সবুজ শ্যামল গাঁ পেরিয়ে একটি নদী দূরে
এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে কুলুকুলু সুরে।
বুকজুড়ে তার অথই পানি ছলাৎছলাৎ চলে
জোয়ার ভাটায় সেই নদীটা কত্ত কথা বলে।
নদীর বুকে মাঝিমাল্লা নাও ভাসিয়ে রোজে
সকাল সন্ধ্যে ঢেউ তুলে যায় মাছ-মৎস্যের খোঁজে।
ভাটিয়ালি গান মুখে মাছ ধরে ঝাঁকে ঝাঁকে
মাটির ঘরে বসত তাদের নদীর বাঁকে বাঁকে।
জোয়ার এলে নদীর বুকে কলার ভেলা বেয়ে
এপার-ওপার সাঁতরে বেড়ায় গাঁয়ের ছেলেমেয়ে।
ভাটির শেষে নদীতীরের পল্লীবধূ দলে
খুঁজতে ঝিনুক ঘোমটা টেনে নদীর বুকে চলে।
চরজুড়ে তার মনমাতানো গহিন সুন্দরবন
এক নিমিষে দেয় জুড়িয়ে তৃষ্ণ-পথিক মন।
বাওয়ালিরা ঘর বেঁধেছে এই না গভীর বনে
নিত্য তাদের সময় কাটে মধুর আহরণে।
সাঁঝের আলোয় নদীর বুকে পাল উড়িয়ে নায়
ঘোমটা টেনে নববধূ স্বামীর ঘরে যায়।
এপার-ওপার দু’পার জুড়ে গাঁয়ের মানুষ খুব
সেই আলোতে হয় যে জড়ো দেখতে বধূর রূপ।
নদীপাড়ের মানুষগুলো নদী করে জয়,
সুখে-দুঃখে মিলেমিশে নদীর পাড়েই রয়।