হাওয়াই মিঠাই নামটা শুনলেই একেবারে জিভে পানি চলে আসে। মুখে দিলেই ফুস করে মিলিয়ে যায়, সারা মুখে একটা মিষ্টি স্বাদ লেগে থাকে। দেখতে অনেকটা তুলোর মতো বলে আমেরিকানরা আদর করে এর নাম দিয়েছে কটন ক্যান্ডি।
সর্বপ্রথম হাওয়াই মিঠাইয়ের ধারণা নিয়ে আসেন উইলিয়াম মরিসন ও জন হোয়ারটন নামের দুই ভদ্রলোক। তারা আমেরিকার টেনেসিতে থাকতেন। এমনিতেও দু’জনে মজার মজার ক্যান্ডি বানাতেন, সেটাই ছিল তাদের পেশা। ১৮৯৭ সালে তারা দু’জনে মিলে একটা মেশিন আবিষ্কার করলেন। মেশিনটা একটা ঘুরন্ত বাটি, যার মাঝখানে থাকবে একটা ছিদ্র। প্রথমে চিনির সিরাকে গরম করে বাটিতে রাখা হতো। বাটিটা ঘুরালেই সেই সিরা বাটির ছিদ্র দিয়ে পালকের মতো হালকা হয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে। এই পুরনো প্রক্রিয়াতেই কিন্তু এখনো হাওয়াই মিঠাই বানানো হয়।
প্রথমদিকে মরিসন এবং জনের এই মজার খাবার বেশি জনপ্রিয় হয়নি। ঢালাওভাবে এর পরিচয় বাড়ে ১৯০৪ সালে। সে বছর সেন্ট লুইস নামক এক মেলায় তারা নিয়ে আসেন এই অদ্ভুত ক্যান্ডি। প্রতিটি মাত্র ২৫ সেন্ট, তাতেই ৬৮ হাজার ৬৫৫টি হাওয়াই মিঠাই বিক্রি হয়ে যায় এক লহমায়। তারপর সবাই হয়ে যায় এর ভক্ত।
১৯২০ সালে এর নাম রাখা হয় ‘কটন ক্যান্ডি’। তবে যুক্তরাষ্ট্রে একে বলা হয় ‘রেশমি মিঠাই’।