অনুমতি

অনুমতি

কুরআনের আলো নভেম্বর ২০১৭

ঈদের ছুটির পর আজই প্রথম ক্লাস। সবার মনই ঝরঝরে। প্রফুল্ল। মুখে মুখে হাসি। চলছে কুশল বিনিময়। কোলাকুলি। ইতোমধ্যে স্যার এলেন। জনাব আহমদ সাইফ। জনাব সাইফও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন সবার। জানতে চাইলেন, কার ঈদ কেমন কেটেছে।
কথার ফাঁকেই হঠাৎ ক্লাসে ঢুকে পড়ল খালিদ। বিনা অনুমতিতেই। সে অবশ্য বুঝে উঠতে পারেনি যে, ক্লাসে শিক্ষক আছেন। তার বিব্রত অবস্থা দেখে জনাব সাইফ বললেন, ঠিক আছে। ভুল তো ভুলই। ভুল থেকেই আমরা ফুল ফোটাব। চলো, আমরা আজ এ বিষয়েই কথা বলি।

কোথাও প্রবেশ করতে হলে সালাম দিয়ে অনুমতি নিতে হবে। এটা আল্লাহর বিধান। এমনকি, নিজের মায়ের ঘরে প্রবেশ করতে হলেও অনুমতি নিতে হবে। মহানবী সা: বলেছেন, “যে প্রথমে সালাম করবে না, তাকে তোমরা প্রবেশের অনুমতি দেবে না।” (বায়হাকি)

সাজিদ বলল, যদি সালামের কোনো উত্তর না পাওয়া যায়, তখন?
-সুন্দর প্রশ্ন। তিনবার সালামের পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেলে ফিরে আসতে হবে। মহানবী সা: এমনই বলেছেন। আরেকটা বিষয় তোমাদের বলি। অনেক সময় অনুমতি প্রার্থনা করা হলে, ভেতর থেকে বলা হয়, ‘কে?’। এর জবাবে আমরা বলি, ‘আমি’। মহানবী সা: এ বিষয়টি অপছন্দ করেছেন। এ ক্ষেত্রে নাম বলে পরিচয় দিতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম)

পেছন থেকে সায়েম বলল, যদি কারো ঘরের দরজা খোলা থাকে, তখনও কি অনুমতি নিতে হবে?
-হ্যাঁ। তবে মহানবী সা: কারো ঘরের খোলা দরজার দিকে সরাসরি মুখ করে দাঁড়াতেন না। বরং দরজার ডানদিকে অথবা বাম দিকে মুখ করে দাঁড়াতেন। তারপর আসসালামু আলাইকুম... আসসালামু আলাইকুম বলতেন। (আবু দাউদ)
প্রবেশের অনুমতি চাওয়া চরম সৌন্দর্যের বহিঃপ্রকাশ, যা মানুষকে ভদ্র করে তোলে। করে তোলে মার্জিত ও ব্যক্তিত্ববান। সবশেষে এ কথাই বললেন জনাব আহমদ সাইফ। আর ছাত্ররাও যেন নতুন কিছু জানতে পারল আজ।
বিলাল হোসাইন নূরী
                        
আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