চ রি ত্র লি পি
মূল চরিত্র খন্ড চরিত্র
ড. সৈকত : গবেষক নুরু মামা : চা দোকানি
মি. জিসান : গবেষণা সহকারী শোভন : সাধারণ ছাত্র
মি. শৈবাল : গবেষণা সহকারী পিয়ন : স্কুল পিয়ন
শিরিন : সৈকতের স্ত্রী ওসি : পুলিশ অফিসার
সৌরভ : সৈকতের বিপথগামী ছেলে পুলিশ-১ : কনস্টেবল
গৌরব : সৈকতের আদর্শবান ছেলে পুলিশ -২ : কনস্টেবল
দিলদার : সৈকতের কাজের লোক ডাক্তার : নামেই পরিচয়
প্রধান শিক্ষক : নামেই পরিচয় নার্স : নামেই পরিচয়
জুয়েল : খারাপ ছাত্র ১ম ব্যক্তি : পাবলিক
পলাশ : খারাপ ছাত্র ২য় ব্যক্তি : পাবলিক
রহমত : আদর্শবান ছাত্র ছাত্র-ছাত্রী : সাধারণ শিক্ষার্থী
দৃশ্য-১২/ইনডোর : স্থান : পড়ার ঘর
চরিত্র : সৈকত গৌরব, শিরিন ও দিলদার
(টেবিলে একান্তে বই পড়ে গৌরব। সন্তর্পণে প্রবেশ করেন সৈকত। পেছন থেকেই বইটা ছিনিয়ে নেন তিনি। থতমত খেয়ে উঠে দাঁড়ায় গৌরব।)
সৈকত : কী বই এটা?
গৌরব : কুরআন শরিফ।
সৈকত : কুরআন আরবিতে লেখা। এটা দেখছি বাংলায়।
গৌরব : হ্যাঁ, আব্বু, এটা কুরআন শরিফের বাংলা অনুবাদ।
সৈকত : অনুবাদ! এখনো মুখ টিপলে দুধ বের হয়। অথচ এই বয়সে বসেছিস কুরআন শরিফের অনুবাদ নিয়ে। আমার মত গবেষক হতে চাস, তাই না? (হইচই শুনে দিলদার ও শিরিনের প্রবেশ)
গৌরব : অর্থ না পড়লে কুরআন বুঝা যায় না।
সৈকত : বল, লেখাপড়া বাদ দিয়ে বাজে বই পড়ার সাহস কে দিয়েছে।
শিরিন : চুপ কর। কুরআন কোনো বাজে বই না।
গৌরব : আব্বু, কুরআন শরিফ পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো বই। এ বই না পড়লে ভালো মানুষ হবো কী করে।
সৈকত : স্টপ ননসেন্স। তোর ভালো বইকে আমি নিকুচি করি। (ছিঁড়ে কুটি কুটি করে ফেলে দেয়)
গৌরব : (কুড়িয়ে বুকে জড়িয়ে ধরে) এ কী করলে আব্বু!
সৈকত : মাথায় মৌলবাদের পোকা ঢুকেছে। ঐ পোকা আমি বের করেই ছাড়বো। শিরিন, এ বাড়িতে কোনো এতিম ছেলে আসে?
শিরিন : এতিম কিনা জানিনে। তবে একজন মেধাবী ছাত্র আসে। মাঝে মাঝে ওকে নোট দিয়ে যায়।
সৈকত : সৌরভ ঠিক কথাই বলেছে। শয়তানের বাচ্চা, ফারদার এ বই দেখলে তোকে আমি বাড়ি থেকে ঘাড় ধরে বের করে দেবো। আর তোমাকে (শিরিনকে) বলছি ওই এতিমের বাচ্চাকে যেন এ বাড়ির চৌহদ্দিতে না দেখি। উহ, সারাজীবন যার বিরোধিতা করলাম সেই কালসাপ আমার ঘরে ঢুকেছে।
(সৈকতের প্রস্তান) ছেঁড়া কুরআন বুকে জড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদে গৌরব। মা মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত¡না দেয়ার চেষ্টা করেন।
(দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৩/ইনডোর : স্থান : সৈকতের বেডরুম
চরিত্র : সৈকত, শিরিন, দিলদার, ডাক্তার, জিসান ও শৈবাল
(রাগে উত্তেজনায় বেডরুমে এসে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করেন সৈকত। তারপর বসেন এবং খাটের ওপর শুয়ে পড়েন।)
সৈকত : শিরিন-
(শিরিনের প্রবেশ)
শিরিন : শুয়ে পড়লে কেন?
