Home কুরআন ও হাদিসের আলো কুরআনের আলো প্রথম মানুষ

প্রথম মানুষ

প্রতিদিন ফজরের পর ঘরে যেন বেহেশত নেমে আসে। মনে হয়, হজরত জিবরাইল এসে রহমতের ডানা বিছিয়ে দেয় সবখানে। মনে হয়, এই তো এখনই আসমান থেকে নেমে এলো হৃদয়গলা সুরের নির্ঝর। নেমে এলো ফেরদাউসের হাসনাহেনায় ভেজা বাতাসের ঢেউ!
সবার মুখে মুখে যখন কুরআনের আয়াত দুলে ওঠে- এর চেয়ে ভালো সময় আর কী হতে পারে?
প্রায় প্রতিদিনের মতো আজও, জাবির এসে চুপচাপ বসে পড়ল দাদার পাশে। দাদার মধুঝরা তিলাওয়াত শুধু শুনতেই ইচ্ছে করে। তিলাওয়াত শেষে দাদা বললেন, আজ যে আয়াতগুলো পড়েছি সেখানে কী আছে জানো? প্রথম মানুষ আদম (আ)-এর পৃথিবীতে আসার গল্প!
জাবির বলল, তাহলে শোনাও দাদা!
দাদা বললেন, আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন- “আমি পৃথিবীতে প্রতিনিধি সৃষ্টি করছি। তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন, যে বিশৃঙ্খলা করবে ও রক্ত ঝরাবে? অথচ আমরাই তো আপনার প্রশংসাসহ গুণগান করছি এবং আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আমি যা জানি, তা তোমরা জানো না।” (সূরা আল-বাকারাহ : ৩০)
এরপর আল্লাহ আদমকে সকল কিছুর নাম শেখালেন। ফেরেশতাদের বললেন- আমাকে এগুলোর নাম বলো দেখি! তারা বলতে পারল না, আদম (আ) বলে দিলেন সব। তাদের আদেশ দিলেন- আদমকে সিজদা করো। ইবলিস ছাড়া সবাই সিজদা করল! আল্লাহ বললেন- “হে আদম! আপনি ও আপনার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস করুন এবং সেখান থেকে ইচ্ছেমতো আহার করুন। কিন্তু এই গাছটির কাছে যাবেন না।” (সূরা আল-বাকারাহ : ৩৫)
তবে শয়তান বসে থাকেনি। সে তাদের প্ররোচনা দিলো। তারা নিষিদ্ধ গাছের ফল খেয়ে বসলেন! আল্লাহ বললেন, তোমরা পৃথিবীতে নেমে পড়ো। কিছুদিনের জন্য তোমাদের আবাস ও জীবিকা সেখানেই! আদম (আ)-তাওবাহ করলেন, আল্লাহ তা কবুল করে নিলেন। বললেন, যারা আমার হেদায়াত অনুসরণ করবে, তাদের ভয় নেই!
জাবির বলল, দাদা! আমরা তো তাহলে জান্নাত থেকে এসেছি। আবার জান্নাতেই ফিরে যেতে চাই! দাদা বললেন- আদম (আ)-কে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে ইনসাফের সাথে আল্লাহর বিধান কায়েমের জন্য। জান্নাতে যেতে হলে তোমাকে সে কাজেরই প্রতিনিধি হতে হবে!

SHARE

Leave a Reply