পাখির কলরব
হোসেন মোতালেব
স্রষ্টা পাকের করুণ কৃপায় সবুজ শ্যামল বনে
হরেক পাখি মিষ্টি সুরে ঢেউ তুলে যায় মনে।
গাইছে পাখি মনের সুখে উদাস চারিদিকে
কখনো বা সুরের আবেশ হচ্ছে আবার ফিকে।
কে রোপেছে বন-বনানী কে ফেলেছে দানা
কে বানালো তাত্থেকে বন হয়নি আজো জানা।
সেই না বনে মুক্ত মনে ডানা মেলে উড়ে
পাখ-পাখালির সখ্যতা হয় মিষ্টি মধুর সুরে।
রাতের শেষে ডাহুক ডাকে গহিন বিজন বনে
করুণ সুরে গান গেয়ে যায় কোকিল ক্ষণে ক্ষণে।
ভর দুপুরে ঘুঘু ডাকে পাতার আড়াল থেকে
শীতের পাখির ডাক শোনা যায় সাগর নদী লেকে।
ময়না টিয়া শালিক ডাকে ফিঙ্গে নাচে ডালে
পায়রা, ঘুঘু, ময়ূর নাচে সুরের তালে তালে।
হাজার পাখির কলরব আর হাজার পাখির মেলা
হাজার পাখির মিষ্টি সুরে কাটছে সারা বেলা।
খুশির জোয়ার
মুহাম্মদ আমিন
রাত পোহাতেই শয্যা ছেড়ে
বাইরে চেয়ে দেখি
উঠোন জুড়ে পাখির নাচন
হচ্ছি অবাক এ কী!
পাখিরা সব ডানা মেলে
উড়ছে বাঁধনহারা
প্রজাপতি সঙ্গী হলো
খুশি, পাগলপারা।
ভোরের শিশির উঠছে হেসে
রবির আলো মেখে
সবকিছু আজ রঙিন কেন
হচ্ছি অবাক দেখে!
গরিব দুঃখীর গায়ে কেন
আজকে নতুন জামা
কোন কারণে নগর জুড়ে
খুশির জোয়ার নামা?
আজকে হলো খুশির ঈদ
তাইতো প্রাণের দোলা
সবার সাথে পাখিরও তাই
আজকে হৃদয় খোলা।
ঈদ মানে
ইয়াহিয়া মাহমুদ
ঈদ মানে আনন্দ
ঈদ মানে শান্তি
ঈদ এসে দূর করে
সিয়ামের ক্লান্তি।
ঈদ মানে কোলাকুলি
হাসি খুশি বেশ
ঈদ এসে করে দেয়
দুঃখটাকে শেষ।
ঈদ
জাহিদ সজল
বাঁকা চাঁদের মিষ্টি আলোয়
ভরলো ভুবন আজ
তাইতো এখন দেখলে কেমন-
বাড়ল সবার কাজ।
চাঁদটা হেসে বলল যেন-
ঈদটা এলো বেশ
ক্লান্তি মুছে, ভাসলো আবার
খুশির স্রোতে দেশ।
নতুন নতুন জামা কাপড়
স্বাদের পিঠা নিয়ে
গরিব-ধনীর সাম্য দেখো
মিলল পথে গিয়ে।
চারিদিকের সত্তা নাচে-
সুখ পরশের রবে
ঈদটা আবার এলো ফিরে
জীবন প্রাণে, সবে!
বৃষ্টি
ওমর খুবাইব
মেঘ ডেকেছে
ঈশান কোণে
মেঘ জমেছে
আকাশ পানে,
আসবে আবার বৃষ্টি
জাগবে সকল সৃষ্টি।
পথের শিশু
রিয়াদ হোসেন
পাই না খেতে দু’মুঠো ভাত
না পাই ভালো কাপড়,
এ দ্বার ও দ্বার ঘুরতে ঘুরতে
পাই না মায়ের আদর।
কেউ বোঝে না কষ্ট মোদের
দাঁড়ায় না কেউ পাশে,
সবাই করে অবহেলা
কেউবা আবার হাসে।
মা
মাহমুদ রনি
মা-ই আপন মা-ই সেরা
মা-ই আমার সব
আদর-সোহাগ ভালবাসা
মা-ই উৎসব।
মায়ের কোন নেই তুলনা
নেই সম কেউ তার
মা ছাড়া আর কেউ নেবে না
লালন পালন ভার।
বিপদ দেখে তোমায় ছেড়ে
সবাই গেলেও ভেগে
দিন ফুরাবে রাত ফুরাবে
শিয়রে মা জেগে!
শান্তি সুখের স্বর্গ আমার
আজো মায়ের কোল
ঘুম পাড়ানির গল্পে প্রথম
শেখায় যিনি বোল।
কিসের তবে ঈদ
শাহজাহান শাহেদ
ঈদের দিনে ধনীর দুলাল
নতুন জামায় হাসে
ছেঁড়া পোশাক গা জড়িয়ে
মাকে ভালোবাসে।
দালান ঘরে ফিরনি পায়েস
কত রকম ঘ্রাণ
জীর্ণ ঘরে আমরা থাকি
ক্ষুধায় কাতর প্রাণ।
হাসির জোয়ার ধনীর ঘরে
গরিবের কাঁদে হৃদ
এমন বিভেদ থাকলে ভাই
হয় না সত্য ঈদ!
পানিশূন্য নদী
আসাদুজ্জামান আসাদ
নদীর ঢেউ আর ওঠে না পানিশূন্য নদী
তাদের কাছে পানির কথা বলছি নিরবধি।
তিস্তা নদী পানিশূন্য ধু-ধু বালির চরে
বাড়ি বেঁধে জনমানব থাকে সুখের ঘরে।
যমুনা যে বিরাট নদী ঢেউ ওঠে না ভেসে
কুচুরিপানা ভিড় করে না ¯্রােতের সাথে এসে।
মেঘনা নদী কোথায় গেল কোথায় নদীর ঢেউ
নদীর বুকে নামতে এখন ভয় করে না কেউ।
নদীমাতৃক স্বদেশ আমার হাসি ছিল মুখে
নৌকা নিয়ে নদীর বুকে ঘুরা যায় না সুখে।
টিয়ের বিয়ে
নাজমুল হাসান
টিয়ে পাখি টিয়ে পাখি
আজকে তোমার বিয়ে
লজ্জা পেয়ে বসে আছো
ঘোমটা টেনে দিয়ে।
গাছের ডালে ডেকোরেশন
জ্বলছে রঙিন বাতি
রঙ মেখে সব ঢং করছে
করছে মাতামাতি।
মগ ডালেতে বরের আসন
সঙ্গীরা বটগাছে
বটের লতায় চেয়ার টেবিল
ঝুলিয়ে রাখা আছে।
টিয়ের বিয়ের ধুম পড়েছে
গাইছে বনের পাখি
কনের সাজে টিয়ে পাখির
লাজুক দু’টি আঁখি।
পাখি
নাওরিন মুশতারী
ইচ্ছে করে ঐ আকাশে
পাখির মতো উড়ি
মনের খুশি ছড়িয়ে দেই
সারা গগন জুড়ি।
ইচ্ছে করে ডানা মেলে
উড়ি সারাবেলা
মনের মাঝে বসে যেন
আনন্দেরই মেলা।