গ্রাম মানে
-খায়রুল আলম রাজু
গ্রাম মানে টাকা-কড়ি
মূল্য কোনো নাই,
গ্রাম মানে লুকোচুরি
খেলে দেখ ভাই।
গ্রাম মানে খোকা-খুকি
নাচে খেলে দোলে,
গ্রাম মানে প্রজাপতি
উড়ে ফুলে ফুলে।
গ্রাম মানে চাঁদ মামা
আলো দিয়ে যায়,
গ্রাম মানে মেঠোপথে
হাঁটি খালি পায়।
গ্রাম মানে মিলেমিশে
পাঠশালা যাই,
গ্রাম মানে সুখে-দুঃখে
তুমি আমি ভাই।
মন যে আমার চায় যেতে
-আনিছুর রহমান
মন যে আমার চায় যেতে ছোট্ট সুন্দর গাঁয়,
অতীতের যে কত স্মৃতি রয়েছে সেথায়।
স্মৃতি কথা পড়লে মনে চোখে আসে জল,
মন যে বলে গাঁয়ের পানে একটু ছুটে চল।
মনে পড়ে সাজ সকালে শিশির ভেজা ঘাসে,
হেঁটে চলা পথটি কত শান্তি সুবাসে।
দুপুর বেলা তপ্ত রোদে ক্লান্ত আমি যখন,
গাছের ছায়ায় বসে আমি শান্ত হতাম তখন।
বিকেল বেলা নদীর তীরে একা যখন থাকি,
কল্পনাতে কত ছবি মনের ভেতর আঁকি।
মনে আরো পড়ে আমার সেইসব সেই কথা,
ছোট্ট সুন্দর গায়ের মাঝে কত স্মৃতি গাঁথা।
গাঁ যে আমার কত আপন কত খুশির বীণ,
থেকে আমি দূর বহুদুর বুঝেছি গাঁয়ের ঋণ।
আনমনে বসে যখন অনেক কথা ভাবি,
মন বলে তুই কবে আবার গাঁয়ে ফিরে যাবি।
যাব যাব করে গাঁয়ে হচ্ছে না যাওয়া আর,
তাইতো আমার মাঝে মধ্য হৃদয়টা হয় যে ভার।
যাব আমি গাঁয়ে এবার শুধবো গাঁয়ের ঋণ,
তাইতো আমার হৃদয় মাঝে বাজছে খুশির বীণ।
প্রিয় বন্ধু
-আবদুল্লাহ আল মুক্তাদির
বন্ধু তোমার আমায় কভু
মনে পড়ে না কি?
তোমার জন্য বন্ধু আজও
রাত্রি জেগে থাকি।
অদ্য তুমি আছো কোথায়
নাই তো আমার জানা
তোমায় পেলে উড়ে যেতাম
মেলে দু’টি ডানা।
স্বপ্নে বন্ধু দেখলে তোমায়
আগলে বুকে রাখি
যায় না পাওয়া তোমার হদিস
খুলি যবে আঁখি।
কথা ছিলো মোদের বাঁধন
থাকবে সারা জীবন
বাঁধন হঠাৎ ছিঁড়ে গেলো
পাই না খুঁজে কারণ।
আমার ইচ্ছে
-ইমদাদ হোসেন
ইচ্ছে করে আকাশ জুড়ে ডানা মেলে উড়ি,
যেমনি করে উড়তে থাকে নীল আকাশে ঘুড়ি।
ইচ্ছে করে মেঘের সাথে করি মজার খেলা,
বাতাস পানে ভাসিয়ে দেই সাদামেঘের ভেলা।
ইচ্ছে করে বাদলছায়া দিতে সকল টুটে,
আকাশ থেকে বৃষ্টি হয়ে ধরায় পড়তে লুটে।
ইচ্ছে করে যেতে আমার চাঁদ-সুরুজের দেশে,
সেথায় আমি করব খেলা আলোর পরিবেশে।
ইচ্ছে করে দেখতে আমার সারাজাহান ঘুরে,
খোদার সৃষ্টি নেয়ামত সব আছে যেথায় জুড়ে।
আল্লাহ যদি আমার ইচ্ছে দেন গো পূরণ করে,
অশেষ শোকর করব আদায় মহান প্রভুর তরে।
আমার গ্রাম
-সুয়াইবুর রহমান ফারুক
গ্রামটি আমার কাইল্যারচর
দিকে দিকে ভরা সুখের নহর,
সবুজ শ্যামল ছায়ায় ঘেরা,
পূর্ব-পশ্চিম সকল পাড়া।
মসজিদ স্কুল আর পাঠশালা,
দান করেছেন আল্লাহ তায়ালা।
কবিতা আমার
-আল মারুফ
কবিতা আমার মনের ভাষা
লুকিয়ে রাখা জীবন আশা।
কবিতা আমার মুখের ভাষা
ঝুলিয়ে রাখা স্বপ্নবাসা।
কবিতা আমার চোখের চাওয়া
অবাক করা স্বপ্ন পাওয়া।
কবিতা আমার হৃদয় দাওয়া
শীতল করা দখিন হাওয়া।
কবিতা আমার মিষ্টি বুলি
বাধার পাহাড় পদ দলি
সুখের আভা একটু পেলে
দুঃখ ব্যথা সবই ভুলি।
কবিতা আমার রঙিন ঘুড়ি
আকাশ পানে হাওয়ায় উড়ি
অন্ত দিনের আঁধার ঘেঁষে
জীবন নাটাই বাঁধা দড়ি।
প্রচেষ্টা
-ওমার আল ফারুক
আমরা তরুণ নয়তো নিপুণ ভুল রয়েছে কাজে
তাই বলে কি থমকে যাব পড়ছি বলে লাজে?