সৈকত : আমার ভীষণ খারাপ লাগছে।
শিরিন : (গায়ে মাথায় হাত দিয়ে) দিলদার, শিগগির ডাক্তারকে খবর দে। চিন্তা করো না, আমি তেল-পানি নিয়ে আসছি। (শিরিনের প্রস্থান)
সৈকত : চিন্তা! সারা জীবন তো চিন্তা-গবেষণাই করে গেলাম। যে চিন্তার ফসল বড় বড় অ্যাওয়ার্ড। কিন্তু এখন? নিষ্ফল চিন্তা। এ চিন্তার কোনো শেষ নেই।
(ডাক্তার ও দিলদারের প্রবেশ। ডাক্তার সৈকতকে পরীক্ষা করে। পাশে এসে দাঁড়ায় শিরিন।)
শিরিন : ভালো করে দেখুন ডাক্তার সাহেব।
ডাক্তার : না, না, টেনশনের কিছু নেই। প্রেসার বেড়ে গেছে। ২ টাকার একটা ট্যাবলেট খেলে সব ঠিক হয়ে যাবে।
সৈকত : প্রেসারের ওষুধ বাড়িতে আছে।
(শিরিন একটা ট্যাবলেট এনে খাইয়ে দেয়)
ডাক্তার : সব সময় সতর্ক থাকবেন। কখনো উত্তেজিত হবেন না। আসি।
(ডাক্তারের প্রস্থান)
দিলদার : স্যার, কথায় কথায় চেইতা উঠলে ফল ভালো হয় না। ডাক্তার সাবও হেই কতা কইয়া গেলেন।
শিরিন : তোকে আর উপদেশ দিতে হবে না।
সৈকত : দিলদার, জিসান ও শৈবালকে খবর দে।
(দিলদারের প্রস্থান)
ডক্টর কাকে বলে জানে? ডক্টর হচ্ছে সর্বোচ্চ ডিগ্রিধারী পন্ডিত। আর তাকে উপদেশ দিচ্ছে একজন মূর্খ কাজের লোক। বড় বিচিত্র এই দুনিয়া!
(জিসান ও শৈবালের প্রবেশ। শিরিন মাথায় কাপড় টেনে ভেতরে যায়। সৈকত আস্তে আস্তে উঠে বসেন।)
জিসান : স্যার, হঠাৎ কি হলো?
সৈকত : না, না, কিছু না। আমি এখন হান্ড্রেড পারসেন্ট সুস্থ। বল, টাস্কফোর্স গঠনের পর চোরাচালান পরিস্থিতি কী?
জিসান : স্যার-
সৈকত : আরে বাবা, আমি মরে গেলেওতো রিসার্চ থেমে থাকবে না। বল বল-
শৈবাল : আজ সকালে মিরপুরে এক ট্রাক ফেনসিডিল আটক হয়েছে।
সৈকত : ফেনসিডিল!
শৈবাল : জি স্যার।
সৈকত : নিশ্চয় কোনো সীমান্ত থেকে এসেছে। আর ঢাকা থেকে সীমান্তে দূরত্ব ২-৩ শ’ কিলোমিটার। এতো দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে ট্রাকটি ঢাকায় এলো কিভাবে। পুলিশ বিজিবি কারো চোখে পড়েনি।
জিসান : অবশ্যই পড়েছে। তবে কিছু বলতে পারেনি।
শৈবাল : আমার বিশ্বাস, ফেনসিডিলের মালিকের সাথে টাস্কফোর্সের কোনো যোগসাজশ রয়েছে।
সৈকত : তার মানে আমাদের থিউরিটাই ভুল। টাস্কফোর্স দিয়ে মাদক চোরাচালান বন্ধ হবে না।
(চা-নাস্তা নিয়ে দিলদারের প্রবেশ) নাও, খেয়ে নাও।
জিসান : এখন আমাদের করণীয় কী?
সৈকত : নতুন রিসার্চ এবং সেটা আজ থেকে। জেলায় জেলায় সেমিনার সিম্পোজিয়াম করো। দেখ, সেখান থেকে কোনো মতামত পাওয়া যায় কিনা।
সৈকত : থ্যাংক ইউ স্যার।
(দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৪/ আউটডোর : স্থান : স্কুলের রাস্তা
চরিত্র : রহমত, গৌরব
(গৌরব স্কুল ড্রেসে রাস্তায়। বিপরীত দিক থেকে আসে রহমত। ওকে দেখে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলে গৌরব)
রহমত : এ কী! কাঁদছো কেন? তোমার চোখ লাল। মুখ ফোলা। রাতে ঘুমাও নি?
