রহস্যপ্রিয় বন্ধুরা, আস্সালামু আলাইকুম। বরাবরের ন্যায় এই সংখ্যায়ও ছোট্ট একটি রহস্যগল্প থাকছে তোমাদের জন্য। মাথা খাটিয়ে রহস্যটা বের করে পাঠিয়ে দিয়ে জিতে নাও আকর্ষণীয় পুরস্কার। উত্তরপত্রে মাসের নাম ও পূর্ণ ঠিকানা থাকতে হবে। খামের ওপরে ‘রহস্যভেদ’ লিখতে ভুল করো না। -বিভাগীয় পরিচালক
‘আজ তোমাদেরকে আমরা কেন কাঁদি সে বিষয়ে একটা গল্প বলবো।’ শুরু করেন দাদুভাই। ‘আমাদের চোখ দিয়ে যখন নোনা পানি ঝরে, তাকেই তো আমরা কান্না বলি, তাই না? এই কান্না বা চোখের পানি কিন্তু ৩ রকম। একটাকে বলে ব্যাসাল টিয়ার্স। এটা আমাদের চোখের একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। প্রতিবার পলক ফেলার সময় চোখের পাতার পেছন থেকে আমাদের চোখের ওপর এই পানি ছিটিয়ে দেয়া হয়। এটা আমাদের চোখকে ধুলো-বালি থেকে রক্ষা করে। আরেক রকম পানির নাম দেয়া হয়েছে রিফ্লেক্স টিয়ার্স। একটানা কোনো কিছুর দিকে, যেমন ধরো ক্লাসে অনেকক্ষণ ধরে খুব মনোযোগ দিয়ে টিচারের দিকে তাকিয়ে আছো, তখন তোমার চোখ দিয়ে পানি পড়তে শুরু করে না? ওটাকেই বলে রিফ্লেক্স টিয়ার্স। আমাদের চোখ কোনো কিছু দেখতে দেখতে যখন খুব বিরক্ত বা একঘেয়ে হয়ে যায়, তখন এই পানি বের হয়ে চোখকে রিফ্রেশ করে দেয়। অনেকটা কম্পিউটার রিফ্রেশ করার মতো ব্যাপার আরকি! আর শেষ রকম চোখের পানির নাম ইমোশনাল টিয়ার্স। এতে খুব বেশি থাকে ম্যাঙ্গানিজ নামের এক ধরনের লবণ আর প্রোল্যাক্টিন নামের এক ধরনের প্রোটিন। এই দুটো পদার্থ শরীর থেকে বের হয়ে গেলে মানুষ অনেকটা আরাম বোধ করে। ধরো তোমার খুব মন খারাপ, তুমি কাঁদলে, আর তার সঙ্গে এগুলো বের হয়ে তোমাকে অনেক হালকা করে দিলো। তোমার মন খারাপও কিছুটা কমে গেলো। তবে কাঁদলে মন হালকা হওয়ার চেয়েও বড়ো কারণটা মানসিক। খেয়াল করোনি, তোমার মন খুব খারাপ হলে আর কোনো প্রিয় মানুষের কাছে কাঁদলে কেমন মনটা হালকা হয়ে যায়? তবে মনে রেখো, চোখের পানি কিন্তু প্যারা-থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হয়।’
এই পর্যন্ত বলে দাদুভাই সবার মুখের দিকে একবার দেখে নিলেন। সবাই অবাক হয়ে শুনছে, শুধু ফাহিম একটু উসখুস করতে লাগল। একসময় বলে বসল, ‘দাদুভাই, তুমি একটা তথ্য ভুল দিয়েছ।’
দাদুভাই হেসে দিলেন। ফাহিমের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘আমি ইচ্ছে করেই একটা ভুল তথ্য তোমাদের দিয়েছি। তোমাকে ধন্যবাদ যে তুমি সেটা ধরতে পেরেছ। এবার সবাইকে বলে দাও সঠিক তথ্যটা কী হবে।’
বন্ধুরা, ফাহিম বলে দেয়ার আগে তোমরাই সঠিক তথ্যটা লিখে আমাদেরকে পাঠিয়ে দাও, জলদি।
নভেম্বর ২০১৩ সংখ্যার উত্তর : -৩০০০ তাপমাত্রায় বাইরে যাওয়া অসম্ভব; বইয়ের ২৩ ও ২৪ নম্বর পৃষ্ঠা একসাথে খোলা যায় না; স্নায়ুকোষের একক নেফ্রন নয়, নিউরন এবং বিদ্যুৎ বিল হিসাব করা হয় কিলোওয়াট/ঘণ্টা হিসাবে।
পুরস্কার বিজয়ী : মো: আনোয়ার হোসেন, মাদারগঞ্জ, জামালপুর।