কুরআনের আলো

কুরআনের আলো

কুরআনের আলো মে ২০১৩

কুরআনের আলো পরকালীন মুক্তির জন্য আল্লাহ এবং রাসূলের (সা) নিঃশর্ত আনুগত্য জরুরি বিস্মিল্লাহির রাহমানির রাহীম “যে ব্যক্তি আল্লাহ ও রাসূলের আনুগত্য করবে সে তাদের সহযোগী হবে যাদেরকে আল্লাহ পুরস্কৃত করেছেন- নবী, সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলদের মধ্য থেকে। মানুষ যাদের সঙ্গ লাভ করতে পারে তাদের মধ্যে এরা কতই না চমৎকার সঙ্গী।” (সূরা আন্-নিসা, আয়াত ৬৯) সুপ্রিয় বন্ধুরা, একজন সৎ সঙ্গীর সাথে বসবাসের ফলে একজন সাধারণ মানুষ যেমন মহৎ মানুষে পরিণত হতে পারে, তেমনিভাবে একজন অসৎ, পথভ্রান্ত লোকের সাথে বসবাসের, সঙ্গ দেয়ার কারণে একজন মানুষ পৃথিবীর নিকৃষ্ট মানুষে পরিণত হতে পারে। ভালো মানুষের সাহচর্যে যে মহৎ হওয়া যায় তার জ্বলন্ত প্রমাণ হলো আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা)-এর সাহাবীরা। আর কোনো ব্যক্তি যদি নেশাগ্রস্থ ও দুশ্চরিত্র মানুষের সাথে চলাফেরায় অভ্যস্ত হয় তাহলে সেও ধীরে ধীরে নেশায় আসক্ত ও দুশ্চরিত্র সম্পন্ন হয়ে যায়। সিদ্দীক বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি পরম সত্যনিষ্ঠ ও সত্যবাদী। তার মধ্যে সততা ও সত্যপ্রিয়তা পূর্ণমাত্রায় থাকে। নিজের আচার-আচরণ ও লেনদেনে সে হামেশা সুস্পষ্ট ও সরল সোজা পথ অবলম্বন করে। সত্য ও ন্যায়-নীতি বিরোধী যেকোনো বিষয়ের বিরুদ্ধে পর্বত সমান অটল অস্তিত্ব নিয়ে রুখে দাঁড়ায়। সে এমনই পবিত্র ও নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী হয় যে, তার আত্মীয়-অনাত্মীয়, বন্ধু-শত্রু, আপন-পর কেউই তার কাছ থেকে নিখাদ সত্যপ্রীতি, সত্য সমর্থন ও সত্য সহযোগিতা ছাড়া আর কিছুরই আশঙ্কা করে না। শহীদ মানে সাক্ষী। শহীদ বলতে এমন মানুষকে বোঝায় যিনি নিজের জীবনের সমগ্র কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তার ঈমানের সত্যতার সাক্ষ্য প্রদান করেন। আল্লাহর দেখানো পথে চলতে গিয়ে নিজের প্রাণ উসর্গকারীও এ কারণেই শহীদ যে তিনি তো নিজের জীবনের মায়াকে তুচ্ছ করে শুধুমাত্র মহান রবের সন্তোষভাজন হওয়ার নিমিত্তে তাঁর প্রতি বিশ্বাসের চূড়ান্ত নজির স্থাপন করে জান বিলিয়ে দিয়েছেন। আবার এমন ধরনের ব্যক্তিদেরও শহীদ বলা হয় যারা এতই নির্ভরযোগ্য যে, তারা কোনো বিষয়ে সাক্ষ্য দিলে তাকে নির্দ্বিধায় সত্য ও সঠিক বলে ধরে নেয়া হয়। সালেহ বা সৎকর্মশীল বলতে এমন ব্যক্তিকে বোঝায় যিনি তার নিজের চিন্তাধারা, আকীদা-বিশ্বাস, ইচ্ছা, সঙ্কল্প, কথা ও কর্মের মাধ্যমে সত্য-সরল পথে প্রতিষ্ঠিত থাকেন এবং এই সঙ্গে নিজের জীবনে সৎ ও সুনীতি অবলম্বন করেন। তাই এ কথা পরিষ্কার যে, নবী-রাসূলদের পরে সিদ্দীক, শহীদ ও সৎকর্মশীলগণ জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর এদের অন্তর্ভুক্ত হতে হলে অবশ্যই আল্লাহ ও রাসূলের (সা) নিঃশর্ত আনুগত্য করতে হবে। অর্থাৎ কুরআন ও হাদিস অনুযায়ী নিজেদের জীবন পরিচালিত করতে হবে। বন্ধুরা, এসো আমরা আল্লাহতায়ালা ও তাঁর প্রিয় রাসূল মুহাম্মদ (সা)-এর দেখানো পথ ছাড়া অন্য সকল প্রকার মত-পথ ও আদর্শকে পরিত্যাগ করে সুন্দর জীবন গঠন করি। গ্রন্থনা : মোহাম্মদ ইয়াসীন আলী

আপনার মন্তাব্য লিখুন
অনলাইনে কিশোরকন্ঠ অর্ডার করুন
লেখকের আরও লেখা

সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

আরও পড়ুন...

CART 0

আপনার প্রোডাক্ট সমূহ