গৌরব : ভাইয়া- (আবার কাঁদে)
রহমত : কী হয়েছে গৌরব?
গৌরব : কোথায় যাচ্ছেন ভাইয়া?
রহমত : তোমার কাছে।
গৌরব : ভাইয়া-
রহমত : কিছু মনে করবেন না। আব্বু আপনাকে বাড়ি যেতে নিষেধ করেছেন।
রহমত : ও এই কথা। এতে আর লজ্জা পাবার কি আছে। ঠিক আছে, তুমি স্কুলে যাও। আমি একটু রায়হানের সাথে দেখা করে আসি।
(প্রস্থানোদ্যত)
গৌরব : ভাইয়া আপনার সাথে জরুরি কথা আছে। কাল টিফিনের সময় স্কুলে আসবেন।
রহমত : ওকে। (দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৫/ আউটডোর : স্থান : স্কুল গেট
চরিত্র : সৌরভ, ছাত্রছাত্রী ও কণ্ঠ
(গেটে স্কুল বাস দাঁড়িয়ে। ছুটির ঘণ্টা বাজে। ছাত্র-ছাত্রীরা একে একে বাসে ওঠে। সৌরভ বাসের কাছে দাঁড়িয়ে মোবাইলে কথা বলে।)
সৌরভ : এখনই বাস ছেড়ে দেবে।
কণ্ঠ : তুই পরের বাসে যাবি। চলে আয়। কথা আছে।
সৌরভ : কোথায়?
কণ্ঠ : নূর মামার চা স্টলে।
সৌরভ : ওকে। (দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৬/ইনডোর : স্থান : চা স্টল
চরিত্র : জুয়েল, পলাশ ও সৌরভ
(চা স্টলে অপেক্ষা করে জুয়েল ও পলাশ। টেবিলে সিগারেটের প্যাকেট)
জুয়েল : নিরিবিলি পিকনিক স্পটের চেয়ে জেস গার্ডেনই ভালো।
পলাশ : তাইলে সেটাই হোক।
(সৌরভের প্রবেশ)
সৌরভ : আব্বু অসুস্থ। যা বলবি ঝটপট বলে ফেল। এখনই বাড়ি ফিরতে হবে।
জুয়েল : পয়লা বৈশাখের এক সপ্তাহ বাকি। আমরা দিনটা জেস গার্ডেনে কাটাতে চাই।
সৌরভ : উত্তম প্রস্তাব। তবে নিরামিষ প্রোগ্রাম জমবে না।
পলাশ : আমিষের ব্যবস্থা আমরাই করবো। তোকে কিছু টাকা জোগাড় করতে হবে।
জুয়েল : দোস্ত ডাল চিনিস?
সৌরভ : ছোলার ডাল আর ছাগলের চর্বি আমার ভীষণ পছন্দ।
পলাশ : আর কোন ডাল নেই?
সৌরভ : মুগডাল মসুরের ডাল, বুটের ডাল-
জুয়েল : থাক থাক আর বলতে হবে না। বাবার টাকায় খেয়ে শুধু ঢ্যাবা হয়েছিস। পয়লা বৈশাখ ঠিক থাকে যেন। ডাল কাকে বলে আর কত প্রকার হাতেনাতে শিখিয়ে দেবো।
(সৌরভ সিগারেট নিতে যায়)
না, না, এখন না। মামা, চা দেন।
(দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৭/ ইনডোর : স্থান : সৈকতের লাইব্রেরি
চরিত্র : সৈকত, জিসান ও শৈবাল (লাইব্রেরিতে সৈকত, জিসান ও শৈবাল )
জিসান : স্যার সেমিনার সিম্পোজিয়াম থেকে যে মতামত পেয়েছিলাম তা সরকার সানন্দে গ্রহণ করেছে। এখন মাদক চোরাচালানের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগকেও সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
শৈবাল : এখন মৃত্যুর ভয়ে কেউ চোরাচালান করবে না। আর চোলাচালান না করলে মাদক সেবনকারীর সংখ্যা এমনিতেই কমে যাবে।
সৈকত : সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে এ থিউরি অবশ্যই সুফল দেবে। জিসান, তোমরা দ্রুত ফাইল রেডি করো। আমি একটু ব্রেনটা ফ্রেশ করে আসি।
(প্রস্থান : দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৮/ ইনডোর : স্থান : ড্রয়িং রুম
চরিত্র : সৌরভ, সৈকত ও দিলদার (টি টেবিলের ওপর সিগারেটের বাক্স। সৌরভ আস্তে আস্তে ঢুকে বাক্সটা নিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রবেশ করেন সৈকত। সিগারেট খোঁজেন)
সৈকত : না, কোথাও নেই। দিলদার-
(দিলদারের প্রবেশ)
আমার সিগারেটের প্যাকেটটি কই?
