Home ছড়া-কবিতা ছড়া-কবিতা

ছড়া-কবিতা

নীলখামে আঁধারের কথা
মনসুর আজিজ

গাছে গাছে নাচে পাখি ডাল ভরা ফল
আম জাম কাঁঠালের সাথে আতা ফল
খালবিল নদীতীর চিক রোদ্দুর
সেই দেশে যেতে আর বাকি কদ্দূর!

ডালে ডালে থোকা থোকা ফোটে কতো ফুল
শনপাতা বনপথে হৃদয় আকুল
ডুব দিতে খুব যদি মন চায় কারো
নতুন পানির খালে ঝাঁপ দিতে পারো।

জোসনা চাঁদের ফেনা দুই হাতে তুলে
ঝিঁঝিঁদের ডাক শুনে পথ চলে ভুলে
তরমুজ ক্ষেতে যদি ডানপিটে হও
নীলখামে আঁধারের কথা কিছু কও।

সূর্যের সাথে সাথে জাগে যেই দেশ
বাংলাদেশের বুকে সুখে আছি বেশ।

স্বপ্ন আমার
আবু ইউছুফ সুমন

চলার পথে স্বপ্ন আমার
বড্ড যে নড়বড়
তবুও যাবো অনেক দূরে
হোক না যতই ঝড়।

আসুক তুফান হাসুক বিপদ
টর্নেডোরই মত
রোধ হবে না ছুটে চলা
লক্ষ্যে অবিরত।

হাল ভেঙে যাক পাল ছিঁড়ে যাক
যাক পিছিয়ে নাও
গহিন সাগর পাড়ি দিতে
অটুট আমি তাও।

পথে নেমে চুপসে গেলে
থমকে যাবে আশা
কঠিনতম পরিশ্রমেই
সোনা ফলায় চাষা।

মানবজীবন বড্ড কঠিন
জটিলতম নাম
সে জীবনেই জয়ী হতে
ছুটছি অবিরাম।
নদীর নামটি করতোয়া
এ কে আজাদ

শান্ত নদী, নদীর কিনার ফুল ফসলে ঢাকা
এই নদীটা চলছে নিতুই, চলছে আঁকাবাঁকা।
কোথাও আবার দাঁড়িয়ে থাকে, কোথাও বসে সুখে
স্বপ্ন হাজার বুকের মাঝে কয় না কথা মুখে।
ছলাৎ ছলাৎ ছুটছে কখন, কখনো বা ক্লান্ত
ধানের ক্ষেতে মাথা রেখে ঘুমায় আবার শ্রান্ত।
চাঁদ কি জানে নদীর কথা? কিষাণ মেয়ের সাথী
লাখ কৃষকের মুখে হাসি ফোটায় দিবা রাতি।
এই তো নদী, নদীর বুকে ভাটিয়ালি সুর
হাজার মানুষ একই হৃদয়, নাই ভেদাভেদ দূর।
এই তো নদী, দুই ধারে তার সবুজ পরী নাচে,
এপার ওপার এক করে সে রাখে বুকের কাছে।
একটা নদী, হাজার গেরাম এক মোহনায় এসে
বুকের কাছে বুক মিলেছে অনেক ভালোবেসে।
এই তো নদী করতোয়া পুন্ড্রনগর গ্রামে
হাজার যুগের এক ইতিহাস লেখা একটি খামে।
ছোট্ট বেলায়
জাকারিয়া আজাদ

ছোট্ট বেলায় বলতো মা যে
সকাল হলে ‘ওঠ’
স্কুলের-ই সময় হলো
নাস্তা করে ছোট।

স্কুল পড়া শেষ হয়েছে
করছি এখন কলেজ
মাথার ভেতর জমছে কেবল
কত্ত বিষয় নলেজ।

মাগো তুমি পাশে নেই
সইতে না যে পারি
আর ক’টা দিন পরেই মা
ফিরব আমি বাড়ি।

SHARE

Leave a Reply