্রভাব পড়লে তাকে দূষণ বলে। দূষণ বিভিন্ন রকম হতে পারে। এর মধ্যে পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ উল্লেখযোগ্য। এসব দূষণের ফলে আমাদের ভালো করে বেঁচে থাকাকে হুমকির মুখে ফেলছে। তবে বর্তমান সময়ে পানিদূষণ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
পরিশেষে তোমাদের আশা জাগানোর কিছু কথা বলে এ লেখাটি শেষ করতে চাই। সেটা হলো সুইডেনের স্টকহোম নগরের ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া স্টিমনেন নদী ষাটের দশকে দূষিত হয়ে পড়ে। ব্যাপক এ দূষণের কারণে এ নদীতে মাছ ছিল না। গোসল করা যেত না। পানি ব্যবহারের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছিল বুড়িগঙ্গার মতো। এ অবস্থায় সেখানকার মিউনিসিপ্যালিটি আইন পাস করলো- কোনো কারখানার বর্জ্য কোনোক্রমেই নদীতে ফেলা যাবে না। যদি ফেলতেই হয় তবে তা শোধন করে ফেলতে হবে। কারখানার মালিকেরা বললো, শোধন করে ফেলতে গেলে তাদের লোকসান হবে। কিন্তু এতে প্রশাসন কোনো তোয়াক্কা না করে আরো কঠোর হলো এবং কোনভাবেই নদীকে দূষণ করতে দিলো না। আস্তে আস্তে দূষিত সেই স্টিমনেন নদী দূষণমুক্ত হলো। আজও সেই নদীতে সবাই ছিপ ফেলে মাছ ধরে। পর্যটকেরা নৌভ্রমণ করেন। গোসলসহ সব কাজে ব্যবহার হচ্ছে এখন এই নদী ও নদীর পানি। আবার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এমনকি আফ্রিকার মতো গরিব দেশগুলোর মানুষও তাদের নদ-নদীগুলোকে সচেতনভাবেই রক্ষা করে চলেছে। আমরা কি হতে পারি না স্টকহোম ও আফ্রিকার মানুষের মত নদীসচেতন? পারি না তাদের মত আমাদের নদীগুলোকে দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত করতে বা দখল, ভরাট ও দূষণমুক্ত রাখতে? হ্যাঁ আমরাও পারি। শুধু প্রয়োজন আমাদের সবার একটি ভালো ইচ্ছার। আর সবার এ ইচ্ছার শত ভাগ বাস্তবায়ন।
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