প্রাণপ্রিয় বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছো, সুস্থ আছো। এসে গেল মধুমাসÑ জ্যৈষ্ঠ। জ্যৈষ্ঠ মাসের নাম শুনলেই তো জিভে পানি এসে যায়। কত্ত রকম ফলের বাহার! আম, জাম, লিচু, কাঁঠালসহ আরও কত্ত ফল। পাকা ফলের রসে টইটম্বুর জ্যৈষ্ঠ। এজন্যই তো এটিকে ‘মধুমাস’ বলা হয়।
পাকা ফলের মজা তো আছেই, সেই সাথে যদি স্কুলে থাকে গরমের ছুটিÑ তাহলে তো কথাই নেই! তখন মজা আর আনন্দ একাকার হয়ে যায়। গ্রাম-গঞ্জের দৃশ্যও এসময় পাল্টে যায় অনেকটা। আত্মীয়দের মধ্যে চলে ফলের আদান-প্রদান। আর তোমাদের মতো কিশোর বন্ধুদের কথাই তো আলাদা!
হ্যাঁ আমরা জ্যৈষ্ঠের মজাদার ফলফলাদি মন ভরে খাবো আর দু’হাতে বিলাবো তাদের মধ্যে, যাদের কোনো গাছ নেই আবার কিনে খাবার মত সামর্থ্যও নেই। তারাও কিন্তু আমাদের একান্ত কাছের বন্ধু। কোনোভাবেই এই মজা থেকে তারা যেন বাদ না পড়ে।
১১ই জ্যৈষ্ঠ এলেই মনে পড়ে যায় কাজী নজরুল ইসলামের কথা। তিনি আমাদের জাতীয় কবি। ঘুম ভাঙানোর প্রাণের কবি। তাঁর কথা তো আমরা কখনই ভুলতে পারিনে! তবে এই মাসে যেন তাকে একটু বেশি বেশি স্মরণ করি। তার লেখা পড়ি এবং শিখি, তার ওপর লিখতে চেষ্টা করি এবং নানাভাবে তাঁর অবদানকে স্মরণ করি। কাজী নজরুল ইসলামের অবদান আমাদের সাহিত্যে, আমাদের সমাজে, আমাদের জীবনে ব্যাপক- বিশাল। তাঁর সেই অবদানের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই।
আজ এই পর্যন্তই! আল্লাহ হাফিজ।