বালক তুমি পালক উড়াও
জুবায়ের বিন ইয়াছিন
বালক তুমি পালক উড়াও আজ
বাজাও তোমার দীপ্র মনের তাজ
বুকের ভেতর কিসের শঙ্কা-ভয়
খোলো তোমার আপন পরিচয়
এখন তোমার স্বপ্ন বোনার দিন
দিগ-দিগন্তের গল্পে রাখো ঋণ
সামনে অনেক সম্ভাবনার সুর
আঁকরে নতুন ভোর
শাহ্ নূর
আয়রে নবীন আয়রে কিশোর
দেখবি সোনা ভোর
তুইতো জানি নয়তো অলস
খোলনা এবার দোর।
ঈর্ষা হবে সূর্যি মামার
দীপ্তি দেখে তোর
জ্ঞানের দ্যুতি দে ছড়িয়ে,
আঁকরে নতুন ভোর।
হাঁক ছেড়ে তুই ডাক দেরে ঐ
কাটুক ঘুমের ঘোর
জেগে উঠে দোরটা খুলে
দেখুক সোনা ভোর।
ছোট্ট বাসা
সামিয়াতুত তানজীম
টুনটুনিটার ছোট্ট বাসা
বেগুন পাতার ভাঁজে,
নতুন বাসা তৈরিতে তাই
ব্যস্ত ভীষণ কাজে।
ক’দিন আগে ঘর ভেঙেছে
কালবৈশাখীর ঝড়ে,
বেগুন পাতার ছোট্ট বাসা
বড্ড যে নড়বড়ে।
বৃষ্টি ভেজা খড়ের ঘরে
ছানারা সব ডাকে,
জীর্ণজরা পাতার বাসার
টুনটুনিরা থাকে।
একটুখানি ঝড়ো হাওয়ায়
পাতার বাসা ছিঁড়ে,
আর না আসুক কালবৈশাখী
টুনটুনিটার নীড়ে।
সোনালি প্রভাত
আব্দুল মুহিত মুর্শেদ
পাখিদের গানে আসে
সোনালি প্রভাত
সূর্য মেরেছে উঁকি
চলে গেছে রাত।
আজানের সুরে সুরে
জেগে ওঠে সব
সালাতের নায়ে বসো
খুশি হবে রব।
জেগে ওঠে পশুপাখি
জেগে ওঠে ফুল
প্রভুর হুকুমে জাগে
দুনিয়া সমূল।
বৈশাখের সুর
জনি সিদ্দিক
পুরান দিনের জড়তা ভুলে
নতুন দিনের হিসাব খুলে
দিচ্ছে আবার ডাক,
সবার মাঝে যাক ছড়িয়ে
ভালবাসায় দিক ভরিয়ে
এবারের বৈশাখ।
হাসি-খুশি সবাই থাকুক
খুশির আবির সবাই মাখুক
নতুন বছর জুড়ে,
সোহাগ-প্রীতি থাক শুধু থাক
হিংসা বিভেদ যাক দূরে যাক
বৈশাখেরই সুরে।
পায়ের আওয়াজ ছড়াও বহুদূর।
বিবেকের ক্ষুধা
মাহমুদুল হাসান
এত এত নোংরা ঘেঁটে
কী খুঁজিস ছোট্ট খোকা
দেখছোনা খুঁজছি আহার
তুমিও যে বেজায় বোকা!
এসবে রোগ যে আছে
উঠে পড় এখনি তবে
পেটে মোর পড়লে খাবার
রোগ-শোক সবই সবে।
রোগ হলে দেখবে কে রে
নিবি তো শয্যা ভূমি
দিয়েছো কি কখনো খেতে
জ্ঞানে পটু ভীষণ তুমি।