দিন দুপুরে ঝিল পুকুরে
গা ছমছম করে
পাহাড়ি এক ছোট্ট মেয়ে
ঝরনা হয়ে ঝরে!
জোছনা ধোয়া দেহ আর
তারার মতো চক্ষু তার
পা দু’খানা তুলতুল,
দুই পায়ে জমাট বাঁধে
হাজার বনফুল।
সবুজ পাতার বসন তার
স্বর্ণলতার রঙিন হার।
বনফুলের ঝুমকো কানে
ছুটে বেড়ায় বান্দরবানে।
বন-পাহাড়ের নয়ন তারা
তারই জন্য পাগল পারা।
খরস্রোতা নদীগুলি
তারই নামে ওঠে দুলি।
বন পাহাড় ঝর্ণার বাঁকে
সেই মেয়েটি ছুটতে থাকে।
খোঁপায় গোঁজে গন্ধরাজ
বুনো ফুলেই সকল সাজ।
গন্ধে আকুল করে প্রাণ
বন বাদাড়ে ছড়ায় ঘ্রাণ।
নাইক্ষ্যংছড়ি কতদূর?
সেখানেও যে তারই সুর!
ও পাহাড়ি মেয়ে গো–
ও পাহাড়ি ঝরনা গো–
নামটি তোমার কী?
বন-পাহাড়ি হেসেই খুন,
নামটি জানোনি?
কমল কোমল ওই মেয়েটির
নাম বলে না কেউ,
চোখ রাঙিয়ে বলে আমার
গুনতে থাকো ঢেউ!
সবাই যেন লাজে ভার
কেউ বলে না নামটি তার।
আস্তে করে আমি বলি,
বন-পাহাড়ি ঐ মেয়েটির
নাম দিয়েছি ‘পুষ্পকলি’ !