আজ ছুটির দিন। ছুটির দিন মানেই এক-আকাশ খুশি। এ দিনে মন হয়ে যায় উড়ালপাখি- উড়তে উড়তে হারিয়ে যায় দূরে, বহুদূরে। যেন কবির এ কবিতার মতোই-
কী করি আজ ভেবে না পাই,
পথ হারিয়ে কোন বনে যাই,
কোন মাঠে যে ছুটে বেড়াই,
সকল ছেলে জুটি-
আজ আমাদের ছুটি, ও ভাই
আজ আমাদের ছুটি।
আগে থেকেই কথা ছিল, বন্ধুদের সাথে মাঠে খেলতে যাবে নাহিদ।
আহা! মাঠে এলেই সতেজ বাতাসে বুকটা ফুলে ওঠে, মনের ভেতর দুলে ওঠে সবুজ স্বপ্নের চারা। নাহিদ ভাবে, বাংলাদেশের সকল কিশোরের জন্য যদি এমন বিশাল খেলার মাঠ থাকত! তারা বেড়ে উঠতে পারত সাহসের সাথে। সুস্থ নিঃশ্বাসে নির্মল হয়ে উঠত আমাদের ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল।
খেলা চলছিল দারুণভাবেই। তবে শেষের দিকে এসে পা পিছলে নাহিদ পড়ে গেল মাটিতে। ভীষণ ব্যথায় ককিয়ে উঠল সে। এরপর বন্ধুরাই বাসায় নিয়ে এসেছে তাকে। নাহিদের আব্বু বললেন, আল্লাহর শুকরিয়া যে, বড়ো ধরনের কিছু হয়নি। সবাই বলল আলহামদুলিল্লাহ।
নাহিদ বলল, ইস কেন যে খেলতে গেলাম! যদি না যেতাম, তাহলে তো এমন ঘটনা ঘটত না!
আব্বু বললেন, তোমার তকদিরে যা লেখা আছে, তা ঘটবেই! এ নিয়ে হাহুতাশ করার কিছু নেই। মহানবী (সা) বলেছেন, “সবল মুমিন দুর্বল মুমিনের চেয়ে উত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়। তবে প্রত্যেকের মধ্যেই কল্যাণ রয়েছে। যাতে তোমার উপকার রয়েছে, তা অর্জনে আগ্রহী হও এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করো। তুমি অক্ষম হয়ে যেও না। এমন বলো না, যদি আমি এমন এমন করতাম- তাহলে এমন হতো না। বরং এ কথা বলো, আল্লাহ তায়ালা যা নির্দিষ্ট করেছেন এবং যা চেয়েছেন তাই করেছেন। কেননা ‘যদি’ শব্দটি শয়তানের কর্মের দুয়ার খুলে দেয়।” (মুসলিম)।
নাহিদ বলল, এ হাদিস থেকে আমরা এ কথাও শিখলাম যে, আমাদের বেশি বেশি খেলাধুলা করতে হবে! হতে হবে আরও বেশি শক্তিশালী!
তার কথা শুনে হেসে উঠল সবাই।
– বিলাল হোসাইন নূরী