হাঁটতে গেলে পড়তে যে হয় যখন শিশু শেখে
তারপরও সে উঠে দাঁড়ায় ব্যর্থতাকে রেখে।
আমার লেখা হয় না প্রকাশ গায় না আমার গান
হীনমন্য এই তাড়নার নেইতো কোন মান।
আমি কেন হই না সেরা পারি না তার মতন
যে কাজ করি হয় কি নেয়া তারই সমান যতন?
আজ কে যারা পাহাড়চূড়ায় তারাও নবীন ছিলেন
পদে পদে হোঁচট খেয়েই যোগ্য আসন নিলেন।
সফলতার অপর পিঠে করুণ গল্প থাকে
দৃঢ়পদে চলতে যে হয় কষ্ট কঠিন বাঁকে।
স্বপ্ন বিভোল মানুষ হলে স্বপ্ন যাবই দেখে
কল্পডানায় উড়ি যদি অধ্যবসায় রেখে।
অলস মানুষ প্রাসাদ গড়ে বিছানাতে বসে
একটু পরেই বাঁধ সে বালুর যায় যে পড়ে খসে।
চেষ্টা হবে ঠিক অনুরূপ যেমন হবে লক্ষ্য
পাহাড়সম ডলতে বাধা হতে হবে দক্ষ।
রবের দয়ায় আসবে সুদিন ঈমান রাখি মনে
পিউ পাপিয়া গান শুনাবে সুখের আলিঙ্গনে।
আয় হয়ে যাই পাখি
-জুবায়ের বিন ইয়াছিন
সাত মহাদেশ ফুঁড়ে
কে ছুটে যায়? মনে মনে
দূর মদিনায় উড়ে।
কোন সে প্রেমিক? ব্যাকুল হয়ে
আর বুঝে না মানে-
ভালোবাসায় কাঙাল হয়ে
পশ্চিমে দাঁড় টানে।
গভীর রাতে কোন সে সখা?
নীরব আর্তনাদে-
জেয়ারতের ভাগ্য চেয়ে
কাঁদে কেবল কাঁদে।
আয় ওরে সে প্রেমিক-সখা
স্বপ্ন-দোয়া রাখি-
নূর নবীজির আশেক হয়ে
আজ হয়ে যাই পাখি।
বাধা দূরে ঠেলে-
আয় সকলে পাখনা প্রেমের
দেই আকাশে মেলে।
প্রভুর প্রেমে
-মাসুদ খান
প্রভু তোমার সৃষ্টি দেখে
দু’হাত তুলে ছিলাম,
সৃষ্টিতে আজ দৃষ্টি দিয়ে
হৃদয় সঁপে দিলাম।
পাহাড়-নদী বৃক্ষ-লতা
সবই তোমার দান,
হৃদয়ে বয় মধুর সুরে
নদীর কলতান।
দু’চোখ বন্ধ করে কি আর
সৃষ্টি ভুলা যায়,
পাগল এই মন প্রভুর প্রেমে
সামনে শুধু ধায়।
কারিগর
-আবদুল্লাহ আল মামুন
শিল্পী বানায় গানের ক্যাসেট
লেখক বানায় বই,
আম্মু বানায় মজার খাবার
আপু বানায় সই।
কামার বানায় লোহার জিনিস
কুমার বানায় হাঁড়ি,
ময়রা বানায় মিষ্টি দারুণ
তাঁতি বানায় শাড়ি।
দর্জি বানায় জামা-কাপড়
কৃষক ফলায় ধান,
এমনিভাবে সব কারিগর
বাঁচায় মোদের মান।