দিলদার : আপনার টেবিলের ওপর আছিল।
সৈকত : নেই নেই কোথাও নেই। এই মাত্র রেখে গেলাম। এর মধ্যে কি জিন-ভূতে নিয়ে গেল।
দিলদার : মাথা ঠান্ডা করেন স্যার।
সৈকত : আগে আমার সিগারেট দে।
দিলদার : একটা কথা কবো স্যার। আমার মনে হয়- সিগারেটের প্যাকেটটা কোন কবি সাব নিয়া গ্যাছে।
সৈকত : কবি-সাহিত্যিকরা চোর নাকি?
দিলদার : তা আইবো কেন। আপনেইতো কন সিগারেট না খাইলে কিছু লেখা যায় না। তাই হয়তো কোন কবিসাব অভাবে পইড়া প্যাকেটটা নিয়া গ্যাছে।
সৈকত : আমার সাথে মশকরা করছিস। শোন, (ঘড়ি দেখে) এখন ৪টা ২৫ বাজে। ৫ মিনিটের মধ্যে আমার সিগারেট চাই। নইলে খবর আছে। (দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-১৯/ ইনডোর : স্থান : খাবার টেবিল
চরিত্র : সৌরভ, শিরিন ও দিলদার
(খাবার টেবিলে সৌরভ। মা পরিবেশন করেন)
সৌরভ : থাক থাক আর দিতে হবে না। আম্মু গৌরব খাবে না?
শিরিন : (মুখে আঙুল চেপে) আস্তে তোর আব্বু শুনলে ক্ষেপে যাবেন।
(কানের কাছে মুখ নিয়ে) ও আজ দুই দিন কিছুই খায়নি।
সৌরভ : না খেলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বে।
শিরিন : তোর জন্যই তো এত কিছু হলো। এখন কদর দেখাচ্ছিস তাই না।
(দিলদারের প্রবেশ)
দিলদার : খালাম্মা, টাকা দ্যান। সিগারেট কিনতে অইবো।
শিরিন : ওই বাবদ আমি একটা পয়সাও দিতে পারবো না।
সারাদিন সিগারেট আর সিগারেট। যা, যেখান থেকে পারিস নিয়ে যা। (দৃশ্যান্তর)
দৃশ্য-২০/ আউটডোর : স্থান : স্কুল মাঠ
চরিত্র : গৌরব রহমত
(মাঠে রহমত ও গৌরবের আলাপচারিতা)
গৌরব : ভাইয়া, সবাই এক টেবিলে ভাত খায়। কেউ আমাকে খেতে ডাকে না। আব্বু কথা বলেন না। আম্মু দূরে বসে শুধু ফ্যাল ফ্যাল চোখে চেয়ে থাকেন! (কাঁদে) এখন আমি কী করবো?
রহমত : কেঁদো না ভাইয়া, ভালো পথে চলতে গেলে কিছু কষ্টতো করতেই হবে।
গৌরব : জানেন ভাইয়া, আব্বু যখন কুরআন শরিফটা ছুড়ে ফেললেন তখন আমার প্রাণ যেনো ছিঁড়ে খান খান হয়ে যাচ্ছিল।
রহমত : গৌরব, আমি ছোটবেলায় পিতা-মাতাকে হারিয়েছি। তাদের স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত। অন্যের সাহায্য না পেলে লেখাপড়া শিখতে পারতাম না। তোমার মা-বাবা আছেন, অর্থ আছে। তারপর আল্লাহর সবচেয়ে বড় নেয়ামত কুরআন বুঝতে শিখেছো। এর চেয়ে আর কী চাও।
গৌরব : আপনার কথা খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। আমি সব কষ্ট ভুলে গেছি। এখন আমাকে কী করতে হবে তাই বলেন।
রহমত : আব্বু আম্মুকে সবসময় শ্রদ্ধা করবে। তাদের খুশি করতে হলে তোমাকে সবচেয়ে ভালো রেজাল্ট করতে হবে। আর চরিত্র-মাধুর্যে হতে হবে সকলের সেরা। (ক্লাসের ঘণ্টা পড়ে)।
গৌরব : আপনার কথা আমার শিরোধার্য। এখনই ক্লাস শুরু হবে। আসি ভাইয়া।
(দৃশ্যান্তর)
(চলবে)